মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব ( The human eye and the colourful world ) || Class-10 || একাদশ অধ্যায় ( Physics)|| NCERT Important Question with Answer

মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব
( The human eye and the colourful world )
|| Class-X || একাদশ অধ্যায় ||

1) চোখের কোথায় প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
Ans : রেটিনা নামক আলোক সংবেদী পর্দায়।

2) চোখের মধ্যে আলো যে পাতলা ঝিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে তার নাম কি? এর কাজ লিখ?
Ans : কর্নিয়া।
• কাজ : প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
3) মানুষের অক্ষিগোলকের ব্যাস কত?
Ans : প্রায় 2.3 সেন্টিমিটার।
4) আইরিশ ( Iris ) কি ? এর কাজ লেখ?
Ans : আইরিশ হল একটি গাঢ় পেশীবহুল পাতলা পর্দা, যা কর্নিয়ার ঠিক পিছনে অবস্থিত ।
• কাজ : এটি তারারন্ধ্রের আকার নিয়ন্ত্রণ করে।
5) তারারন্ধ্রের ( Pupil ) কাজ কি?
Ans : তারারন্ধ্র চোখে প্রবিষ্ট আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
6) চোখে যে ছিদ্রের মাধ্যমে আলো প্রবেশ করে তার নাম কি?
Ans : তারারন্ধ্র ।
7) চোখের রেটিনায় কিরূপ প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
Ans: অবশীর্ষ ও সদবিম্ব গঠিত হয়।
8) রেটিনা কি ?এর কাজ লেখ?
Ans : রেটিনা হল একপ্রকার সূক্ষ্ম ঝিল্লি , যাতে প্রচুর আলোক সংবেদী কোষ থাকে।
• কাজ : প্রতিবিম্ব গঠন করা।
9) কোন স্নায়ুর মাধ্যমে রেটিনায় গঠিত প্রতিবিম্ব মস্তিষ্কে পাঠায়?
Ans : অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে।
10) উজ্জ্বল আলো থেকে মৃদু আলোর ঘরে প্রবেশ করলে কিছুক্ষণের জন্য কোন বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় না কেন?
Ans : সূর্যালোকে যখন চারিদিক আলোকিত থাকে তখন চোখের মণি ও ছোট থাকে। তাই হঠাৎ মৃদু আলোর ঘরে প্রবেশ করলে , আলোর অতি সামান্য অংশ চোখে প্রবেশ করে। ফলে দর্শনের জন্য‌ প্রয়োজনীয় আলো ঘর থেকে পায় না, চোখ ঝাপসা অনুভূত হয়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে অভিযোজন এর ফলে চোখের মণি আপনা থেকেই বড় হয় তখন বেশি আলো প্রবেশ করে এবং ঘরের জিনিসপত্র মোটামুটি দেখা যায়।
11) চোখের উপযোজন এবং অভিযোজন কি?
Ans : 
• উপযোজন : চোখের লেন্সের আকৃতির প্রয়োজনমতো পরিবর্তন করে নিকটে থাকা অথবা অসীম দূরত্বে থাকা কোন বস্তুকে চোখের রেটিনায় ফোকাসিত করে দৃষ্টিগোচর করার ক্ষমতাকে উপযোজন বলে।
• অভিযোজন : আলোর তীব্রতার হ্রাস-বৃদ্ধি অনুযায়ী চোখের মণি বড়ো বা ছোট করার ক্ষমতাকে চোখের অভিযোজন বলে।
12) স্পষ্ট দর্শকের নূন্যতম দূরত্ব বা চোখের নিকট বিন্দু কি? এর মান কত?
Ans : যে নূন্যতম দূরত্ব কোন বস্তুকে রাখলে চোখ অনায়াসেই বস্তুকে স্পষ্টরূপে দেখতে পায়, তাকে চোখের নিকট বিন্দু বলে।
• স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর মান 25 সেন্টিমিটার এর কাছাকাছি।
13) দূরবিন্দু কি ?এর মান কত?
Ans : সবচেয়ে দূরের যে বিন্দুতে অবস্থিত কোন বস্তুকে চক্ষু অনায়াসে স্পষ্টভাবে দেখতে পায়, সেই বিন্দুকে দূরবিন্দু বলে ‌।
• সুস্থ এবং স্বাভাবিক চোখের ক্ষেত্রে দূর বিন্দু সাধারণত অসীম।
14) চোখের ছানি পড়া কাকে বলে ?এর প্রতিকার কিভাবে সম্ভব?
Ans : কখনো কখনো বয়স্ক লোকদের স্ফটিক আকার লেন্সটি দুধের মত সাদা এবং ঘোলাটে হয়ে যায়। এ অবস্থাকে চোখের ছানি পড়া বলে।
• চোখের ছানির অস্ত্রোপচারের সাহায্যে চোখের দৃষ্টিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
15) আমাদের দুটি চোখ থাকার সুবিধা লেখ? TBSE - 2019
Ans : দুটি চোখ দিয়ে কোন বস্তুকে দেখলে প্রতিটি চোখে গঠিত প্রতিবিম্ব মস্তিষ্কে গিয়ে একত্রিত হয়ে একটি প্রতিবিম্বের অনুভূতি সৃষ্টি করে। যার ফলে বস্তুর প্রকৃত দূরত্ব ও ত্রিমাত্রিক গঠন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা হয়।একটি চোখ দিয়ে দেখলে কোন বস্তুর দ্বিমাত্রিক গঠন ও ত্রিমাত্রিক গঠন এর পার্থক্য পরিষ্কার হয় না। এটিই হলো দুটি চোখ থাকার সুবিধা।
16) স্বল্পদৃষ্টি বা হ্রস্বদৃষ্টির কারণ লেখ?
Ans : 
• অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হলে।
• রেটিনার আকার বেড়ে গেলে।
• লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য হ্রাস পেলে।
17) দীর্ঘদৃষ্টির কারণ লেখ?
Ans : • অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হলে।
• রেটিনার আকার কমে গেলে।
18) স্বল্পদৃষ্টি ( Miyopia ) কি? এর প্রতিকার কিভাবে সম্ভব? প্রতিকারের চিত্রটি অঙ্কন কর? 
Ans : চোখ যদি কাছের জিনিস দেখতে পেলেও দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের ওই ত্রুটিকে মাইয়োপিয়া বলা হয়।
• উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে স্বল্প দৃষ্টি ত্রুটি দূর করা যায়।

19) দীর্ঘদৃষ্টি ( Hypermetropia) কি? এর প্রতিকার কিভাবে সম্ভব? প্রতিকারের চিত্রটি অঙ্কন কর?
Ans : চোখ যদি দূরের জিনিস দেখতে পেলেও কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের ওই ত্রুটিকে হাইপারমেট্রোপিয়া বলা হয়।
• উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটি দূর করা যায়।
• 
20) একটি চোখের চিত্র অঙ্কন করে বিভিন্ন অংশগুলি চিহ্নিত কর?
Ans : NCERT : 187 PAGE
21)  শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন ? 
Ans : শূন্য মাধ্যমে সব বর্ণের আলো সমান বেগে চলার ফলে আলোকরশ্মির কোনো প্রকার চ্যুতি ঘটে না । তাই শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না ।
22) একজন শিক্ষার্থীর পেছনের সারিতে বসে ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা পড়তে অসুবিধা হয়। শিশুটির চোখে কি ধরনের ত্রুটি থাকতে পারে? কিভাবে এটি দূর করা যায়?
Ans : ছাত্রটির স্বল্পদৃষ্টির ত্রুটি রয়েছে।
• উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে ত্রুটি দূর করা যায়।
23) হ্রস্বদৃষ্টি সম্পন্ন ত্রুটির ক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হয়?
Ans : প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনেই গঠিত হয়।
24) দীর্ঘদৃষ্টি সম্পন্ন ত্রুটির ক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হয়?
Ans : প্রতিবিম্ব রেটিনার পেছনে গঠিত হয়।
25) চোখের দৃষ্টির প্রসারণজনিত কয়েকটি ত্রুটির নাম কর?
Ans : মায়োপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া এবং প্রেসবায়োপিয়া।
26) অন্ধবিন্দু ( Blind Spot ) কি?
Ans : রেটিনা ও অপটিক স্নায়ুর যে মিলন স্থলে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না , তাকে অন্ধবিন্দু বলে।
27) রেটিনায় অবস্থিত আলোক সুবেদী কোষ গুলি কি কি?
Ans : রড কোশ এবং কোন কোশ।
28) নিচের কোনটির ক্রিয়ার ফলে অক্ষি লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হয়----
পিউপিল , রেটিনা , সিলিয়ারি পেশী, আইরিশ।
Ans : সিলিয়ারি পেশী।
29) মানুষের চোখ যে সামর্থ্যে অক্ষি লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যকে নিয়ন্ত্রিত করে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুকে ফোকাস করতে পারে সেটি হল----প্রেসবায়োপিয়া, অভিযোজন ,দীর্ঘ দৃষ্টি, হ্রস্বদৃষ্টি।
Ans : অভিযোজন।
30) ক্ষীণ দৃষ্টিতে কি লেন্স ব্যবহৃত হয়?
Ans : বাইফোকাল লেন্স।
31) ক্ষীণ দৃষ্টি বা প্রেসবাইওপিয়া ( Presbyopia ) কি? ক্ষীণ দৃষ্টির কারণ এবং প্রতিকার লিখ?
Ans : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের বিভিন্ন মাংসপেশি শিথিল হয়ে পড়ে বলে চোখের স্বাভাবিক উপযোজন ক্ষমতা কমে যায় এবং চোখের নিকট বিন্দু স্পষ্ট দর্শকের নূন্যতম দূরত্ব ( 25 cm ) অপেক্ষা দূরে সরে যায়। চোখের এই ত্রুটিকে ক্ষীণদৃষ্টি বলা হয়।
• ক্ষীণ দৃষ্টির কারণ : চোখের সিলিয়ারি মাংসপেশি শিথিল হয়ে পড়লে এবং অক্ষি লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে।
• প্রতিকার : উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্সের চশমা বা বিশেষ ধরনের বাইফোকাল লেন্স ব্যবহার করে এই ত্রুটি দূর করা সম্ভব।
32) আলোর বিক্ষেপণ কি?
Ans: বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সূর্যালোক শোষণ করে এবং এই শোষিত আলোক শক্তি চারিদিকে বিস্তার ঘটে। এই পদ্ধতিতে আলোর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে।
Ans : 
33) একটি স্বাভাবিক চোখ 25 সেন্টিমিটার অপেক্ষা নিকটে রাখা কোন বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না কেন?
Ans : চোখে উপস্থিত সিলিয়ারি পেশী দ্বারা চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রিত হয়। 25 সেন্টিমিটার অপেক্ষা নিকটে থাকা বস্তুর ক্ষেত্রে চোখের লেন্স বস্তুর প্রতিবিম্বকে রেটিনায় গঠন করতে পারে না। ফলে বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায় না, বস্তুকে অসচ্ছ দেখায় 
34) আমাদের চোখ থেকে বস্তু দূরত্ব বৃদ্ধি করলে চোখের ভিতর প্রতিবিম্ব দূরত্বের কি পরিবর্তন হবে?
Ans : দূরত্ব বৃদ্ধি করলে ও চোখের ভিতর প্রতিবিম্বে দূরত্ব একই থাকে।
35) আলোর বিচ্ছুরণ  ( Dispersion of light ) কি? চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
Ans : কোন যৌগিক আলো কোন স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমের (প্রিজম) মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন মৌলিক বর্ণে বিশ্লিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে, আলোর বিচ্ছুরণ বলে।

36) বর্ণালী ( Spectrum)  কি?
Ans : সাদা বা বহুবর্ণী মিশ্র আলোর বিচ্ছুরণের ফলে বিভিন্ন বর্ণযুক্ত যে আলোর পটি পাওয়া যায় , তাকে বলে বর্ণালী।
37) কি ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীরা চক্ষুদান করতে পারে না?
Ans : AIDS, হেপাটাইটিস-বি, কলেরা, মেনিনজাইটিস, টিটেনাস ।
38) মৃত্যুর কত ঘন্টার মধ্যে চোখ প্রতিস্থাপন যোগ্য হতে পারে?
Ans : 4-6 ঘন্টা।
39) দেহ থেকে চোখ অপসারণ করতে কত সময় লাগে?
Ans: 10 থেকে 15 মিনিট।
40) বাইফোকাল লেন্স ( bifocal lens) কি?
Ans: ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন কোন চোখের নিকট বিন্দু তার স্বাভাবিক অবস্থানে থেকে দূরে সরে যায়। আবার কখনো কখনো দূরবিন্দু অসীম থেকে চোখের অপেক্ষাকৃত কাছে সরে আসে। এই উভয় ত্রুটি দূর করার জন্য অবতল ও উত্তল উভয় প্রকার লেন্সই একসঙ্গে ব্যবহার করে একটি ফ্রেমে আটকানো থাকে। এরূপ লেন্সকে বাইফোকাল লেন্স বলে।
• স্পষ্টতই দূরের বস্তু দেখার সময় উপরের অবতল লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখতে হয় এবং কাছের বস্তুর দেখার সময় নিচের উত্তল লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখতে হয়।
41) আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক দৃষ্টান্ত দাও?
Ans : রামধনু।
42) আলোর বিচ্ছুরণ হয় কেন?
Ans: বায়ু বা শূন্য মাধ্যমে সব বর্ণের আলোর বেগ সমান হলে ও অন্য যে কোন মাধ্যমে বিভিন্ন বর্ণের আলোর বেগ বিভিন্ন হয়। লাল আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি এবং বেগুনি বর্ণের আলোর বেগ সবচেয়ে কম হয়। অন্যান্য বর্ণের আলোর গতিবেগ লাল ও বেগুনি বর্ণের মধ্যবর্তী। তাই প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলো প্রতিসৃত হওয়ার সময় বিভিন্ন বর্ণের চ্যুতি বিভিন্ন হয়। বেগুনি বর্ণের আলোর গতিবেগ সর্বনিম্ন , তাই চ্যুতি সর্বাধিক এবং লাল বর্ণের আলোর গতিবেগ সর্বাধিক তাই চ্যুতি সর্বনিম্ন। অন্যান্য বর্ণের আলোর চ্যুতি লাল ও বেগুনি বর্ণের আলোর চ্যুতির মধ্যে থাকে। তাই প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণের সময় আলোর বিচ্ছুরণ হয় এবং বর্ণালি সৃষ্টি হয়।
43) হ্রস্বদৃষ্টি এবং দীর্ঘ দৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans : 
i) হ্রস্বদৃষ্টি সম্পন্ন চোখে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হয়।
• দীর্ঘ দৃষ্টি সম্পন্ন চোখে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পিছনে গঠিত হয়।
ii) হ্রস্বদৃষ্টি ত্রুটিতে চোখ কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়।
• দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটিতে চোখ দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়।
iii) প্রধানত অক্ষিগোলকের আকার বেড়ে গেলে কিংবা অক্ষিলেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য কমে গেলে চোখে হ্রস্বদৃষ্টি ত্রুটি দেখা যায়।
• প্রধানত অক্ষিগোলকের আকার কমে গেলে কিংবা অক্ষিলেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে গেলে চোখে দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটি দেখা যায়।
44) প্রিজমের চ্যুতি কোণ কি?
Ans: আলোক রশ্মী প্রিজমের যে কোন প্রতিসারক তলে আপতিত হয়ে প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসৃত হওয়ার পরে অপর প্রতিসারক তল থেকে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মি অভিমুখ এবং নির্গত রশ্মির অভিমুখের অন্তবর্তী কোনকে প্রিজমের চ্যুতি কোণ বলে।
45) প্রিজমের মধ্য দিয়ে চ্যুতি কোণ এর রাশিমালাটি প্রতিষ্ঠা কর?
Ans:   



46) প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণ চিত্রের সাহায্যে দেখাও?
Ans:

47) নক্ষত্র ঝিকমিক করে কেন?
Ans: বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন স্তরের ঘনত্ব বিভিন্ন। নক্ষত্র থেকে আগত আলোক রশ্মী বহুদূর থেকে পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের মধ্য দিয়ে আসে। এই স্তর গুলির প্রতিসরাঙ্ক প্রতিমুহূর্তে বদলানোর জন্য আলোকরশ্মির গতিপথ সামান্য হারে পরিবর্তিত হয়। এর ফলে নক্ষত্রের আপাত অবস্থান পরিবর্তিত হয় এবং নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা হ্রাস-বৃদ্ধি হয় বলে মনে হয়। তাই নক্ষত্ররা ঝিকমিক করে বলে মনে হয়।
48) অগ্রিম সূর্যোদয় এবং বিলম্বিত সূর্যাস্ত এর কারণ কি?

অথবা, প্রতিদিন দিনের প্রকৃত সময় অপেক্ষা , দিনের দৈর্ঘ্য 4 মিনিট বৃদ্ধি পায়---- ব্যাখ্যা কর?

অথবা, সূর্যোদয়ের কিছুটা আগে এবং সূর্যাস্তের কিছুর পরেও সূর্যকে দেখতে পাওয়া যায় কেন?

অথবা, সূর্যের আপাত অবস্থান উহার প্রকৃত অবস্থান থেকে ভিন্ন --- ব্যাখ্যা কর?

Ans: 

সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরে সূর্য দিগন্তরেখার নিচে অবস্থান করে। দিগন্ত রেখার নীচে থাকা সূর্য থেকে আগত রশ্মী বায়ুর লঘু থেকে ঘন বায়ুস্তরে প্রবেশ করে। ফলে প্রতিসৃত রশ্মীগুলি অভিলম্বের দিকে বেঁকে বেঁকে বক্রপথে দর্শকের চোখে এসে পৌঁছায়। দর্শক কিন্তু রশ্মী গুলিকে সোজা দেখে। তাই সূর্যোদয়ের বা সূর্যাস্তের মুহূর্তে সূর্যের অবস্থান দিগন্তের কিছুটা নিচে হলেও দিগন্তরেখার কিছুটা ওপরে সূর্যকে দেখতে পাওয়া যায় (অর্থাৎ সূর্যের আপাত অবস্থান উহার প্রকৃত অবস্থান থেকে কিছুটা উপরে মনে হয়) ফলে অগ্রিম সূর্যোদয় এবং বিলম্বিত সূর্যাস্ত ঘটে। এই হিসেবে সূর্যোদয়ের 2 মিনিট আগে এবং সূর্যাস্তের 2 মিনিট পরেও সূর্যকে দেখতে পাওয়া যায়।

49) টিন্ডাল এফেক্ট কি?
Ans: কোলয়েডীয় দ্রবণে আলোর বিচ্ছুরণকে টিন্ডাল প্রভাব বলে।
50) আকাশের রং নীল দেখায় কেন?
Ans: আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়। কোন কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, যাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সেই আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি হয়। আলোর বিক্ষেপণ এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক। নীল ও বেগুনি  আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম, তাই বায়ুমন্ডলের গ্যাসীয় কণা ও ধূলিকণার দ্বারা বেগুনি ও নীল আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয় । আবার আমাদের চোখ বেগুনি অপেক্ষা নীল আলোর প্রতি বেশি সংবেদনশীল  । তাই পরিষ্কার আকাশ নীল দেখায়।
51) সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে রক্তিম বর্ণ দেখা কেন ?
Ans :  সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে যে পথ অতিক্রম করতে হয় , তা মধ্য আকাশে থাকা সূর্য থেকে আগত রশ্মী অপেক্ষা বেশি খানিকটা বেশি। লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অন্যান্য রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা বেশি। ফলে লাল বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ কম হয় অর্থাৎ লাল আলো কম পরিমাণে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে । যার ফলে এই লাল আলো দর্শকের চোখে এসে পৌঁছায়। তাই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায়। কিন্তু সূর্য যখন মাথার উপরে থাকে তখন পৃথিবীতে সূর্যের আলো আসতে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে অনেকটা কম পথ অতিক্রম করতে হয় । এক্ষেত্রে বেগুনি ও নীল বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ পরিমাণ কম হয়। তাই দুপুরের সূর্যকে লাল দেখায় না, উজ্জ্বল সাদা দেখায়।
52) বিপদ সংকেত লাল কেন?
Ans :  আলোর বিক্ষেপণ এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ যে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি সেই আলোর বিক্ষেপণ কম হয়। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অন্যান্য বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা বেশি, ফলে লাল আলো বায়ুর ধূলিকণা, জলকণা, ধোঁয়া ইত্যাদি দ্বারা বিক্ষেপণ কম হয়। এজন্য সব রকম দূরত্ব থেকে সবার চোখে লাল আলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই বিপদ সংকেত লাল হয়।
53) চাঁদ থেকে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?
অথবা, একজন মহাকাশচারীর কাছে আকাশকে নীলের পরিবর্তে কালো মনে হয় কেন?
Ans :  মহাকাশে বায়ুমণ্ডল অনুপস্থিত। তাই ওই স্থানে ধূলিকণা , বালিকণা ইত্যাদির অনুপস্থিতির কারণে আলোর বিক্ষেপণ হয় না, ফলে মহাকাশচারীর কাছে মহাকাশ কালো মনে হয়।
54) শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বর্ণালী কি? এদের মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans : 
•  শুদ্ধ বর্ণালি [Pure Spectrum]:  যে বর্ণালিতে সাদা আলোর সাতটি বর্ণ পৃথক ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় এবং বর্ণগুলি নিজ নিজ স্থান দখল করে থাকে, তাকে শুদ্ধ বর্ণালি বলে ।
•  অশুদ্ধ বর্ণালি [Impure Spectrum]:  যে বর্ণালিতে সাদা আলোর সাতটি বর্ণ একে অন্যের ওপর পড়ার ফলে বিভিন্ন বর্ণ পৃথক ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় না এবং বর্ণগুলি নিজ নিজ স্থান দখল করে থাকে না, তাকে অশুদ্ধ বর্ণালি বলে ।
•  পার্থক্য : 
i) শুদ্ধ বর্ণালীতে প্রতিটি বর্ণকে পৃথক ভাবে দেখা যায়।
• অশুদ্ধ বর্ণালীতে প্রতিটি বর্ণকে পৃথক ভাবে দেখা যায় না।
ii) বর্ণালীতে প্রাপ্ত প্রতিটি বর্ণ বা রস্মিগুচ্ছ খুব শুরু হয়।
• বর্ণালীতে প্রাপ্ত প্রতিটি বর্ণ বা রস্মিগুচ্ছ অপেক্ষাকৃত চওড়া হয়।
iii) সাদা রশ্মির মধ্যস্থ মৌলিক বর্ণগুলি ক্রম অনুযায়ী পর পর অবস্থান করে ।
• মৌলিক বর্ণগুলি ক্রম অনুযায়ী পর পর সজ্জিত থাকে না ।
iv)  শুদ্ধ বর্ণালিতে সাতটি বিভিন্ন বর্ণ পর্দায় খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায় ।
• অশুদ্ধ বর্ণালিতে সাতটি বিভিন্ন বর্ণ পর্দায় অস্পষ্টভাবে দেখা যায় ।

55) গ্রহগুলির ঝিকিমিকি কর না কেন ----ব্যাখ্যা কর?
Ans : গ্রহগুলি পৃথিবীর নিকটে অবস্থিত হওয়ায় , গ্রহগুলো থেকে আগত আলো রশ্মির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে গ্রহ গুলি থেকে আলো কম দূরত্ব অতিক্রম করে এবং আলো আসার সময় প্রতিসরণের জন্য আলোর পরিমাণ ও দিকের সামান্য কিছুটা পরিবর্তন হয়, আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। তাই গ্রহগুলি ঝিকমিক করে না।
Ans : 
56) রঙিন মূল্যবান কাপড় রাতের বেলায় কেনা উচিত নয় কেন?
Ans :  রঙিন মূল্যবান কাপড়ের বর্ণ আমরা দিনের বেলায় যেমন দেখি, রাতে উপযুক্ত আলোকের সাহায্যে আলোকিত করে তা পরিবর্তন করা যায় । তাই রঙিন মূল্যবান কাপড় রাতে কেনা উচিত নয়।
57) প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলো যাওয়ার সময় কোন বর্ণের আলোর বেশি বাঁকে এবং কোন বর্ণের আলোর কম বাঁকে?
Ans : লাল বর্ণের আলোর কম বাঁকে এবং বেগুনি বর্ণের আলোর বেশি বাঁকে।
58) প্রমাণ কর , সূর্যের আলোর সাতটি রং নিয়ে গঠিত? কে সর্বপ্রথম ইহা প্রমাণ করেন?

অথবা, প্রমাণ কর : সাদা আলো সাতটি বর্ণের মিশ্রণ?

Ans :    

আইজ্যাক নিউটন সর্বপ্রথম সূর্যরশ্মির বর্ণালী পাওয়ার জন্য কাচের প্রিজম ব্যবহার করেছিলেন। তিনি একই রকম দুটি প্রিজম নিয়ে, দুটি প্রিজমকে প্রথমটির সাপেক্ষে দ্বিতীয়টিকে উল্টোভাবে পাশাপাশি চিত্রের মত স্থাপন করেন। এখন তিনি লক্ষ্য করেন যে দ্বিতীয় প্রিজমের অপর তল থেকে একটি সাদা আলোক রশ্মী নির্গত হচ্ছে। এর দ্বারা বুঝা যায় সূর্যের আলো সাতটি রং নিয়ে গঠিত।     

59) কোন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম সূর্য রস্মির বর্ণালী পাওয়ার জন্য কাচের প্রথম প্রিজম ব্যবহার করেন?

Ans : আইজ্যাক নিউটন।

60) রামধনু কিভাবে সৃষ্টি হয়?

Ans : বায়ুমন্ডলে অবস্থিত ছোট ছোট জল বিন্দু দ্বারা সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণ এর ফলে রামধনু সৃষ্টি হয়। সূর্য যে দিকে থাকে রামধনু সর্বদাই এর বিপরীত দিকে গঠিত হয়।

61) রামধনু সৃষ্টির সময় ছোট ছোট জলবিন্দু গুলি কিসের মত আচরণ করে?

Ans : প্রিজমের মত।

62) লাল ফুলকে লাল দেখায় কেন?

Ans : সূর্যের আলো লাল বর্ণের ফুলের উপর পড়লে লালবর্ণ ছাড়া অন্যান্য সকল বর্ণ ফুলটি দ্বারা শোষিত হয় এবং শুধুমাত্র লাল বর্ণের আলোর ফুল দ্বারা প্রতিফলিত হয় যা আমাদের চোখে পড়ে এবং ফুলকে লাল দেখায়।

63) চন্দ্রপৃষ্ঠে কোন রামধনু দেখা যায় না কেন?

Ans : চন্দ্রপৃষ্ঠে কোন বায়ুমণ্ডল বা জলীয়বাষ্প থাকে না। তাই সূর্য রশ্মির বিচ্ছুরণ কিংবা অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কিছুই হয় না । কলে রামধনু পর্যবেক্ষণ করা যায় না।

64) পরিপূরক বর্ণ কাকে বলে ?

উত্তর:- যে দুটি বর্ণের মিশ্রণে সাদা বর্ণ সৃষ্টি হয়, তাদের পরস্পরের পরিপূরক বর্ণ বলে যেমন হলুদ নীল পরস্পরের পরিপূরক বর্ণ 

65) নক্ষত্রের আপাত অবস্থানকে তার প্রকৃত অবস্থান থেকে কিছুটা ওপরে মনে হয় কেন?

Ans : Answer Same as Q.No 48

66) গাড়ির কুয়াশা ভেদকারী আলো ( Foglight ) হলুদ বর্ণের করা হয় কেন?

Ans : আলোর বিক্ষেপণ এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি, ফলে লাল আলো বায়ুর ধূলিকণা, জলকণা, ধোঁয়া ইত্যাদি দ্বারা বিক্ষেপণ কম হয়ে অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়। তবুও ফগলাইট হিসেবে হলুদ আলো ব্যবহার করা হয় কারণ আমাদের চোখ হলুদ আলোতে বেশি সংবেদনশীল। যার ফলে কুয়াশার মধ্য দিয়ে দেখতে সুবিধা হয়। তাই গাড়ির কুয়াশা ভেদী আলো হলুদ বর্ণের হয়।

67) নীল আলোতে লাল ফুল কালো দেখায় কেন?

Ans : লাল ফুলের উপর নীল আলো পড়লে লাল ফুল নীল আলোকে শোষণ করে। যার ফলে কোন আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ে না । তাই নীল আলোতে লাল ফুল কালো দেখায়।

68) সাদা জামা কাপড়ে নীল দেওয়া হয় কেন?

Ans : জলে লৌহঘটিত বিভিন্ন যৌগ থাকায় জামা-কাপড় কয়েকবার কাচার পর সামান্য হলুদ হয়ে যায়। হলুদ বর্ণের পরিপূরক বর্ণ হল নীল। তাই সাদা জামা কাপড় কাচবার পরে তাতে নীল দিলে ধবধবে সাদা দেখায়।

69মায়োপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টি সম্পন্ন কোন ব্যক্তি 1.2 মিটার দূরত্বের অধিক দূরত্বে রাখা কোন বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না। কোন ধরনের  সংশোধক লেন্স ব্যবহার করে সঠিক দৃষ্টিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায়?

Ans : অবতল লেন্স।

70) হ্রস্বদৃষ্টি সম্পন্ন একটি লোকের দূরবিন্দু চোখ থেকে 80 সেন্টিমিটার দূরে অবস্থিত। তার এই ত্রুটি সংশোধনের জন্য কি প্রকৃতির এবং কত ক্ষমতার লেন্সের প্রয়োজন?

Ans : ব্যক্তির চোখের ত্রুটি সংশোধনের জন্য  -1.25 D  ক্ষমতা সম্পন্ন অবতল লেন্সের প্রয়োজন।

71) প্রিজম বর্ণালী গঠন করে, কিন্তু আয়তাকার কাচফলক বর্ণালী গঠন করে না কেন?

Ans : কোন প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলো প্রতিসৃত হলে বিভিন্ন বর্ণের চ্যুতি বিভিন্ন হয়। তাই প্রিজমে সাদা আলোর বিচ্ছুরণের ফলে বর্ণালী গঠিত হয়। আয়তাকার কাচ ফলকের দুই বিপরীত অল সমান্তরাল। এই কাচ ফলকে আলোকরশ্মির প্রতিসরণ হলে নির্গত রশ্মি আপতিত রশ্মির সমান্তরাল হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বর্ণের আলো গুলি পৃথক হতে পারে না বলে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না । ফলে বর্ণালী গঠিত হয় না।

72) শুদ্ধ বর্ণালী গঠনের শর্ত লেখ?

Ans : i) রেখাছিদ্রটি অত্যন্ত সরু হওয়া প্রয়োজন।

ii) রেখাছিদ্রটি প্রথম লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাসে রাখতে হবে।

iii) পর্দাটিকে দ্বিতীয় লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস তলে রাখতে হবে।

No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.