অষ্টম শ্রেণী : প্রাণীদের জনন : নবম অধ্যায়

অষ্টম শ্রেণী : প্রাণীদের জনন 

নবম অধ্যায়

1) জনন কাকে বলে ? প্রাণীদের জনন কত প্রকার ও কি কি?

Ans :    জনিতৃ জীব যে পদ্ধতিতে নিজের দেহ বা দেহাংশ থেকে নিজের সত্তা ও আকৃতি বিশিষ্ট অপত্য জীব সৃষ্টি করে নিজের প্রজাতির স্থায়িত্ব বজায় রাখে তাকে জনন বলে ।

          প্রাণীদের জনন 2 প্রকার, যেমন - যৌন জনন ও অযৌন জনন।

2) যৌন জনন কাকে বলে?

Ans: যে জননে পুং জনন কোশ ও স্ত্রী জনন কোশের মিলন ঘটে তাকে যৌন জনন বলে। যেমন :  মানুষ, গরু, ছাগল প্রভৃতির দেহে এই প্রকার জনন সম্পন্ন হয়।

3) পুং জননতন্ত্র গুলির নাম করো?

Ans : একজোড়া শুক্রাশয়, 2টি শুক্রনালি ও 1টি লিঙ্গ।

4) স্ত্রী জননতন্ত্র গুলির নাম করো?

Ans : একজোড়া ডিম্বাশয়, ডিম্বনালী ও জরায়ু।

5) শুক্রাণু কোথায় উৎপন্ন হয়?

Ans : শুক্রাশয়ে।

6) ডিম্বাণু কোথায় উৎপন্ন হয় ?

Ans : ডিম্বাশয়ে।

7) শুক্রাণু কি?

Ans :শুক্রাশয়ে যে পুং জনন কোশ উৎপন্ন হয় তাদের শুক্রাণু বলে।



8) একটি পরিণত শুক্রাণুর কয়টি অংশ ও কি কি? চিত্র এঁকে দেখাও।

Ans :  একটি পরিণত শুক্রাণুর প্রধান তিনটি অংশ , যথা - মাথা, মধ্যাংশ ও লেজ।

9) শুক্রাণুর লেজের কাজ কি?

Ans :   শুক্রাণুর গমনে সাহায্য করে।

10) পুরুষের দেহের প্রধান জনন কোষের নাম কি?

Ans : শুক্রাণু।

11) স্ত্রী দেহের প্রধান জনন কোষের নাম কি?

Ans :  ডিম্বাণু।

12) যৌন জননের প্রথম ধাপটির নাম কি?

Ans :   নিষেক।

13) মাছ ও ব্যাঙ একসাথে শ'খানেক ডিম এবং কোটি খানেক শুক্রাণু উৎপাদন করে , তা সত্ত্বেও সমস্ত ডিম শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত হয় না কেন?

Ans : কারণ --- i) বেশিরভাগ ডিম্বাণু ও শুক্রাণু জলপ্রবাহ, হাওয়া ও বৃষ্টিপাত এর দ্বারা নষ্ট হয়ে যায়।

ii) অনেক জলজ প্রাণীর খাদ্য শুক্রাণু ও ডিম্বাণু।

তাই এদের মধ্যে অবশিষ্ট কিছু ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষিক্তকরণ সুনিশ্চিত করার জন্য এই বিশাল সংখ্যক শুক্রাণু ও ডিম্বাণু উৎপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

14) নিষেক কি?

Ans : শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনকে বলা হয় নিষেক।

15) নিষেকের ফলে কি সৃষ্টি হয়?

Ans : জাইগোট বা ভ্রুণাণু।

16) নতুন জীবনের উৎপত্তির প্রথম ধাপের নাম কি?

Ans : জাইগোট বা ভ্রুণাণু।

17) অন্ত:নিষেক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

Ans : নিষেক যখন স্ত্রীদেহের অভ্যন্তরে সংগঠিত হয় তখন তাকে অন্তঃনিষেক বলে। মানুষ, গোরু, কুকুর, বিড়াল, মুরগি- এই সকল প্রাণীদের অন্তঃনিষেক দেখা যায়।

18) বহিঃনিষেক কাকে বলে? উদাহরণ দাও?

Ans : নিষেক যখন স্ত্রীদেহের বাইরে সংগঠিত হয় তখন তাকে বহিঃনিষেক বলে। অস্থিযুক্ত মাছ ও ব্যাঙে এই ধরনের নিষেক দেখা যায়। 

19) জাইগোট বা ভ্রূণাণু বার বার বিভাজিত হয়ে কি তৈরি হয়?

Ans : জাইগোট বা ভ্রূণাণু বার বার বিভাজিত হয়ে তৈরি করে ভ্রূণ।

20) শিশুভ্রূণ কি?

Ans : ভ্রূণ মায়ের জরায়ুর প্রাচীরেই আবদ্ধ থাকে। ভ্রূণে যখন সকল অঙ্গগুলোর উদ্ভব হয় এবং তাকে চিহ্নিত করা যায় তখন তাকে বলে শিশুভ্রূণ।

21) ইন ভিট্রো নিষেক কাকে বলে?

Ans : কৃত্রিমভাবে নিষেক প্রক্রিয়া ( শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন) যখন স্রী দেহের বাইরে ঘটানো হয়, তখন তাকে ইন ভিট্রো নিষেক বলে।

22) IVF এর পুরো নাম কি?

Ans : In vitro fertilization.

23) নলজাতক বা টেস্ট টিউব বেবি কি ?

Ans : ইন ভিট্রো নিষেকের ফলে যে ভ্রূণাণু বা জাইগোট তৈরি হয় তাকে সপ্তাহখানেক পরে পুনরায় মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। মায়ের জরায়ুতে এই ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঠিক অন্য ভ্রূণের মতো একইভাবে ঘটে ও নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর সন্তানের জন্ম হয়। এই প্রক্রিয়ায় যে সকল শিশুর জন্ম হয়ে থাকে তাদের বলে নলজাতক বা Test Tube Baby।

24) ব্যাঙের প্রজনন কাল কখন?

Ans : বর্ষাকাল বা বসন্তকালে।

25) ব্যাঙের ডিমের বাইরে জেলির মত পাতলা আবরণের কাজ কি?

Ans : এটি বাইরের আঘাত থেকে ডিমকে রক্ষা করে।

26) ভ্রূণ  স্ত্রী জনন তন্ত্রের কোন অংশের সাথে যুক্ত হয়ে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে?

Ans : জরায়ু।

27) জরায়ুজ প্রাণী কি ? উদাহরণ দাও।

Ans : মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী যারা সরাসরি সন্তানের জন্ম দেয় তাদের জরায়ুজ প্রাণী বলে। যেমন- গোরু, কুকুর।

মুরগি, ব্যাঙ, টিকটিকি ও প্রজাপতিরা ডিম পাড়ে । এদের অণ্ডজ প্রাণী বলে।

28) রূপান্তর কাকে বলে?

Ans : লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিণত হওয়ার জন্য যে পরিবর্তন তাকে রূপান্তর বলে।

29) অযৌন জনন কি?

Ans : যে জনন প্রক্রিয়ায় কেবলমাত্র একটি প্রাণী দ্বারাই বংশবিস্তার হয় , সেই প্রক্রিয়াকে বলে অযৌন জনন।

30) কোরকোদগম কি?

Ans : যে জনন পদ্ধতিতে মাতৃ জীব থেকে স্ফীত উপবৃদ্বি বা কোরক সৃষ্টি হয় এই কোরক মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য জীব সৃষ্টি করে তাকে কোরকোদগম  বলে। ইহা ইস্ট নামক উদ্ভিদ ও হাইড্রা প্রাণীতে ইহা দেখা যায়।

31) রেশম মথের জীবন চক্রের ধাপটি দেখাও।

Ans: ডিম শূককীট বা লার্ভা  মূককীট বা পিউপা ও পূর্ণাঙ্গ প্রাণী।

32) ব্যাঙের জীবনচক্রে কয়টি দশা ও কি কি? 

Ans:

33) ব্যাঙের জীবনচক্রটি চিত্রের মাধ্যমে দেখাও।

Ans:

34) রূপান্তর দেখা যায় এমন একটি প্রাণীর নাম কর?

Ans: ব্যাঙ।

35) কোরক কি ? কোন প্রাণীতে কোরক দেখা যায়?

অনুকূল পরিবেশে কিছু এককোষী উদ্ভিদের দেহের পরিধি থেকে এক বা একাধিক স্ফীত উপবৃদ্ধির সৃষ্টি হয় । এই সকল স্ফীত উপবৃদ্ধিকে কোরক বলে।

যেমন -  ইস্টে ইহা দেখা যায়।

36) কোরক থেকে নতুন জীবের সৃষ্টি কে কি বলে?

Ans: কোরকোদগম।

37) অযৌন জনন দেখা যায় এমন কয়েকটি প্রাণীর নাম করো?

Ans: অ্যামিবা, হাইড্রা , ইস্ট।

38) একটি এককোষী প্রাণীর নাম করো?

Ans: অ্যামিবা।

39) দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়া কি?

Ans: একটি সজীব বস্তু বিভাজিত হয়ে দুটি সজীব বস্তুতে পরিণত হওয়াকে দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়া বলা হয়। যেমন : অ্যামিবা এই পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে।

40) এককোষী জীবেরা কি পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে?

Ans : দ্বি-বিভাজন পদ্ধতিতে।

41) অ্যামিবার দ্বিবিভাজন পদ্ধতিটি চিত্রসহ আলোচনা করো।

Ans:

42) ক্লোনিং কাকে বলে? কে এবং কোথায় প্রথম প্রাণীর ক্লোনিং করতে সক্ষম হন?

Ans: একটি কোশ, অঙ্গ বা সম্পূর্ণ প্রাণীর প্রতিলিপি যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় তাকেই ক্লোনিং বলা হয়। 

ইয়ান উইলমট এবং তাঁর সহকর্মী বিজ্ঞানীরা স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে অবস্থিত রোজলিন ইনষ্টিটিউটে সর্বপ্রথম প্রাণীর ক্লোনিং করতে সক্ষম হন। এই ক্লোন প্রাণীটি হল একটি ভেড়া, যার নাম ডলি। ডলির জন্ম হয় 1996 খ্রিস্টাব্দের 5 জুলাই।

43) পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্তন্যপায়ী ক্লোনটির নাম কি?

Ans: ডলি।

44) জীব সমূহ জনন কার্য করে কেন?

অথবা,   জননের গুরুত্ব বা উদ্দেশ্য লেখ?               

Ans : পৃথিবীতে জীব তার নিজ প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখতে।

45) জীবজগতে জননের গুরুত্ব লেখো। 

Ans:

46) মানবদেহের নিষেক প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে লেখো।

Ans:

47) ভ্রুণাণু ও শিশুভ্রুণের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

Ans:

48)  অযৌন জনন বলতে কী বোঝায়? অযৌন জননের দুটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখো।

Ans:

49)  রূপান্তর বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে লেখো।

Ans:

50) অন্তঃনিষেক ও বহিঃনিয়েকের মধ্যে পার্থক্যগুলো লেখো।

Ans:

51) যৌন জননের একক লেখ?

Ans : গ্যামেট।

52) অযৌন জননের একক কী?

  Ans : রেণু ।         

সঠিক উত্তরটির নীচে দাগ দাও। 

1) অন্তঃনিষেক ঘটে –

i) স্ত্রীদেহের অভ্যন্তরে (ii) স্ত্রীদেহের বাইরে (iii) পুং দেহের বাইরে। 

2) ব্যাঙাচি ব্যাঙে পরিণত হয়

(i) নিষেকের দ্বারা (ii) রূপান্তরের মাধ্যমে (iii) কোরকোদগম দ্বারা।

3) জাইগোট বা ঘৃণাণুতে নিউক্লিয়াসের সংখ্যা -

(i) এক (ii) দুই (iii) চার।

4) কোরকোদগম পদ্ধতিতে অযৌন জনন ঘটে ------                         

i) অ্যামিবাতে       ii) ইস্টে    iii) প্লাসমোডিয়ামে ,     iv) লিসম্যানিয়ায় 

Ans : ইস্টে.



No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.