Class-8 , Chapter 2 : আণুবীক্ষণিক জীবানু - বন্ধু এবং শত্রু ( Microorganisms: Friend and Foe ) , SCERT

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ অষ্টম শ্রেণি
আণুবীক্ষণিক জীবাণু :  বন্ধু এবং শত্রু
Important Question with Answer - 2020- 2021
By : Biplab Debnath(৯৮৬২৪৮২০৬৫)

1) আণুবীক্ষণিক জীব কাকে বলে? উদাহরণ দাও?
Ans : আমাদের চারপাশে যে সকল অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবদের আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না, তাদের আণুবীক্ষণিক জীব বলে।  যেমন - ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি।

2) বর্ষাকালে ভেজা রুটি নষ্ট হয়ে যায় এবং এর উপর ধূসর সাদা রঙ এর আস্তরণ পড়ে -  এটি কি ধরনের জীবাণু ? 
Ans : ছত্রাক ।
3) আণুবীক্ষণিক জীবদের প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
Ans : ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক , প্রোটোজোয়া এবং শৈবাল।
4) কি ধরনের আণুবীক্ষণিক জীবাণু কেবল পোষক কোষের মধ্যে বংশবিস্তার করে ?
Ans : ভাইরাস।
5) কয়েকটি ভাইরাস ঘটিত রোগের নাম করো ?
Ans : সর্দিকাশি , ইনফ্লুয়েঞ্জা , জলবসন্ত, পোলিও ইত্যাদি
6) দুটি প্রোটোজোয়া ঘটিত রোগের নাম করো ?
Ans : আমাশয় এবং ম্যালেরিয়া।
7) কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের নাম করো?
Ans: টাইফয়েড, কলেরা, যক্ষা।
8) কোন আণুবীক্ষণিক জীবাণুরা বহুকোষী?
Ans : শৈবাল ও ছত্রাক।
9) আণুবীক্ষণিক জীবের বাসস্থান আলোচনা করো?
Ans : আণুবীক্ষণিক জীবের সকল পরিবেশে বসবাস করতে পারে।
• বরফ শীতল পরিবেশে ,উষ্ণ প্রস্রবণে, মরুভূমিতে বা জলাভূমিতে ও এদের পাওয়া যায়।
• উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহের ভিতরে ও এরা বাস করে।
• বায়ু, জল , মাটিতে এদের পাওয়া যায়।
• কিছু আবার পরজীবী রূপে বাস করে।
10) কোন আণুবীক্ষণিক জীবাণু একা থাকে ?
Ans : অ্যামিবা।
11) কোন আণুবীক্ষণিক জীবাণুরা দলবদ্ধভাবে কলোনি গঠন করে থাকে?
Ans : ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক।
12) আণুবীক্ষণিক জীবদের উপকারিতা আলোচনা করো?
Ans : 
• দই, পাউরুটি ও কেক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
• পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে এরা বিশেষ উপযোগী।
• কৃষিক্ষেত্রে নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ এর মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বাড়াতে ও এরা সাহায্য করে
• বাণিজ্যিকভাবে অ্যালকোহল এবং ভিনিগার বানাতেও আণুবীক্ষণিক জীবের ব্যবহার রয়েছে।
• ওষুধ তৈরি করতেও বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়।
13) কোন ব্যাকটেরিয়া দুধ থেকে দই তৈরিতে সাহায্য করে ?
Ans : ল্যাকটোব্যাসিলাস।
14) পাউরুটি বানাতে কিভাবে আণুবীক্ষণিক জীবদের ব্যবহার করা হয়?
অথবা, পাউরুটি , কেক তৈরীর সময় ফুলে ওঠে কেন?
Ans : পাউরুটি , কেক তৈরি করতে ইস্ট ব্যবহার করা হয়। ইস্ট দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং শ্বসনের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাস ময়দার পিন্ডে জমা হয়ে পিণ্ডকে আয়তনে বাড়ায় এবং পাউরুটি তৈরি হয়।
15) পাউরুটি , কেক তৈরি করতে কোন আণুবীক্ষণিক জীবাণু ব্যবহার করা হয়?
Ans :  ইস্ট।
16) অ্যালকোহল তৈরি করতে কি কি কৃষিজ ফসল ব্যবহার করা হয়?
Ans : বার্লি , গম , চাল বা ফলের রস।
17) অ্যালকোহল তৈরি করতে কোন আণুবীক্ষণিক জীবাণু ব্যবহার করা হয়?
Ans : ইস্ট ।
18) সন্ধান বা ফারমেন্টেশন কি?
Ans : চিনি থেকে অ্যালকোহল এ রূপান্তরের পদ্ধতিকে বলে সন্ধান।
19) কে , কত সালে সন্ধান পদ্ধতি আবিষ্কার করে?
Ans: লুই পাস্তুর 1857 খ্রিস্টাব্দে সন্ধান পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
20) আণুবীক্ষণিক জীবের কিভাবে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করে রাখে?
Ans : অনেক আণুবীক্ষণিক জীব পরিবেশের বর্জ্য পদার্থ , মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীকে পচিয়ে সরল পদার্থে পরিণত করে । উদ্ভিদ পুনরায় তা গ্রহণ করে। ফলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে।
21) এন্টিবায়োটিক কি? উদাহরণ দাও?
Ans : আণুবীক্ষণিক জীব থেকে সৃষ্ট ওষুধগুলো রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বৃদ্ধি বন্ধ করে এবং তাদের মেরে ফেলে। এই ওষুধগুলোকেই বলে এন্টিবায়োটিক। 
যেমন : পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন , এরিথ্রোমাইসিন।
22) প্রথম আবিষ্কৃত এন্টিবায়োটিক এর নাম কি?
Ans : পেনিসিলিন।
23) পেনিসিলিন কে আবিষ্কার করেন?
Ans : 1929 সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।
24) পেনিসিলিন কোন ছত্রাকের দেহ থেকে আবিষ্কার করা হয়?
Ans : নীল-সবুজ ছত্রাক থেকে।
25) ছত্রাকের দেহে কিসের উপস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়?
Ans : ছত্রাকের রেনু।
26) ঠান্ডা লাগা বা ফ্লুতে এন্টিবায়োটিক কাজ করে কি?
Ans : না ।
27) এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা লেখ?
Ans : SCERT BOOK - PAGE 20.
28) টিকা ( Vaccine ) কি?
Ans : টিকা বা প্রতিষেধক (Vaccine) হল এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ বা মিশ্রণ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা জন্মাতে সাহায্য করে।
29) টিকা কিভাবে কাজ করে ?
Ans : SCERT BOOK - PAGE 20.
30) টিকাকরণের মাধ্যমে কোন কোন রোগের প্রতিরোধ করা যায়?
Ans : কলেরা ,যক্ষা , গুটিবসন্ত ও হেপাটাইটিস।
31) গুটি বসন্তের টিকা কে কত সালে আবিষ্কার করেন?
Ans : এডওয়ার্ড জেনার , 1798 খ্রিস্টাব্দে।
32) প্যাথোজেন কি?
Ans : রোগ সৃষ্টিকারী আণুবীক্ষণিক জীবদের বলে প্যাথোজেন ।
33) রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুরা কিভাবে আমাদের দেহে প্রবেশ করে?
Ans : খাদ্য , পানীয় জল , দৈহিক সংযোগ ও শ্বাস বায়ুর মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
34) সংক্রামক রোগ কি? উদাহরণ দাও?
Ans : যে সব রোগ অসুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে বায়ু , জল বা খাদ্যের মাধ্যমে অথবা দৌহিক সংযোগের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়ে , তাদের সংক্রামক রোগ বলে । যেমন : কলেরা , সর্দি-কাশি, জলবসন্ত, যক্ষা ইত্যাদি। 
35) সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই নাকে-মুখে রুমাল চাপা দেওয়া উচিত কেন?
Ans : যখন সর্দিতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি হাঁচি দেয় তখন হাজার হাজার ভাইরাস তার নিঃশ্বাস বায়ুর জলবিন্দু সঙ্গে বায়ুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস কোন সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করলে, সুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা প্রয়োজন।
36) মাছি কিভাবে রোগ ছড়ায়?
Ans : মাছি মল, মূত্র , আবর্জনার স্তূপে বসে দেহের বিভিন্ন অংশে লেগে থাকা জীবানু বয়ে আনে এবং আঢাকা খাদ্য বা পানীয়তে তা ছড়িয়ে দেয়। তাই  আঢাকা খাবার খেলে আমাদের দেহে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এইভাবে মাছির দ্বারা রোগ ছড়ায়।
37) ম্যালেরিয়া রোগের বাহক কে ?
Ans : স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা।
38) ডেঙ্গু রোগের বাহক কে?
Ans :  স্ত্রী এডিস মশা।
39) মশার বংশবৃদ্ধি কিভাবে রোধ করা যায়?
Ans : i)  বাড়ির আশেপাশে, ফুলের টবে , কুলারে , পুরানো টায়ারে , অব্যবহৃত পাত্রে জল জমতে না দেওয়া ।
ii ) বাড়ি ঘরের চারপাশ পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখা।
iii ) বাড়ি ঘরের আশপাশে বিভিন্ন জীবাণু নাশক ওষুধ স্প্রে করা।
40) গবাদিপশুর একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের নাম কর?
Ans : অ্যানথ্রাক্স।
41) গবাদিপশুর একটি ভাইরাস ঘটিত রোগের নাম?
Ans : গবাদি পশুর মুখ ও পা এর রোগ।
42) অ্যানথ্রাক্স রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর নাম কি? এই রোগের জীবাণু কে আবিস্কার করে?
Ans : ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস। 
• রবার্ট কখ্ 1876 খ্রিস্টাব্দে।
43) যক্ষা , হাম , জলবসন্ত, পোলিও , কলেরা, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ গুলি কি আণুবীক্ষণিক জীবদের দ্বারা ছড়ায়, কিসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এদের সাধারণ প্রতিকার লেখ ?
Ans : SCERT BOOK PAGE 23.
44) ফুড পয়জনিং বা খাদ্যের বিষক্রিয়া কাকে বলে?
Ans : বিভিন্ন আণুবীক্ষণিক জীব দ্বারা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাদ্য থেকে যে বিষক্রিয়া দেখা দেয় তাকে 'খাদ্যে বিষক্রিয়া' বলা হয়।
45) উদ্ভিদের একটি করে ব্যাকটেরিয়া ,ছত্রাক এবং ভাইরাস ঘটিত রোগের নাম করো এবং এই রোগ গুলির বিস্তার কিভাবে ঘটে ?
Ans : SCERT BOOK PAGE 24.
46) দুটি পরিচিত রাসায়নিক সংরক্ষক পদার্থের নাম কর ?
Ans : সোডিয়াম বেনজোয়েট এবং সোডিয়াম মেটাবাই সালফাইট।
47) খাদ্য সংরক্ষণের রাসায়নিক পদ্ধতি লেখ?
Ans : SCERT BOOK PAGE 24.
48) আমলকি , কাঁচা আম, তেঁতুল ইত্যাদিকে সংরক্ষণ করতে কি ব্যবহার করা হয়?
Ans : লবণ।
49) জ্যাম, জেলি এবং স্কোয়াশ কিসের দ্বারা সংরক্ষণ করা হয়?
Ans : চিনির দ্বারা।
50) জ্যাম , জেলি এবং স্কোয়ার সংরক্ষণে চিনি ব্যবহার করা হয় কেন?
Ans : চিনি খাদ্যে জলের পরিমাণ কমায় । ফলে আণুবীক্ষণিক জীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়।
51) তেল ও ভিনিগার দ্বারা কিভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়?
Ans : SCERT BOOK PAGE 25.
52) পাস্তুরিকরণ বা পাস্তুরাইজেশান কাকে বলে?
Ans : SCERT BOOK PAGE 25.
53) খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি আলোচনা করো?
Ans : SCERT BOOK PAGE 24, 25.
54) একটি শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদ এর নাম করো?
Ans : মটর , সিম।
55) কোন ব্যাকটেরিয়া মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়ায়?
Ans : রাইজোবিয়াম।
56) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী দুটি জীবাণুর নাম করো?
Ans : রাইজোবিয়াম ও নীলাভ সবুজ শৈবাল।
57) শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের চাষ করলে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ে কেন?
Ans : শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলের গুটিতে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। রাইজোবিয়াম বায়ু থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে এর স্থিতিকরণ ঘটায়। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ে।
58) নাইট্রোজেন স্থিতিকরনের পদ্ধতি গুলি কি কি?
Ans : i) মাটিতে বসবাসকারী কিছু ব্যাকটেরিয়া এবং নীলাভ সবুজ শৈবাল বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করতে পারে এবং তাকে নাইট্রোজেন যুক্ত যৌগে রূপান্তরিত করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়।
ii ) বিদ্যুৎক্ষরণ দ্বারা নাইট্রোজেন স্থিতিকরন ঘটে।
59) বায়ুতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত ?
Ans : 78% 
60) জীবদেহে নাইট্রোজেন এর গুরুত্ব লেখ?
Ans : জীবদেহের প্রোটিন, ক্লোরোফিল , নিউক্লিক এসিড এবং ভিটামিন তৈরীর জন্য নাইট্রোজেন আবশ্যক।
61) নাইট্রোজেন চক্র টি ছকের মাধ্যমে আলোচনা করো?
Ans : SCERT book page 25,26.
62) কোন গ্যাস উদ্ভিদ ও প্রাণী বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না?
Ans : নাইট্রোজেন।


No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.