কোষ গঠন ও কাজ : অষ্টম অধ্যায় // Class 8 // Cell Structure and Functions Important Question

 কোষ গঠন ও কাজ ( Cell Structure and Functions ) : অষ্টম অধ্যায়

Science ; By Biplab Debnath 

1) কোশ কি? 

Ans:  অর্ধভেদ্য বা প্রভেদক ভেদ্য আবরণী বেষ্টিত, প্রোটোপ্লাজম নির্মিত, স্ব-প্রজননশীল জীবদেহের গঠনমূলক এবং জীবজ ক্রিয়ামূলক একককে কোশ  বলা হয়

2) কে, কত সালে প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন?  কিভাবে তিনি কোষ আবিষ্কার করেছিলেন?  

Ans: রবার্ট হুক ( Robert Hooke ) ,1665 খ্রিস্টাব্দে।।  

রবার্ট হুক নিজের তৈরি অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কর্কের পাতলা ফালি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখেন কর্কের ফালি অসংখ্য মৌমাছির প্রকোষ্ঠের মত প্রকোষ্ঠ দিয়ে গঠিত। হুক এই প্রকোষ্ঠগুলিকে কোশ ( Cell ) নামে অভিহিত করেন

3) কে প্রথম সজীব কোষ পর্যবেক্ষণ করেন? 

Ans : লিউয়েন হক। 

4) বহুকোষী জীব কাকে বলে? 

Ans: যে সকল জীব একাধিক কোশের সমন্বয়ে গঠিত তাদের বহুকোষী জীব বলে। যেমন : মানুষ, গরু, ছাগল ইত্যাদি জীবগুলি বহুকোষ দ্বারা গঠিত।

5) নিষিক্ত ডিম্বাণু কি? 

Ans: একটি জীবের দেহ কোটি কোটি কোশ দ্বারা গঠিত হলেও তাদের জীবন শুরু হয় একটি মাত্র কোশ থেকে এবং এই কোশটিকে বলা হয় নিষিক্ত ডিম্বাণু।

6) এককোষী জীব কি?  উদাহরণ দাও। 

Ans: যে সকল জীবে একটি কোশই সম্পূর্ণ জীবদেহ গঠন করেতাদের এককোষী জীব বলেযেমন - অ্যামিবা, ক্ল্যামাইডোমোনাস, প্যারামেসিয়াম।।

7) অ্যামিবার গমন অঙ্গের নাম কি? 

Ans: ক্ষণপদ। 

8) মানুষের কোন কোষ নিজের আকৃতির পরিবর্তন করতে পারে? 

Ans: শ্বেত রক্তকণিকা। 

9) একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বাধীন এককোষী জীবের নাম কর?

Ans: অ্যামিবা.    

10) অঙ্গ কি? 

Ans: সকল জীব কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের সমন্বয়ে গঠিত। এদের অঙ্গ বলে।         

11) মাকু আকৃতি কোষ কি? 

Ans: যে সকল কোশ লম্বা ও দুই প্রান্ত সূচালো  হয়, এদের মাকু আকৃতি কোশ বলে। যেমন : মানুষের পেশী কোশ। 

12) মানুষের একটি গোলাকার কোষের নাম কর?

Ans:  লোহিত রক্তকণিকা।         

13) লম্বা, শাখাযুক্ত একটি কোষের নাম করো ? 

Ans: স্নায়ু কোষ। 

14) স্নায়ু কোষের কাজ লেখ? 

Ans: স্নায়ু সংবাদ গ্রহণ ও প্রেরণের মাধ্যমে স্নায়ুকোশ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এদের সমন্বয় সাধন

করে। 

15) কোশপর্দা এবং কোশপ্রাচীর কি? এদের এর কাজ লেখ? 

Ans: উদ্ভিদ কোশে কোশপর্দার বাইরের দিকে অপর একটি দৃঢ় বহিঃআবরণী থাকে। একে কোশপ্রাচীর বলে। এটি প্রধানত সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। কোষপ্রাচীরের কাজ :  

                        i) উদ্ভিদকোষের প্রোটোপ্লাজমকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে

                         ii) উদ্ভিদকোষকে আকৃতি যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে

                         iii) কোষপ্রাচীর ভেদ্য হওয়ায় জল খনিজ লবণ সহজেই চলাচল করতে পারে

 ** প্রাণীকোশের সবচেয়ে বাইরের যে আবরণীটি কোশীয় উপাদানকে তার বহিঃপরিবেশ থেকে পৃথক রাখে, তাকে কোশপর্দা বলে।

কোষ পর্দার কাজ  :

i) কোশ মধ্যস্থ সজীব অংশকে রক্ষা করে

ii) কয়েক প্রকার কোষ অঙ্গাণু ( যেমন - মাইটোকনড্রিয়া, গলগি বস্তু ) এবং নিউক্লিয় পর্দা সৃষ্টি করে

iii) কোশান্তর ব্যাপন অভিস্রবণ সাহায্য করে

16) সবচেয়ে ছোট কোষ কোন গোষ্ঠীভুক্ত? এর আকার কত? 

Ans: Mycoplasma golisepticum- নামক ব্যাকটেরিয়ার কোষ।

17) সবচেয়ে বড় কোষের নাম কি ?এর আকার কত? 

Ans: সবচেয়ে বড় কোষ হলো উটপাখির ডিম। এর আকার 170 মিমি x 130 মিমি। 

18) কলা কি?

Ans:  একই ধরনের কোশ নিয়ে গঠিত কোশগুচ্ছ যখন  একটি নির্দিষ্ট কাজ করে তখন তাকে কলা বলে।

19) একটি সজীব বস্তুর মৌলিক গঠনগত একক কি? 

Ans: কোশ। 

20) একটি কোষের মৌলিক উপাদান গুলি কি কি? 

Ans: কোষপর্দা, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। 

21) কোষপর্দা একটি পুরো আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে, একে কি বলে? 

Ans: কোশপ্রাচীর। 

22) সাইটোপ্লাজম কাকে বলে? 

Ans : কোশের নিউক্লিয়াস ও কোশপর্দার মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে জেলির মত বস্তু থাকে তাকে সাইটোপ্লাজম বলে। 

23) কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত উপাদান সমূহ লিখ? 

Ans: মাইটোকনড্রিয়া,গলগি বস্তু, রাইবোজোম ইত্যাদি। 

24) নিউক্লিয় পর্দা কি? 

Ans: কোষের নিউক্লিয়াস যে আবরণী দ্বারা সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক থাকে তাকে নিউক্লিয় পর্দা বলে। 

25) নিউক্লিওলাস কাকে বলে?

Ans:  উচ্চ বিবর্ধন ক্ষমতাসম্পন্ন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে নিউক্লিয়াসকে পর্যবেক্ষণ করলে এর ভেতরে একটি গোলাকার অংশ দেখা যায়। একে নিউক্লিওলাস বলে।

26) ক্রোমোজোম কি? এর কাজ লেখ?

Ans:  নিউক্লিয়াসের ভেতরে কিছু সুতোর মতো গঠন দেখা যায়, এদের ক্রোমোজোম বলে।

কাজ: ক্রোমোজোম জিন বহন করে এবং এটি পিতৃ-মাতৃজনু থেকে অপত্য জনুতে বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণের সাহায্য করে।

27) জিন কী? এইটি কোথায় অবস্থিত ?এর কাজ কি?

Ans:  জিন হলো বংশগতির ধারক ও বাহক।

            অবস্থান : এটি ক্রোমোজোমে অবস্থিত।

           কাজ: এটি পিতৃ-মাতৃ জনু থেকে অপত্য জনুতে বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণ নিয়ন্ত্রণ করে।

28) একটি সজীব কোষের সমস্ত সজীব উপাদানকে কি বলে? 

Ans: প্রোটোপ্লাজম। 

29) কোষের প্রোটোপ্লাজমে কি কি রয়েছে? 

Ans: সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। 

30) প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষ কি? উদাহরণ দাও। 

Ans : যে কোশে সংগঠিত নিউক্লিয়াস এবং পর্দাঘেরা কোশঅঙ্গাণু থাকে না সেই রকম কোশকে প্রোক্যারিওটিক কোশ বা আদি কোশ বলে যেমন: ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ-সবুজ শৈবাল (অ্যানাবিনা, নস্টক, অসিলেটোরিয়া, গ্লিওক্যাপসা প্রভৃতি)

Ans : যে কোশে সুগঠিত বা সংগঠিত নিউক্লিয়াস এবং পর্দাঘেরা কোশ-অঙ্গাণু থাকে, সেই রকম কোশকে ইউক্যারিওটিক কোশ বা আদর্শ কোশ বলে যেমন : উদ্ভিদ প্রাণীকোশ

31) প্রোক্যারিওটস এবং ইউক্যারিওটস কাকে বলে? 

Ans: প্রোক্যারিওটিক কোশ বিশিষ্ট জীবদের প্রোক্যারিওটস বা আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত জীব বলে। যেমন - ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শ্যাওলা।

* ইউক্যারিওটিক কোশ বিশিষ্ট জীবদের ইউক্যারিওটস বলে।

32) ভ্যাকুওল বা কোষগহ্বর কি?

Ans:  উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের সাইটোপ্লাজমে কিছু খালি গঠন দেখতে পাওয়া যায়। এদের কোষগহ্বর বলে।

33) প্লাস্টিড কি? 

Ans:  উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজমে অনেকগুলো ছোট ছোট রঙিন গঠন দেখা যায়। এদের প্লাস্টিড বলে।

34) প্লাস্টিডে অবস্থিত সবুজ রঞ্জক গুলিকে কি বলে? 

Ans: ক্লোরোফিল। 

35) সবুজ রংয়ের প্লাস্টিডকে কি বলে? 

Ans: ক্লোরোপ্লাস্ট। 

36) উদ্ভিদের পাতা সবুজ হয় কেন? 

Ans: উদ্ভিদের পাতায় সবুজ রঙের ক্লোরোপ্লাস্ট নামক রঞ্জক পদার্থ থাকায় পাতার রং সবুজ হয়। 

37) একটি কোষের প্রধান কয়টি অংশ ও কি কি? চিত্র এঁকে দেখাও?

Ans:  Page 91 

38) কোন কোষ অঙ্গাণু শুধুমাত্র উদ্ভিদ কোষে থাকে কিন্তু প্রাণী কোষে থাকে না? 

Ans: প্লাস্টিড।  

39) কিসের মাধ্যমে নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক থাকে? 

Ans: নিউক্লিয় পর্দা। 

40) কোন কোষ খালি চোখে দেখা যায় এবং বাজারে কিনতে পাওয়া যায়? 

Ans : ডিম। 

41) জীবদেহের ক্ষুদ্রতম সজীব অংশ কোনটি? 

Ans: কোশ। 

42) কিসের মাধ্যমে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য সন্তানের দেহে আসে? 

Ans: জিন ( Gene)। 

43) একটি সজীব কোশের সমস্ত উপাদানকে বলে __ 

    ক) সাইটোপ্লাজম      খ) নিউক্লিওপ্লাজম           গ) প্রোটোপ্লাজম          ঘ) এন্ডোপ্লাজম। 

Ans : গ) প্রোটোপ্লাজম। 

44) প্রোটোপ্লাজমের কয়টি অংশ ও কি কি? 

Ans: দুইটি অংশ ;  সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। 

45) একটি কোষের কোষপর্দা ও নিউক্লিয়াসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত জেলির মত বস্তুকে কি বলে ? 

         ক) প্রোটোপ্লাজম            খ) সাইটোপ্লাজম      গ)  নিউক্লিয়াস             ঘ) কোষগহ্বর।

   Ans : খ) সাইটোপ্লাজম  

46) কোষের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঘনবস্তুটি হল __ 

  ক) প্লাস্টিড            খ) মাইটোকনড্রিয়া                গ) নিউক্লিয়াস      ঘ) রাইবোজোম।

Ans:  গ) নিউক্লিয়াস 

47) একটি স্নায়ু কোষের চিত্র এঁকে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর?

Ans: 


48) প্রোক্যারিওটিক কোষের রাইবোজোম এর প্রকৃতি কি?  

Ans : 70S প্রকৃতির

49) ইউক্যারিওটিক কোষের রাইবোজোম এর প্রকৃতি কি?  

Ans : 80S প্রকৃতির

50) প্রোক্যারিওটিক কোষ প্রাচীরের মুখ্য উপাদান কি?       

Ans : পেপটাইডোগ্লাইক্যান

51) উদ্ভিদ কোশে কোষ প্রাচীরের মুখ্য উপাদান কি?           

Ans : সেলুলোজ

52) প্রোক্যারিওটিক কোশ ইউক্যারিওটিক কোশের পার্থক্য লিখ ?  

          i) প্রোক্যারিওটিক কোষ ছোট , সরল অনুন্নত।                    

                     * ইউক্যারিওটিক কোষ অপেক্ষাকৃত বড় , জটিল উন্নত।

     ii) প্রোক্যারিওটিক কোষে পর্দা ঘেরা সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না,  

                    * কিন্তু ইউক্যারিওটিক কোষে পর্দা ঘেরা সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে।

     iii) প্রোক্যারিওটিক কোষে রাইবোজোম 70S প্রকৃতির।   

                   *  ইউক্যারিওটিক কোষে রাইবোজোম 80S প্রকৃতির।


No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.