রাসায়নিক বিক্রিয়া ও রাসায়নিক সমীকরণ [Chemical reaction and chemical equation] : Class-10,Chemistry, New Syllabus-2020

রাসায়নিক বিক্রিয়া ও রাসায়নিক সমীকরণ :-
[Chemical reaction and chemical equation] :-

 * Some Important Question And Answer :

1) রাসায়নিক বিক্রিয়া [Chemical reaction] কাকে বলে?
Ans :  যে প্রক্রিয়ায় একটি পদার্থ বিশ্লিষ্ট হয়ে কিংবা একাধিক পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক সংযোগের মাধ্যমে এক বা একাধিক ভিন্নধর্মী নতুন পদার্থ উত্পন্ন করে, সেই প্রক্রিয়াকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে ।
• যে পদার্থ বা পদার্থগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাদের বিকারক বা বিক্রিয়ক পদার্থ [Reactants] বলে ।
• রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট যেসব পদার্থ উত্পন্ন হয়, তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ [Products] বলে ।
2) রাসায়নিক সমীকরণ [Chemical equation] কাকে বলে?
Ans : বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরামাণুগুলির মধ্যে সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে ।
• উদাহরণ : হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জল উত্পন্ন হয় । 
হাইড্রোজেন + অক্সিজেন = জল 
3) দহন এর পূর্বে ম্যাগনেসিয়াম ( Mg ) ফিতাকে পরিষ্কার করে নিতে হয় কেন?
Ans : ম্যাগনেসিয়াম ফিতাকে দীর্ঘদিন খোলা অবস্থায় রেখে  দিলে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ( MgO ) এর একটি আস্তরণ পড়ে  । এই আস্তরনে অগ্নিসংযোগ করা হলে ও সেটি জ্বলে না। তাই ম্যাগনেসিয়াম ফিতাকে দহনের পূর্বে পরিষ্কার করে নিতে হয়।
4) শমিত রাসায়নিক সমীকরণ ( Balanced Chemical equation )কাকে বলে?
Ans : বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরমাণুর মধ্যে সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেত এর সাহায্যে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে শমিত রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
5) রাসায়নিক সমীকরণ সমতা বিধান করতে হয় কেন?
Ans : ভরের নিত্যতা সূত্র অনুসারে, কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভরকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। অর্থাৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ার আগে ও পরে বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের মোট ভর অপরিবর্তিত থাকে । ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার পূর্বে ও পরে প্রতিটি মৌলিক পদার্থের মোট পরমাণুর সংখ্যা সমান থাকে। তাই রাসায়নিক সমীকরণ সমতা বিধান করতে হয়।
6) নিম্ন লিখিত রাসায়নিক সমীকরণ গুলির সমতা বিধান কর :
Ans : 
  1. Cu + HNO3 →N2 + H2O + CuO
  2. KClO3 → KClO4 + KCl
  3. Al + HCl → AlCl3 + H2
  4. Na2CO3 + HCl → NaCl + H2O + CO2
  5. P + O2 → P2O5
  6. Fe2(SO4)3 + KOH → K2SO4 + Fe(OH)3
  7. Fe + H2O →Fe3O4 + H2
  8. Pb(No3)2 →PbO + NO2 +O2
  9. Al2(SO4)3 + Ca(OH)2 → Al(OH)3 + CaSO4
  10. MnO2 + HCl →MnCl2 + Cl2 + H2O
  11.  HNO3 + Ca(OH)2 → Ca(NO3)2 + H2O
  12.  NaOH + H2SO4 → Na2SO4 + H2O

  13. BaCl2 + H2SO4 → BaSO4 + HCl

  14. NaCl + AgNO3 → AgCl + NaNO3

  15. Cu + HNO3 →Cu(NO3)2 + H2O + NO2

7) তাপ উৎপাদক বা তাপমোচী ( Exothermic Reaction ) এবং তাপ শোষক বা তাপগ্রাহী ( Endothermic reaction ) বিক্রিয়া কি ? উদাহরণ দাও?
Ans : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তাপ উৎপন্ন হয়, তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে । যেমন— কয়লাকে বাতাসে পোড়ালে নূতন পদার্থ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং তাপের উদ্ভব হয় ।
                C + O2 = CO2 + তাপ (৯৪.৩ কিলোক্যালোরি)।
• যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বাইরে থেকে তাপ শোষিত হয়, তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে । যেমন— উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন তাপশোষণ করে নূতন যোগিক পদার্থ নাইট্রিক (NO) আক্সাইড উৎপন্ন করে।
                N2+ O2 =2NO- তাপ (-৪৩.২ কিলোক্যালোরি)
8) শ্বসনকে তাপ উৎপাদক বিক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা হয় কেন ? ব্যাখ্যা করো ।
Ans : শ্বসন একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়া। কোষে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শ্বসন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজের জারণ ঘটে । এর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড , জল ও তাপশক্তি উৎপন্ন হয় । তাই শ্বসন একটি তাপ উৎপাদক বা তাপমোচী বিক্রিয়া।
        C6H12O6 (aq) + 6O2 (g) → 6CO2 (g) + 6H2O (l) + শক্তি


9) X এর জলীয় দ্রবণ চুনকাম করতে ব্যবহৃত হয়। 
(i) X পদার্থটির নাম ও সংকেত লেখ? 
(ii) জলের সাথে X এর বিক্রিয়ায় কি উৎপন্ন হয় , রাসায়নিক সমীকরণ সহ লেখ?
Ans : (i) এখানে X হলো ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং সংকেত = CaO.
(ii) জলের সাথে X এর বিক্রিয়া ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে।
                   CaO (s) + H2O (l) → Ca(OH)2 (aq)

10) কপার সালফেট দ্রবণে লোহার পেরেক ডোবানো হলে দ্রবণের বর্ণের কি পরিবর্তন হয় এবং কেন?
Ans : লোহা , কপারের তুলনায় অধিক সক্রিয় । তাই কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণে লোহা কপারকে প্রতিস্থাপিত করে । ফলে নীল বর্ণের কপার সালফেট দ্রবণ , সবুজ বর্ণের ফেরাস সালফেটে পরিণত হয়।
                                    Fe (s) + CuSO4 (aq) → FeSO4 (aq) + Cu (s)
11) একটা বাদামী বর্ণের মৌল X বায়ুতে উত্তপ্ত করলে কালো বর্ণ ধারণ করে। মৌল X এবং কালো বর্ণের যৌগটির নাম করো?
Ans : বাদামী বর্ণের X মৌলটি হল তামা ( Cu ).
• তামাকে বায়ুতে উত্তপ্ত করলে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়ায় কালো বর্ণের কিউপ্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে।
Add caption
12) সংযোজন বা সংশ্লেষণ বিক্রিয়া ( Combination Reaction ) কি ? উদাহরণ দাও ।

Ans : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক যৌগ বা মৌল যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে সে বিক্রিয়াকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে  যেমনঃ বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কয়লাকে পোড়ালে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। 

C + O CO2

13) বিয়োজন বা বিশ্লেষণ বিক্রিয়া ( Decomposition Reaction ) কি? উদাহরণ দাও

Ans : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙ্গে একাধিক যৌগ বা মৌলে পরিণত হয়, তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে। যেমনঃ  চুনাপাথরকে তাপ প্রয়োগ করলে ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়                                                 

  CaCO3 → CaO + CO2

14) বিয়োজন বিক্রিয়া যেখানে তাপ , আলোক বা তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করা হয় এরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি করে সমীকরণ দাও।
Ans : 
তাপ বিয়োজন : চুনাপাথরকে তাপ প্রয়োগ করলে ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
                                                    CaCo3 → CaO + CO2
তড়িৎ বিয়োজন : এসিড মিশ্রিত জলে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে জল বিল্শিষ্ট হয়ে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে।            2H2O → 2H2 + O2
আলোক বিয়োজন : সিলভার ক্লোরাইডকে সূর্যালোকে রেখে দিলে এটি বিয়োজিত হয়ে ধাতব সিলভার এবং ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে।        2AgCl → 2Ag + Cl2
15) অক্সিজেন গ্রহণ বা বর্জনের ভিত্তিতে জারন এবং বিজারন এর সংজ্ঞা দাও?
অথবা , জারন বিজারন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও?
Ans :  lজারন  : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোন মৌল বা যৌগের সঙ্গে অক্সিজেন বা অন্য কোন ইলেকট্রোনেগেটিভ মৌল বা মূলক যুক্ত হয়, তাকে জারণ বলে।   

যেমন : C + O2 = CO2

অথবা , যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোন যৌগ থেকে হাইড্রোজেন বা অন্য কোন ইলেক্ট্রোপজেটিভ মৌল বা মূলক অপসারিত হয় , তাকে জারণ বলে।

যেমন : 4HCl + MnO2 = MnCl2 + Cl2 + 2H2O

l বিজারন : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোন মৌল বা যৌগের সঙ্গে হাইড্রোজেন বা অন্য কোন ইলেকট্রোপজেটিভ মৌল বা মূলক যুক্ত হয় , তাকে বিজারণ বলে।

যেমন  : Cl2 + H2S = 2HCl + S

অথবা , যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোন যৌগ থেকে অক্সিজেন বা অন্য কোন ইলেক্ট্রোনেগেটিভ মৌল বা মূলক অপসারিত হয় তাকে জারণ বলে।

যেমন  : CuO + H2 = Cu + H2O

16) বিয়োজন বিক্রিয়াকে সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত বিক্রিয়া বলা হয় কেন? দুই ক্ষেত্রে রাসানিক সমীকরণ দাও।
Ans : Ans :  যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক যৌগ বা মৌল যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে সে বিক্রিয়াকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে  যেমনঃ বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কয়লাকে পোড়ালে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়।                C + O CO2

l যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙ্গে একাধিক যৌগ বা মৌলে পরিণত হয়, তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে। যেমনঃ  চুনাপাথরকে তাপ প্রয়োগ করলে ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়                                                   CaCO3 → CaO + CO2

এতএব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, বিয়োজন বিক্রিয়া হলো সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত প্রক্রিয়া।


17) সিলভার বিশোধনে, সিলভার নাইট্রেট দ্রবণ থেকে ধাতব  সিলভার  উৎপন্ন করতে কপার ধাতু দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়াটি লেখ?
Ans : 
NCERT Solutions for Class 10 Science Chapter 1 Textbook Chapter End Questions Q14
Add caption

18) সরণ বা প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া ( Displacement Reaction ) কি? উদাহরণ দাও?

Ans :  কোনো অধিক সক্রিয় মৌল বা যৌগমুলক অপর কোনো কম সক্রিয় মৌলে বা যৌগমুলক কে প্রতিস্থাপন করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে

যেমন ; লোহা , কপারের তুলনায় অধিক সক্রিয় তাই কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণে লোহা কপারকে প্রতিস্থাপিত করে ফলে নীল বর্ণের কপার সালফেট দ্রবণ , সবুজ বর্ণের ফেরাস সালফেটে পরিণত হয়

                                    Fe (s) + CuSO4 (aq) → FeSO4 (aq) + Cu (s)

19) দ্বি-সরণ বা দ্বি-প্রতিস্থাপন বা বিনিময় বিক্রিয়া (Double Displacement Reaction) কি ?উদাহরণ দাও?

Ans : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি যৌগের উপাদান মূলক গুলি পরস্পরের মধ্যে স্থান বিনিময় করে নতুন নতুন পদার্থ উৎপন্ন করে, তাকে বিনিময় বিক্রিয়া বলে।

যেমন : সিলভার নাইট্রেট সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিক্রিয়ায় , সিলভার ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেট উৎপন্ন করে।  AgNO3 + NaCl → AgCl ¯ + NaNO3
20) প্রতিস্থাপন ও দ্বি-প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans : 

21) অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কি? উদাহরণ দাও?

Ans : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি আনুষঙ্গিক অদ্রবণীয় পদার্থ তথা অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় , তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।

যেমন : 2AgNO3 +H2S → Ag2S ¯  + 2HNO3

22) অপক্ষয় ( Corrosion ) এবং পচন বা দুর্গন্ধতা ( Randidity ) কি ?

Ans : বায়ুর অক্সিজেন, জলীয়বাষ্প, এসিড ইত্যাদির প্রভাবে ধাতব বস্তুর জারনঘঠিত যে ক্ষয় হয় এবং উজ্জ্বলতা হ্রাস পায় , তাকে অপক্ষয় বলা হয়।

তেল বা চর্বি জাতীয় পদার্থকে দীর্ঘদিন খোলা বাতাসে রেখে দিলে তা বায়ুর অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে এই প্রক্রিয়াকে পচন বলে।

23) কেন আয়রন নির্মিত জিনিসপত্রের উপর রং করি?

Ans : লোহাকে সাধারণ উষ্ণতায় আদ্র বায়ুতে রেখে দিলে লোহার উপর বাদামী বর্ণের সোদক ফেরিক অক্সাইড এর আস্তরণ পড়ে, একে মরিচা বলে। ফলে লোহার অপক্ষয় ঘটে এবং উজ্জলতা কমে যায়। তাই লোহার তৈরি দ্রব্যের উপর রং করা হয়

24) দুটি বহুল প্রচলিত এন্টি-অক্সিডেন্ট এর নাম কর?

Ans : BHA ( বিউটাইলেটেড হাইড্রক্সিঅ্যানিসোল ), BHT ( বিউটাইলেটেড হাইড্রক্সিটলুইন )

25) তেল বা চর্বি জাতীয় দ্রব্য প্যাকেটজাত করার সময় প্যাকেটে নাইট্রোজেন গ্যাস ভরা হয় কেন?

Ans : খাদ্য-দ্রব্য প্যাকেটজাত করার সময় প্যাকেটে নাইট্রোজেন গ্যাস এর উপস্থিতির জন্য খাদ্যদ্রব্য জারিত হতে পারে না অর্থাৎ খাদ্যের পচন রোধ হয়। এরফলে খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘদিন খাওয়ার উপযুক্ত থাকে। তাই প্যাকেটে নাইট্রোজেন গ্যাস ভরা হয়।

26)  এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া উল্লেখ করো যেখানে দুটি গ্যাসীয় পদার্থের বিক্রিয়ায় একটি কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয়  TBSE – 2013,2019

Ans : অ্যামোনিয়া গ্যাস এবং হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কঠিন অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়  NH3 + HCl = NH4Cl

27) H2S বিজারক পদার্থ ব্যাখ্যা করো?       TBSE 2013

অথবা,  জারনে অক্সিজেন বাধ্যতামূলক নয় ব্যাখ্যা করো?

Ans :ক্লোরিন-জলের মধ্য দিয়ে H2S  চালনা করলে  Cl2 বিজারিত হয়ে HCl এ পরিণত হয় এবং H2S জারিত হয়ে সালফারের পরিণত হয়।

এখানে H2S ক্লোরিনকে HCl এ বিজারিত করে এবং নিজে জারিত হয়ে সালফারে পরিণত হয় । কাজেই  H2বিজারক পদার্থ।

28) রেডক্স বিক্রিয়া বা জারন-বিজারন বিক্রিয়া কি উদাহরণ দাও?

Ans : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারন ও বিজারন একই সঙ্গে সংঘটিত হয়, তাকে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া বলে।   যেমন - উত্তপ্ত কিউপ্রিক অক্সাইড এর উপর দিয়ে হাইড্রোজেন চালনা করলে CuO বিজারিত হয়ে ধাতব কপারে এবং হাইড্রোজেন ( H2 জারিত হয়ে জলীয় বাষ্পে ( H2O ) পরিণত হয়।

 অর্থাৎ বিক্রিয়াটির মধ্যে জারণ ( H2   ®    H2O ) এবং বিজারন ( CuO  ®  Cu ) একইসঙ্গে ঘটে। এখানে CuO জারক পদার্থ এবং Hবিজারক পদার্থ।

29) দেখাও যে , CuO + H2 = Cu + H2O এটি একটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া?

( i ) এক্ষেত্রে কোনটি জারিত ও কোনটি বিজারিত হয়েছে?

( ii ) জারক এবং বিজারক দ্রব্য সনাক্ত কর।

Ans : উত্তপ্ত কিউপ্রিক অক্সাইড এর উপর দিয়ে হাইড্রোজেন চালনা করলে CuO বিজারিত হয়ে ধাতব কপারে এবং হাইড্রোজেন ( H2 )  জারিত হয়ে জলীয় বাষ্পে ( H2O ) পরিণত হয়।

 অর্থাৎ বিক্রিয়াটির মধ্যে জারণ ( H2   ®    H2O ) এবং বিজারন ( CuO  ®  Cu ) একইসঙ্গে ঘটে। 

l(i) এখানে H2  জারিত ও CuO বিজারিত হয়েছে।

l(ii) এখানে CuO জারক পদার্থ এবং Hবিজারক পদার্থ।

30) জারন বিজারন একটি যুগপৎ ঘটনা ব্যাখ্যা কর?

Ans : কোন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি পদার্থের জারণের সঙ্গে অপর একটি পদার্থের বিজারন হবেই । জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া একক ভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে কখনো ও সংঘটিত হয় না। তাই বলা যায় , জারন-বিজারন একসঙ্গে ঘটে 

যেমন - উত্তপ্ত কিউপ্রিক অক্সাইড এর উপর দিয়ে হাইড্রোজেন চালনা করলে CuO বিজারিত হয়ে ধাতব কপারে এবং হাইড্রোজেন ( H2 )  জারিত হয়ে জলীয় বাষ্পে ( H2O ) পরিণত হয়।

 অর্থাৎ বিক্রিয়াটির মধ্যে জারণ ( H2   ®    H2O ) এবং বিজারন ( CuO  ®  Cu ) একইসঙ্গে ঘটে। 

31) এন্টি অক্সিডেন্ট কি ?উদাহরণ দাও?

Ans : যে সমস্ত পদার্থ জারণে বাধা দেয় তাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট বলে । যেমন - নাইট্রোজেন।

32) ফেরাস সালফেট এর বর্ণ কিরূপ? একে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে?

Ans : ফেরাস সালফেট এর বর্ণ সবুজ। একে উত্তপ্ত করলে কঠিন ফেরিক অক্সাইড এবং সালফার-ডাই-অক্সাইড ও সালফার ট্রাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।


33) লেড নাইট্রেট কে উত্তপ্ত করলে বাদামি বর্ণের ধোঁয়া নির্গত হয় । নির্গত ধোঁয়াকে সনাক্ত কর এবং বিক্রিয়াটি লেখ?

Ans : 


34) দেওয়ালে সাদা রং করতে চুন এর জলীয় দ্রবণ ব্যবহার করা হয় কেন?

Ans : চুন ( CaO ) জলের সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড অর্থাৎ কলিচুন উৎপন্ন করে।ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ধীরে ধীরে বাতাসের কার্বন-ডাইঅক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর  সাদা আস্তরণ তৈরি করে, তাই দেওয়ালে রং সাদা হয়।


**Goto YouTube Channel ( More Video available here ) :  



No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.