Sound শব্দ (Science) Important Question Class 8 SCERT

Sound : শব্দ

By : Biplab Debnath , 9862482065

 1) শব্দ কি?

Ans: শব্দের সংজ্ঞা(Definition of Sound) :

কোন কম্পনশীল বস্তু থেকে উৎপন্ন যে শক্তি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্কে এক বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে, তাকে শব্দ বলে।

2) কিভাবে শব্দ উৎপন্ন হয়?

Ans: বস্তুর কম্পনে শব্দের সৃষ্টি হয়।

3)  স্বনক কাকে বলে? 

Ans : শব্দের উৎসকে স্বনক বলে।

4) বিণা, তবলা , হারমোনিয়াম, বাঁশি, গিটার প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রে কিসের কম্পানে শব্দ সৃষ্টি হয়?

Ans:  তবলা  =  টান করা চামড়ার কম্পন , সেতার,গিটার = তারের কম্পন  

হারমোনিয়ামে = বায়ুস্তম্ভের কম্পন।

বাঁশি  = বায়ুর কম্পন  ,  মানুষের কথা বলা = স্বরযন্ত্রের কম্পন।

5) কিভাবে শব্দ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে?

Ans:  কম্পনশীল বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ, মাধ্যমের কণাগুলির কম্পনের ফলে সৃষ্ট পর্যায়ক্রমিক ঘনীভবন ও তনুভবনের দ্বারা মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে

6) কম্পনশীল বস্তু থেকে শব্দ উৎপন্ন হয় - একটি পরীক্ষার সাহায্যে ব্যাখ্যা কর?

Ans: একটি ধাতব প্লেট ( অথবা একটি কড়াই) নিয়ে এটিকে উপযুক্ত স্থানে এমনভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হল যাতে দেওয়াল স্পর্শ না করে। এবার, একটি কাঠি দিয়ে এটিকে আঘাত করো। প্লেট বা কড়াইটিকে আঙুল দিয়ে আলতোভাবে স্পর্শ করি এবং কড়াইটির কম্পন অনুভব করা যায় এবং শব্দ শোনা যায়। আবার কাঠি দিয়ে প্লেটটিকে আঘাত করার মুহূর্তে আঙ্গুল দিয়ে এটিকে শক্ত করে চেপে ধরি। শব্দ বন্ধ হওয়ার পর প্লেটটিকে পুনরায় স্পর্শ করি, এবার স্পর্শ করার ফলে প্লেটটির কোন কম্পন অনুভব হয়নি যার ফলে কোনো শব্দও শোনা যাচ্ছে না। এই পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে বস্তুর কম্পন শব্দের সৃষ্টি হয়।

7) কম্পন কি?

Ans: কম্পন বলতে বোঝায় কোন একটি বস্তুর খুব দ্রুত এদিক-ওদিক গতি।

8) মানুষ কিভাবে শব্দ সৃষ্টি করে?

Ans:  মানুষের ক্ষেত্রে বাকযন্ত্র ( Larynx) থেকে শব্দ উৎপন্ন হয়।  এটি কণ্ঠনালির উপরের দিক। বাকযন্ত্রের সঙ্গে দুটি স্বরতন্ত্রী টান টান করে এমনভাবে যুক্ত আছে যে এদের মধ্য দিয়ে একটি সরুপথে বায়ু বের হতে পারে। যখন ফুসফুসের চাপে বায়ু এই সরু পথ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন স্বরতন্ত্রী কম্পিত হয় এবং শব্দ উৎপন্ন করে।

9) শব্দ বিস্তারে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কোনটি গমন করে :- শক্তি না মাধ্যমের কণাগুলো।

Ans :  শক্তি ।

10) মানুষের ক্ষেত্রে কোথায় থেকে শব্দ উৎপন্ন হয়?

Ans: বাগ যন্ত্র বা Larynx.

11) শব্দ কি ধরনের তরঙ্গ?                                   

Ans : অনুদৈর্ঘ্য স্থিতিস্থাপক তরঙ্গ।

12) পুরুষ ও স্ত্রী লোকের স্বরতন্ত্রী দৈর্ঘ্য কত?

Ans: পুরুষের প্রায় 20 মি.মি লম্বা এবং  স্ত্রীলোকের 15 মি.মি লম্বা।

13) পুরুষ ও মহিলাদের গলার স্বর ভিন্ন হয় কেন?

Ans:  মানুষের গলায় স্বরতন্ত্রী নামে দুটি পর্দা থাকে। এদের কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের স্বরতন্ত্রী দৃঢ় হয়ে যায়, ফলে স্বরতন্ত্রীর কম্পাঙ্ক কমে যায়। তাই পুরুষের স্বরের তীক্ষ্ণতাও কমে যায় এবং স্বর মোটা হয়। অপরদিকে, শিশু ও মেয়েদের স্বরতন্ত্রী ততটা দৃঢ় হয় না। তাই এদের স্বরতন্ত্রীর কম্পাঙ্ক অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। ফলে এদের স্বর তীক্ষ্ণ হয়।

14) কঠিন , তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে কোথায় শব্দের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি?

Ans: কঠিন মাধ্যমে।

15) কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি এবং কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম?

Ans : কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি এবং গ্যাসীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম। 

16) কঠিনে শব্দের গতিবেগ বেশি একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও?

Ans:  স্টেশন থেকে বেশ দূরে থাকা চলন্ত ট্রেনের শব্দ শোনা যায় না। কিন্তু যে লাইনে ট্রেনটি আসছে, সেই লাইনে কান পাতলে ট্রেনের চলার শব্দ শোনা যায়। এখানে রেললাইন শব্দ বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ পরীক্ষা থেকে বোঝা যায় কঠিনে শব্দের বেগ বেশি।

17) তরলের মধ্যে শব্দ চলাচল করতে পারে - একটি পরীক্ষার সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।

Ans: একটি জলপূর্ণ বেলুনের একদিকে কান পেতে অপর পাশে একটি হাতঘড়ি রাখলে ঘড়ির টিক্ টিক্ শব্দ বেশ জোরেই শোনা যায়। কিন্তু বেলুনটিকে সরিয়ে নিয়ে কান থেকে সমদূরত্বে ঘড়িটিকে রাখলে খুব ক্ষীণ শব্দ শোনা যায়।

18) শব্দ বিস্তারের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন - একটি পরীক্ষার সাহায্যে ব্যাখ্যা কর?

Ans:  একটি ধাতব গ্লাস নিই তবে গ্লাসটি যেন শুকনো হয়। এর ভিতরে একটি সেল ফোন রাখি। আমার বন্ধুকে এই সেলফোনে অন্য একটি সেলফোন থেকে রিং করতে বলি। ভালো করে রিংটি শোনা যায়। এখন গ্লাসটি হাত দিয়ে ধরে এর খোলাপ্রান্ত আমার মুখে চেপে ধরি। আমার বন্ধুকে আবার একটি রিং করতে বলি। গ্লাসের বায়ু ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে টেনে নিই এবং রিং এর শব্দ লক্ষ করি। রিং এর শব্দ কি ধীরে ধীরে কমে আসছে। আরও দেখা যায়, যদি গ্লাসের ভিতরের সবটা বায়ু টেনে নেওয়া সম্ভব হয় তবে গ্লাসে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয় এবং তখন একেবারেই শব্দ শোনা যাবে না। যদি গ্লাসটিকে আমার মুখ থেকে সরিয়ে নিই শব্দ আবার জোরে শোনা যায়। এর থেকে বোঝা যায় শব্দ বিস্তারের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন।


19) শূন্যস্থান দিয়ে শব্দ চলাচল করতে পারে না কেন?

Ans:  শব্দ বিস্তারের জন্য স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যমের প্রয়োজন। শূন্যস্থানে কোনো জড় মাধ্যম না থাকায় শব্দ চলাচল করতে পারে না।

20)  0°C উষ্ণতায় বায়ুতে শব্দের গতিবেগ কত ?                  

Ans : 332 m/s 

21)  নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ু, জল এবং লোহা এই তিনটি মাধ্যমের মধ্যে কোনটিতে শব্দ সবচেয়ে বেশি দ্রুতিতে গতিশীল?                                  

Ans :  লোহাতে। 

22) একটি লম্বা লোহার পাইপের এক প্রান্তে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে, অন্য প্রান্তে দুবার শব্দ শোনা যায় কেন?

Ans : বায়ুতে শব্দের বেগের তুলনায় কঠিন লোহা মাধ্যমে শব্দের বেগ প্রায় 15 গুণ বেশি। তাই হাতুড়ি দিয়ে লোহার এক প্রান্তে আঘাত করলে প্রথমে লোহার মধ্য দিয়ে শব্দ দ্রুত বেগে অপর প্রান্তে পৌঁছায় ও  পরে বায়ু মাধ্যম দিয়ে শব্দটি এসে পৌঁছায়। এজন্য পাইপের অন্য প্রান্তে দুবার শব্দ শোনা যায়।

23) চন্দ্রপৃষ্ঠে দুজন লোক পাশাপাশি কথা বললে শোনা যায় না কেন?   

অথবা,    তুমি ও তোমার বন্ধু চাঁদে আছো । তুমি কি তোমার বন্ধুর দ্বারা সৃষ্ট শব্দ শুনতে পাবে?    

Ans : চাঁদে বায়ু নেই। আর শব্দ চলাচলের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন। তাই চাঁদে জড় মাধ্যম না থাকায় দুই ব্যক্তি পাশে দাঁড়িয়ে কথা বললেও পরস্পরের কথা শুনতে পাওয়া যায় না।

24) আমরা কিভাবে শব্দ শুনি?

Ans: কানের বাইরের অংশের আকৃতি একটি ফানেলের মত। শব্দ কানে ঢুকে একটি সরু নালিপথ দিয়ে যায় যার শেষপ্রান্তে একটি পাতলা পর্দা টান টান করে আটকানো আছে। এটিকে কানের পর্দা বলে।  কানের পর্দা একটি টান করা রাবারের পাতের মতো। শব্দের কম্পন কানের পর্দাকে কম্পিত করে । কানের পর্দা এই কম্পন অন্তঃকর্ণে পাঠায়। সেখান থেকে সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এইভাবে আমরা শব্দ শুনি।

25) কানের পর্দা কি?

Ans: শব্দ কানে ঢুকে একটি সরু নালিপথ দিয়ে যায় যার শেষ প্রান্তে একটি পাতলা পর্দা টানটান করে আটকানো আছে। এটিকে কানের পর্দা বলে।

26) কোন স্নায়ুর মাধ্যমে শব্দতরঙ্গ কর্ণ থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছায়?

Ans: অডিটরি স্নায়ু।

27) দোলনকাল বা পর্যায়কাল কাকে বলে?

Ans: মাধ্যমের কোন কণা যে সময়ে একটি পূর্ণতরঙ্গ সম্পন্ন করে, তাকে পর্যায়কাল বলে।      * পর্যায়কালের একক সেকেন্ড।

28) কম্পাঙ্ক কি? কম্পাঙ্কের একক লেখ?

Ans:  তরঙ্গ সৃষ্টিকারী কোন কণা 1 সেকেন্ডে যতগুলি পূর্ণতরঙ্গ সম্পন্ন করে, তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে।     

* কম্পাঙ্কের একক : হার্জ ( Hertz)।

29) কম্পাঙ্ক ও তীক্ষ্ণতার মধ্যে পার্থক্য লেখ?

Ans: ক) কম্পাঙ্ক ভৌত রাশি হওয়ায়, একে পরিমাপ করা যায়।

      তীক্ষ্ণতা একটি অনুভূতি হওয়ায়, একে পরিমাপ করা যায় না।

খ) কম্পাঙ্ক হল কারণ।

       তীক্ষ্ণতা হলো কম্পাঙ্কের ফল।

গ) সুরযুক্ত বা সুরবর্জিত যে কোন শব্দেরই কম্পাঙ্ক আছে।

       কেবলমাত্র সুরযুক্ত শব্দেরই তীক্ষ্ণতা আছে।

30) 1 Hz বলতে কি বুঝ?

Ans:  একটি কম্পনশীল বস্তু 1 সেকেন্ডে একটি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করলে তাকে 1Hz বলে।

31) একটি বস্তু 1 সেকেন্ডে 20 বার পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করে। তবে বস্তুটির কম্পাঙ্ক কত হবে?

Ans: 20 Hz

32) শব্দের প্রাবল্য এবং তীক্ষ্ণতা কাকে বলে?

Ans:  কোন শব্দ কতটা জোরালো, তা শব্দের যে বৈশিষ্ট্য থেকে জানা যায়, তাকে শব্দের প্রাবল্য বলে।

* সুরযুক্ত শব্দের যে-বৈশিষ্ট্যের জন্য একই প্রাবল্যবিশিষ্ট খাদের সুর এবং চড়ার সুরের মধ্যে পার্থক্য করা যায়, তাকে তীক্ষ্ণতা বলে।

33) শব্দের প্রাবল্যের সাথে বিস্তারের কি সম্পর্ক রয়েছে?

Ans: শব্দের প্রাবল্য (Loudness) শব্দের উৎসের কম্পনের বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, বিস্তার দ্বিগুণ বাড়লে প্রাবল্য চারগুণ বাড়বে। 

35) শব্দের তীক্ষ্ণতার  একক কি?

Ans:  শব্দের তীক্ষ্ণতা ডেসিবেল (dB) এককে প্রকাশ করা হয়।

34) শব্দের বিস্তার দ্বিগুণ বাড়লে প্রাবল্য কত হবে?

Ans:  বিস্তার দ্বিগুণ বাড়লে প্রাবল্য চারগুণ বাড়বে। 

36) স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস, ফিসফিস শব্দের, স্বাভাবিক কথাবার্তা, ব্যস্ত যানবাহন চলাচল অঞ্চল , কলকারখানার শব্দের প্রাবল্য কত?

Ans:  স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস  10dB ; আস্তে ফিসফিস (5m দূরবর্তী) 30 dB

স্বাভাবিক কথাবার্তা 60 dB ;  ব্যস্ত যান চলাচল অঞ্চল 70dB  ; কলকারখানা 80 dB

37) শব্দের প্রাবল্য কত হলে তা পীড়াদায়ক?

Ans: 80 ডেসিবেল এর বেশি।

38) শব্দের তীব্রতা পরিমাপের একক কি?

Ans :  বড় একক বেল এবং ছোট একক ডেসিবেল । 

39) শব্দের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য খাদের (মোটা) সুর এবং চড়া সুরের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়?

Ans: তীক্ষ্ণতা।

40) শ্রুতিগোচর শব্দ এবং শব্দেতর শব্দ কি?

Ans:  যে শব্দের উৎসের কম্পাঙ্ক 20 থেকে 20000 হার্জ এর মধ্যে হলে উৎপন্ন শব্দকে আমরা শুনতে পাই , এরূপ শব্দকে শ্রুতিগোচর শব্দ বলে।

শব্দের কম্পাঙ্ক 20 Hz অপেক্ষা কম সেই শব্দকে শব্দেতর শব্দ বলে।

41) শব্দোত্তর শব্দ বা আল্ট্রাসাউন্ড কি?

Ans :  শব্দের কম্পাঙ্ক 20 kHz অপেক্ষা বেশি হলে সে শব্দকে শব্দোত্তর শব্দ বলে।

42) শ্রুতিগোচর শব্দের কম্পাঙ্কের প্রসার কত?                         

অথবা ,   মানুষের কর্নের শ্রুতিগোচর শব্দের কম্পাঙ্কের প্রসার কত?         

Ans : 20 Hz থেকে 20000 Hz।

43) কোন প্রাণী 20000 Hz এর বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়?

Ans: কুকুর।

44) শব্দেতর শব্দ ( infrasound) কি? কোন প্রাণী শব্দেতর শব্দ উৎপন্ন করতে পারে?

Ans : যে শব্দের কম্পাঙ্ক 20 Hz অপেক্ষা কম সেই শব্দকে শব্দোত্তর শব্দ বলে। তিমি,  হাতি।

45) কোন কোন প্রাণী শব্দোত্তর শব্দ উৎপন্ন করে?

Ans : ডলফিন, বাদুড়, শুশুক ( Porpoises)।

46) কোন কোন প্রাণী আল্ট্রাসনিক শব্দ উৎপন্ন করে এবং শুনতে পায়?

Ans: বাদুড় ও তিমি।

47) আল্ট্রাসনিক শব্দের ব্যবহার লিখ?

Ans: ক)  ধাতব ব্লকে ফাটল বা ত্রুটি বের করার জন্য শব্দোত্তর শব্দ ব্যবহৃত হয়।  

      খ) শব্দোত্তর শব্দকে হৃদপিন্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিফলিত করিয়ে হৃদপিন্ডের ছবি তৈরি করা হয়। এই প্রযুক্তিকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলা হয়। 

48) বাদুড় শিকার ধরার জন্য কিভাবে শব্দোত্তর শব্দ ব্যবহার করে তা বর্ণনা করো?

Ans : রাত্রে বেলায় বাদুড় উড়তে উড়তে শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টি করে, যা কোনো বস্তু কর্তৃক বাধা পেয়ে প্রতিফলিত হয়ে বাদুড়ের কানে পৌঁছায় এবং প্রতিফলনের ধরনের মাধ্যমে বাদুর বুঝে নিতে পারে বাধাটি কি জাতীয়, কোন দিকে ও কত দূরে আছে। এইভাবে বাঁদুড় নিজের খাবার ও শিকার ধরার জন্য শব্দোত্তর তরঙ্গকে ব্যবহার করে।

49 ঘড়ির পেন্ডুলাম দোলার শব্দ শুনি না কেন?

Ans :  কোন বস্তুর কম্পন যদি সেকেন্ডে 20 এর কম হয়, তাহলে ওই কম্পনশীল বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ আমরা শুনতে পাই না। যখন একটি পেন্ডুলাম দোলে তখন এটির কম্পন সেকেন্ডে 20 এর কম হয়। তাই পেন্ডুলাম দোলার শব্দ আমরা শুনতে পাই না।

50) সুরযুক্ত শব্দ ও সুর বর্জিত  শব্দ কি ? উদাহরণ দাও।

Ans:  শব্দ উৎসের কম্পন নিয়মিত পর্যাবৃত্ত ( Regular Periodic ) হলে যে-শব্দ সৃষ্টি হয় যা আমাদের কানে শ্রুতিমধুর লাগে, তাকে সুরযুক্ত শব্দ বলে। যেমন- গিটারের শব্দ।

* শব্দের উৎসের কম্পন অনিয়মিত বা ক্ষণস্থায়ী হলে যে-শব্দের সৃষ্টি হয় এবং যা আমাদের কানে শ্রুতিকটু লাগে, তাকে সুর বর্জিত শব্দ বলে। যেমন- যানবাহন চলাচলের শব্দ, কল-কারখানার যন্ত্রের শব্দ।

51) সুরযুক্ত সুরবর্জিত শব্দের পার্থক্য লেখ?

Ans: ) সুরযুক্ত শব্দ শুনতে শ্রুতিমধুর এবং আনন্দদায়ক 

        *  সুরবর্জিত শব্দ শ্রুতিকটু এবং বিরক্তিকর          

      ) সুরযুক্ত শব্দের নির্দিষ্ট গুন বা জাতি থাকে 

            সুরবর্জিত শব্দের কোন নির্দিষ্ট গুন বা জাতি থাকে না

52) সুরযুক্ত শব্দ বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ?

Ans :  প্রাবল্য , তীক্ষ্ণতা , গুণ বা জাতি।     

53) সুর ও স্বর কি?    

Ans : একটিমাত্র নির্দিষ্ট কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে। যেমন-সুরশলাকার কম্পনে সৃষ্টি শব্দ।  

 * একাধিক ভিন্ন ভিন্ন সুরের সমন্বয়ে সৃষ্ট শব্দকে স্বর বলা হয়। যেমন-বাঁশি থেকে নির্গত শব্দ।

54) শব্দ দূষণ কি? শব্দ দূষণের কারণ গুলি লেখ?

Ans:  পরিবেশের অবাঞ্ছিত শব্দ যখন সহনশীলতার সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে মানুষের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে।

কলকারখানার শব্দ, যানবাহনের শব্দ, জেনারেটর, ট্রাকটর ইত্যাদির শব্দ, সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত লাউডস্পিকার,শব্দবাজি, বাড়ি-ঘরে ব্যবহৃত টিভি, টেপরেকর্ডার প্রভৃতির শব্দ দূষণ সৃষ্টি করে। এছাড়া মেঘ গর্জন, বাজ পড়ার শব্দ ইত্যাদি প্রাকৃতিক উৎস থেকেও শব্দ দূষণ হয়।

55) শব্দ দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব লেখ?

Ans: 

56) শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি লেখ?

Ans : 

57) শব্দ দূষণের নিরাপদ সীমা কত?

Ans: 65 dB

58) WHO নির্দেশিত শব্দের নিরাপদ সীমা কত?

Ans: 45 dB

59) সুরযুক্ত শব্দের কোন বৈশিষ্ট্য দ্বারা শব্দ দূষণের মাত্রা প্রকাশ করা হয়?

Ans: প্রাবল্য বা তীক্ষ্ণতা দ্বারা।




No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.