Chapter 10 Light Reflection and Refraction !! দশম অধ্যায় আলো প্রতিফলন ও প্রতিসরণ !! TBSE !! NCERT !! Solutions -2020/2021

!! দশম অধ্যায় আলো : প্রতিফলন ও প্রতিসরণ !! TBSE !! NCERT
Ncert Important Question with Answer - 2020- 2021
Class - 10th  ( By : Biplab Debnath ) 9862482065

1) আলোর অপবর্তন ( Diffraction ) কি?
Ans : আলোর গতি পথে রাখা কোন অস্বচ্ছ বস্তুর খুবই ছোট হলে, আলো বস্তুটির ধার ঘেঁষে বেঁকে যাওয়ার প্রবণতা দেখায় এবং সরল রেখায় চলে না এই ঘটনাকে আলোর অপবর্তন বলে।
2) আলোর প্রতিফলন ( Reflection of light) কাকে বলে?
Ans : আলো যখন একটি স্বচ্ছ এবং সমসত্ব মাধ্যম থেকে অন্য কোন মাধ্যমে আপতিত হয়, তখন ওই আলোর কিছু অংশ দ্বিতীয় মাধ্যমের তল থেকে দিক পরিবর্তন করে আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। আলোর প্রতিফলন বলে।


3) আলোর প্রতিফলনের সূত্র ( laws of reflection) গুলি লেখ?
Ans : i ) আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে।
ii) আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়।
4) নিয়মিত প্রতিফলন (Regular reflection) এবং বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ( diffuse reflection) কাকে বলে? চিত্রের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
Ans :  কোন মসৃণ সমতল প্রতিফলকে যদি  সমান্তরাল রশ্মীগুচ্ছ আপতিত হয়ে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ রূপেই প্রতিফলিত হয় , তবে আলোর এরূপ প্রতিফলনকে নিয়মিত প্রতিফলন বলা হয়।
যেমন - সমতল দর্পন দ্বারা আলোর প্রতিফলন।

• কোন অমসৃন প্রতিফলক তলে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে ওই রশ্মী গুচ্ছ আর সমান্তরাল রশ্মী গুচ্ছ রুপে প্রতিফলিত হয় না, চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরূপ প্রতিফলনকে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন বলে। যেমন -  ঘরের দেওয়াল কর্তৃক আলোর প্রতিফলন ।


5) নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন এর মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans : 1. নিয়মিত প্রতিফলন এর প্রতিফলক উজ্জ্বল চকচকে দেখায় 
• বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের প্রতিফলক অনুজ্জ্বল ও অমসৃণ দেখায় 
2. নিয়মিত প্রতিফলন মসৃণ তলে হয়। 
•  বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন অমসৃণ তলে হয়।
3. নিয়মিত প্রতিফলনে উৎসের  প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
•  বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের উৎসের কোন প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না।
4.  নিয়মিত প্রতিফলন প্রতিফলিত রশ্মি একটি নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত হয়।
•  বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন প্রতিফলিত রশ্মি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
6) বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না কেন?
Ans: বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনে প্রতিফলিত রশ্মি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে প্রতিফলিত রশ্মি গুলি কোন বিন্দুতে মিলিত হয় না কিংবা কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় না। তাই বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না।
7) সিনেমার পর্দা সাদা ও অমসৃণ হয় কেন?
Ans :  সিনেমার পর্দা সাদা হলে আপতিত আলোর প্রায় সম্পূর্ণ অংশই প্রতিফলিত হয়। যার ফলে সাদা পর্দায় ছবি খুব উজ্জ্বল দেখায়।
• আবার সিনেমার পর্দা অমসৃণ হলে আপতিত আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে। ফলে প্রতিটি দর্শকের চোখে প্রতিফলিত রশ্মি পৌঁছায়। এর ফলে হলের যে কোনো স্থান থেকে দর্শকরা ছবি দেখতে পায়। তাই সিনেমার পর্দা সাদা ও অমসৃণ করা হয়।
8) প্রতিবিম্ব ( Image ) কাকে বলে?
Ans :  কোন বিন্দু উৎস থেকে আগত আলোকরশ্মি গুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে যদি অন্য কোন বিন্দুতে মিলিত হয় বা অন্য কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে ওই দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর প্রতিবিম্ব বলে।
9) সদ ও অসদ প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
Ans : কোন বিন্দু উৎস থেকে আগত আলোকরশ্মি গুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে যদি অন্য কোন বিন্দুতে মিলিত হয়, তবে ওই দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর সদ্ বিম্ব বলে।
যেমন : উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব সদ্ ।
• কোন বিন্দু উৎস থেকে আগত আলোকরশ্মি গুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে যদি অন্য কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে ওই দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর অসদ্ বিম্ব বলে।
যেমন : সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব অসদ্ হয় ।
10) সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের চিত্রসহ বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans :  সমতল দর্পণের বৈশিষ্ট্য:



i ) সমতল দর্পণে অসদ্ প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
ii) দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব এবং প্রতিবিম্বের দূরত্ব সমান হয়।
iii) প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর আকারের সমান হয়।
iv) প্রতিবিম্বের পাশ্বীয় পরিবর্তন ঘটে।
11) সদ্ বিম্ব এবং অসদ্ বিম্বের মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans :  i) সদ্ বিম্ব  বস্তুর সাপেক্ষে উল্টো হয়।
• অসদ্ বিম্ব বস্তুর সাপেক্ষে সোজা হয়।
ii) সদ্ বিম্ব চোখে দেখা যায় এবং পর্দায় ফেলা যায়।
• অসদ্ বিম্ব চোখে দেখা যায় কিন্তু পর্দায় ফেলা যায় না।
iii) সদ্ বিম্বের বাস্তব অস্তিত্ব আছে।
• অসদ্ বিম্বের বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
12) অ্যাম্বুলেন্স এর সামনে উল্টো করে "AMBULANCE " লেখা থাকে কেন?
Ans :  সামনের গাড়ির ড্রাইভার তার পাশের দর্পণে পিছনের গাড়ির প্রতিবিম্ব দেখে গাড়ি চালায়।অ্যাম্বুলেন্স করে রোগীকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় সামনের গাড়ির ড্রাইভার পেছনের গাড়ির উল্টো অ্যাম্বুলেন্স লেখাটি সামনের গাড়ি ড্রাইভারের দর্পণে উল্টো এম্বুলেন্স লেখা টির পার্শ্বীয় পরিবর্তন হয়ে AMBULANCE হিসেবে প্রতিভাত হয়। ফলে সামনের গাড়ি অ্যাম্বুলেন্সকে রাস্তা দিয়ে দেয়।
13) একটি সমতল দর্পন দ্বারা সৃষ্ট বিবর্ধন +1 , এর অর্থ কি?
Ans : প্রতিবিম্বের আকার এবং বস্তুর আকার সমান  এবং বিবর্তন ধনাত্মক হওয়ায় প্রতিবিম্বটি অসদ্ ও সমশীর্ষ হবে।
14) অভিসারী এবং অপসারী আলোক রশ্মী বলতে কি বুঝ?
Ans : যে রশ্মীগুচ্ছের রশ্মীগুলি কোন একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হয়, তাদের অভিসারী রশ্মি বলে।


• যে রশ্মী গুচ্ছের রশ্মী একটি বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ে তাদের অপসারী রশ্মি বলে।

15) সমতল দর্পণের ক্ষমতা কত?
Ans : 0 .
16) সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?
Ans : অসীম।
17)  সমতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব কত?
Ans : অসীম।
18) সমতল দর্পণে কি প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়?
Ans : অসদ প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়।
19) একটি আলোক রশ্মী দর্পণের সাথে লম্বভাবে আপতিত হলে প্রতিফলন কোণ কত?
Ans : 0° ।
20) কোন আলোক রশ্মী সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত হলে মওসুমির চ্যুতি কোণ কত হবে?
Ans : 180° ।
21) গোলীয় দর্পণ ( Spherical mirror) কাকে বলে?
Ans : কোন গোলীয় তল মসৃণ ও চকচকে  হলে তাকে গোলীয় দর্পণ বলে। গোলীয় দর্পণ দু রকমের হয় , যথা : অবতল দর্পণ এবং উত্তল দর্পণ।
22) অবতল দর্পণ (concave mirror) এবং উত্তল দর্পণ (convex mirror) কাকে বলে?
Ans :  কোন গোলীয় দর্পণের ভিতরের তলটি মসৃণ ও চকচকে হয়ে প্রতিফলকের মত কাজ করে,তাকে অবতল দর্পণ বলে।
•  কোন গোলীয় দর্পণের বাইরের তলটি মসৃণ ও চকচকে হয়ে প্রতিফলকের মত কাজ করে,তাকে উত্তল দর্পণ বলে।
23) গোলীয় দর্পণের মেরু, বক্রতা ব্যাসার্ধ, বক্রতা কেন্দ্র, প্রধান অক্ষ, উন্মেষ , উপাক্ষীয় রশ্মি , ফোকাস দৈর্ঘ্য  এবং মুখ্য ফোকাস কাকে বলে? চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
Ans :   
• দর্পণের মেরু : গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক তলের  মধ্যবিন্দুকে দর্পণের মেরু ( Pole ) বলে। চিত্রে P হলো দর্পণের মেরু।


• বক্রতা কেন্দ্র : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ সেই গোলকের কেন্দ্রকে দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র বলে।
চিত্রে C হলো বক্রতা কেন্দ্র।
• বক্রতা ব্যাসার্ধ : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে।
চিত্রে PC হলো বক্রতা ব্যাসার্ধ।
• প্রধান অক্ষ : দর্পণের মেরু এবং বক্রতা কেন্দ্র যোগ করলে যে সরলরেখা পাওয়া যায় তাকে দর্পণটির প্রধান অক্ষ বলে।    চিত্রে,  XX' হলো প্রধান অক্ষ।
• উন্মেষ : গোলীয় দর্পণের প্রধান ছেদের দুই প্রান্ত বিন্দু যোগ করলে যে সরলরেখা পাওয়া যায় তাকে দর্পণের উন্মেষ বলে।    চিত্রে, AB সরলরেখা গোলীয় দর্পণের উন্মেষ।
• উপাক্ষীয় রশ্মি ( paraxial rays) : যেসব আলোক রশ্মী প্রধান অক্ষের সঙ্গে খুব কম কোণ করে দর্পণের মেরু খুব কাছে আপতিত হয় তাদের উপাক্ষীয় রশ্মি বলে।
* ক্ষুদ্র উন্মেষ যুক্ত দর্পণের উপর আপতিত সকল রশমিকেই উপাক্ষীয় রশ্মি বলে।
• মুখ্য ফোকাস : একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে কোন গোলীয় দর্পণের উপর আপতিত হলে, প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের উপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে মিলিত হয় বা প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত একটি বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত ওই নির্দিষ্ট বিন্দুকে মুখ্য ফোকাস বলে। চিত্রে F বিন্দুটি হলো মুখ্য ফোকাস।
• ফোকাস দৈর্ঘ্য : গোলীয় দর্পণের মেরু থেকে মুখ্য ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব বলে।
চিত্রে , PF হলো ফোকাস দূরত্ব।
24) গোলীয় দর্পণের ফোকাস দূরত্ব ও বক্রতা ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কর?
Ans : মনে করি, MPM` একটি ক্ষুদ্র উন্মেষ যুক্ত অবতল দর্পণ। P , F C হল যথাক্রমে দর্পণের মেরু, ফোকাস বিন্দু বক্রতা কেন্দ্র। দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একটি রশ্মি AB দর্পণের B বিন্দুতে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর F ফোকাস এর মধ্য দিয়ে BD পথে গমন করে। B C যুক্ত করা হলো। BC হল B বিন্দুতে দর্পণের উপর অভিলম্ব।

এখন আলোর প্রতিফলনের সূত্রানুসারে, আপতন কোণপ্রতিফলন কোণ

সুতরাং <ABC = <CBF  ……………………….. (i)

আবার AB || PC এবং BC ভেদক

সুতরাং <ABC = <BCF ( একান্তর কোণ ) ……………………….. (ii)

এখন  (i) নং (ii) নং থেকে পাই,       <CBF = <BCF

সুতরাং BCF সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের, BF = CF

যেহেতু দর্পণের উন্মেষ খুব ক্ষুদ্র, তাই B P বিন্দু দুটি খুব কাছাকাছি থাকবে। 
সেই ক্ষেত্রে, BF = PF হবে ।
সুতরাং CF = PF অর্থাৎ PF = 1/2.PC

সুতরাং f  =  r/2 , 

[ধরি,দর্পণের ফোকাস দূরত্ব ( PF ) = f এবং বক্রতা ব্যাসার্ধ ( PC) = r ]

এতএব ক্ষুদ্র উন্মেষ যুক্ত অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব বক্রতার ব্যাসার্ধের অর্ধেক।

25) একটি গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ 20 Cm। এর ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?
Ans : 10 cm.
26) এমন একটি দর্পণের নাম করো যেটি সমশীর্ষ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করে?
Ans : অবতল দর্পণ।
27) 32 সেন্টিমিটার বক্রতা ব্যাসার্ধের একটি উত্তল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর?
Ans : 16 cm ।
28) একটি অবতল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল সেটি অসদ্ , সমশীর্ষ ও বস্তু অপেক্ষা বড়। বস্তুর অবস্থান কোথায় হবে?
Ans : দর্পণের মেরু ও মুখ্য ফোকাস এর মধ্যে।


29) নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে কি ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় এবং কেন :
i) গাড়ির হেডলাইটে।
ii) যানবাহনের চালকের পাশ্বে ( Rear view mirror)।
iii) সৌরচুল্লিতে ।
iv) দাড়ি কামানোর জন্য ।
v ) দাঁতের চিকিৎসায় ।
Ans:  i) গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।  কারণ , এই দর্পণের ফোকাসে আলোক উৎস রাখলে আলোর প্রতিফলনের পর আলোকরশ্মি সমান্তরাল হয় এবং অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।

ii) যানবাহনের চালকদের পাশে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।    কারণ , উত্তল দর্পণ সর্বদাই কোন বস্তুর অসদ্ , সমশীর্ষ ও বস্তুর আকারের তুলনায় ছোট প্রতিবিম্ব গঠন করে। ফলে এই দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র ( field of view) বেশি হওয়ায় অনেক দূরের বস্তু এবং অনেকটা বেশি স্থানের বস্তু বা যানবাহন দেখা যায়।


iii) সৌর চুল্লিতে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।   সৌরচুল্লিটি অবতল দর্পণের ফোকাস এ রাখা হয় । দর্পণ সূর্য থেকে আগত সমান্তরাল রশ্মি গুচ্ছকে ফোকাস বিন্দুতে মিলিত করে। তাই সেখানে প্রচুর পরিমাণে তাপের উদ্ভব হয়।
iv) দাড়ি কামানোর জন্য অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। কারণ অবতল দর্পণের খুব কাছে যখন বস্তু থাকে তখন অবতল দর্পণ সমশীর্ষ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করে। তাতে দাড়ি কামানো সহজ হয়।
v) দাঁতের চিকিৎসায় অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। কারণ , অবতল দর্পণের খুব কাছে যখন বস্তু থাকে তখন অবতল দর্পণ সমশীর্ষ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করে। ফলে দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বটি দেখে ডাক্তারবাবু সহজেই এবং নির্ভুল ভাবে পরীক্ষা করতে পারেন।
30) কোন একটি দর্পণ সমতল , অবতল , না উত্তল তা দর্পণটিকে স্পর্শ না করে কিভাবে চেনা যায়?
Ans : দর্পণ তিনটির সামনে আলাদা আলাদাভাবে খুব কাছে একটি বস্তুকে নিয়ে গেলে যদি  -- 
i) সৃষ্ট প্রতিবিম্ব বস্তুর সমান আকৃতির হয় তবে সেই দর্পণটি হল সমতল দর্পণ।
ii) বস্তুটির বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব তৈরি হয় তবে সেই দর্পণটি হবে অবতল দর্পণ।
iii) সৃষ্ট প্রতিবিম্বটি যদি ছোট হয়, তবে সেই দর্পণটি হবে উত্তল দর্পণ।
31) বড় শপিং মলে Shop security mirror হিসেবে কি দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
Ans : উত্তল দর্পণ।
32) স্ট্রীট ল্যাম্পে কি দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
Ans : উত্তল দর্পণ।
33) সিনেমার পর্দায় কি প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
Ans : সদ প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
34) একটি অবতল দর্পণের সাহায্যে অসদ্ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব পাওয়ার জন্য বস্তুর অবস্থান উল্লেখ করে রশ্মী চিত্র অঙ্কন করো?
Ans : দর্পণের মেরু ও মুখ্য ফোকাস এর মধ্যে।

35) অবতল দর্পণের অসীম ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যে বস্তু রাখলে প্রতিবিম্ব কিরূপ হবে? চিত্রের সাহায্যে এর বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।
Ans :  • প্রতিবিম্বের অবস্থান : ফোকাস এবং বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যে।
• প্রতিবিম্বের আকার : প্রতিবিম্বের আকার বস্তু অপেক্ষা ক্ষুদ্র।
• প্রতিবিম্বের প্রকৃতি : প্রতিবিম্ব সদ্ এবং অবশীর্ষ।

36) অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে বস্তু রাখলে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের চিত্রসহ বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans :  প্রতিবিম্বের অবস্থান : বক্রতা কেন্দ্রে।

প্রতিবিম্বের আকার : বস্তুর আকারের সমান।

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি : প্রতিবিম্ব সদ্ এবং অবশীর্ষ।



37) অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে ও ফোকাস এর মধ্যে বস্তু রাখলে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের চিত্রসহ বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans : প্রতিবিম্বের অবস্থান : বক্রতা কেন্দ্র অসীমের মধ্যে।

প্রতিবিম্বের আকার : বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করে।

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি : প্রতিবিম্ব সদ্ এবং অবশীর্ষ।



38) উত্তল ও অবতল দর্পণ এর মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans : 
i) উত্তল দর্পণ দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবিম্ব বস্তু অপেক্ষা ছোট হয়।
• অবতল দর্পণ দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবিম্ব বস্তু অপেক্ষা ছোট , বড় ও সমান হয়।
ii) উত্তল দর্পণে কেবল অসদ বিম্ব ও গঠিত হয়।
• অবতল দর্পণে সদ ও অসদ উভয় ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
iii) উত্তল দর্পণের প্রতিফলক তলটি উত্তলাকার হয়।
• অবতল দর্পণের প্রতিফলক তলটি অবতলাকার হয়।
39) একটি অবতল দর্পণের সামনে 10 সেন্টিমিটার দূরে রাখা বস্তুর তিন গুণ বিবর্ধিত সদ্ প্রতিবিম্বটি কোথায় গঠিত হবে?
Ans : বস্তু দূরত্ব = - 10 Cm,
বিবর্ধন m = 3
প্রতিবিম্ব দূরত্ব v = - mu = - 3 x 10 = - 30 cm.
সুতরাং প্রতিবিম্বটি অবতল দর্পণের সামনে মেরু থেকে 30 সেন্টিমিটার দূরে গঠিত হবে।
40) একটি অবতল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বটি অসৎ, সমশীর্ষ এবং বস্তু অপেক্ষা বড় হতে গেলে বস্তুটির অবস্থান কোথায় হওয়া উচিত?
Ans : দর্পণের মেরু এবং মুখ্য ফোকাস এর মধ্যে।
41) একটি দর্পণ থেকে তুমি যত দূরেই থাকো না কেন তোমার প্রতিবিম্বটি সমশীর্ষ । দর্পণ টির প্রকৃতি লিখ?
Ans : হয় সমতল নতুবা উত্তল।


42) আলোর প্রতিসরণ ( Refraction of light) কাকে বলে?
Ans : আলোক রশ্মী কোন সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য কোন সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের বিভেদতলে  তীর্যকভাবে আপতিত হলে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশের সময় আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
43) আলোর প্রতিসরণের সূত্র গুলি লেখ?
Ans : • প্রথম সূত্র : আপতিত রশ্মী, প্রতিসৃত রশ্মী ও আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
• দ্বিতীয় সূত্র : একবর্নী কোন আলোক রশ্মী দুটি নির্দিষ্ট আলোকীয় মাধ্যমের বিভেদতলে প্রতিসৃত  হলে, আপাতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত ধ্রুবক হয়।
* প্রতিসরণের এই দ্বিতীয় সূত্রটিকে স্নেলের সূত্র ও বলা হয়। 
44) স্নেলের সূত্রটি লেখ?
Ans : একবর্নী কোন আলোক রশ্মী দুটি নির্দিষ্ট আলোকীয় মাধ্যমের বিভেদতলে প্রতিসৃত  হলে, আপাতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত ধ্রুবক হয়। এই ধ্রুবকের মান মাধ্যম দুটির প্রকৃতি ও ব্যবহৃত আলোর বর্ণের উপর নির্ভর করে। প্রতিসরণের এই সূত্রটিকে স্নেলের সূত্র বলা হয়। 

• যদি আপতন কোণ = i এবং প্রতিসরণ কোণ = r হয় তাহলে, sini / sinr = ধ্রুবক ।
45) আলোক রস্মি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে , আলোক রশ্মী কোন দিকে বেঁকে যাবে?
Ans: প্রতিসৃত রশ্মী অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
46) আলোক রস্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘনমাধ্যম প্রতিসরণের ক্ষেত্রে , আলোক রশ্মী কোন দিকে বেঁকে যাবে?
Ans: প্রতিসৃত রশ্মী অভিলম্বের দিকে বেঁকে  যায়।
47) আলোক রশ্মী লম্ব আপতনের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান কত?
Ans : 0° ।
48) কোন ক্ষেত্রে স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য নয়?
Ans : অভিলম্ব আপতনের ক্ষেত্রে।
49) প্রতিসরাঙ্ক ( Refractive index ) কাকে বলে ? এর একক কি? আলোর প্রতিসরাঙ্ক এর মান কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
Ans : একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মি এক মাধ্যম থেকে অপর কোনো মাধ্যমে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাতকে প্রথম মাধ্যমে সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে।
• প্রতিসরাঙ্কের কোন একক নেই । এটি একটি মাত্রাহীন রাশি।
• প্রতিসরাঙ্কের মান -------  
i) সংশ্লিষ্ট মাধ্যম দুটির প্রকৃতি ।
ii) আপতিত আলোর বর্ণের উপর নির্ভর করে। 
iii)  মাধ্যমের আলোকীয় ঘনত্ব। মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি হলে আলোর বেগ কম হয় এবং প্রতিসরাঙ্ক বেশি হয়।
iv) তাপমাত্রার উপর।
50) পরম প্রতিসরাঙ্ক ( Relative refraction index ) ও  আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক ( Absolute refraction index ) কাকে বলে?
Ans: কোন মাধ্যমের সাপেক্ষে অন্য কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ককে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলে।
 • শূন্য মাধ্যমের সাপেক্ষে অন্য কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ককে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক বলে ।
51) আলোক রশ্মী এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যাওয়ার সময় বেঁকে যায় কেন?
Ans: বিভিন্ন মাধ্যমে আলোর গতিবেগ বিভিন্ন। অর্থাৎ একই সময়ে আলোক রশ্মী বিভিন্ন মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করে। তাই এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে আলোক রশ্মী যাওয়ার সময় বেঁকে দেখা যায়।
52) জলের প্রতিসরাঙ্ক 1.33 বলতে কি বুঝ? পর্ষদ নমুনা ত্রিপুরা 2017
Ans : জলের প্রতিসরাঙ্ক 1.33 বলতে বুঝায় যে, কোন আলোক রশ্মী শূন্যস্থান কিংবা বায়ু থেকে জলে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত হবে 1.33।
53) চ্যুতি কোণ কি?
Ans : আলোর প্রতিসরণের সময় আপতিত রশ্মি অভিমুখ ও প্রতিসৃত রশ্মির অভিমুখের মধ্যে যে কোনো উৎপন্ন হয়, তাকে চ্যুতি কোণ বলে।
54) বায়ু থেকে একটি আয়তাকার পুরু কাচ ফলকের ওপর তীর্যকভাবে আপতনের পর আলোক রশ্মী কিভাবে মধ্য দিয়ে কাচ ফলকটির মধ্য দিয়ে প্রতিসৃত হয় চিত্র এঁকে দেখাও?
অথবা, প্রমাণ করা যে আয়তাকার কাচ ফলকের মধ্য দিয়ে আলো প্রতিসৃত হলে প্রথম আপতিত রশ্নি এবং শেষ নির্গমন রশ্মী পরস্পর সমান্তরাল হয়।
Ans : 

55) জলে আংশিক নিমজ্জিত দন্ড বাঁকা দেখায় কেন?
Ans : একটি সোজা দণ্ডকে জলে আংশিক ডোবালে যে অংশ জলের উপরে থাকে সেখান থেকে আলোক রশ্মি সরাসরি চোখে এসে পড়ে ফলে ওই অংশকে সোজা দেখায়। কিন্তু জলে নিমজ্জিত অংশ থেকে আলোকরশ্মি ঘন 

মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হয়, ফলে প্রতিসৃত রশ্মী গুলি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে নিমজ্জিত প্রান্তবিন্দুর অবস্থানকে প্রকৃত অবস্থানের কিছুটা উপরে মনে হয়। তাই দন্ডটিকে বাঁকা দেখায়।

56) গ্লিসারিনের কাচের দন্ড অদৃশ্য হয় কেন?
Ans : কাচ ও গ্লিসারিনের প্রতিসরাঙ্ক প্রায় সমান,তাই ওদের বিভেদতলে আলোর কোন প্রতিফলন হয় না বলে কাচকে গ্লিসারিন থেকে আলাদা করে দেখতে পাওয়া যায় না। তাই গ্লিসারিনে কাঁচের টুকরো অদৃশ্য হয়ে যায়।
57) বায়ুর সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 3/2 হলে , কাচের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক কত?Ans : 2/3
58) হীরকের প্রতিসরাঙ্ক 2.42 --- এ বিবৃতিটির অর্থ কি?
Ans : হীরকের প্রতিসরাঙ্ক 2.42 বলতে বুঝায় যে, কোন আলোক রশ্মী শূন্যস্থান কিংবা বায়ু থেকে হীরকে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের অনুপাত হবে 2.42 ।
59) তৈলাক্ত কাগজকে সামান্য স্বচ্ছ দেখায় কেন?
Ans : কাগজের তল অমসৃণ বলে আপতিত আলোর প্রায় সব অংশ বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিফলিত হয়।তেল মাখালে কাগজের তল অনেকটা মসৃণ হয়ে যায় বলে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন কমে যায় এবং আপতিত আলোর বেশ কিছু অংশ কাগজের মধ্য দিয়ে প্রতিসৃত হয় । ফলে তৈলাক্ত কাগজ ঈষৎ স্বচ্ছ দেখায়।
60) সংকট কোণ ( Critical angle) কি ? এর মান কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
Ans : ঘনতর মাধ্যম থেকে লঘুতর মাধ্যমে আলোকরশ্মি প্রতিসৃত হওয়ার সময়, ঘনতর মাধ্যমের যে আপাতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণ 90 ডিগ্রি হয়, ঘনতর মাধ্যমের সেই আপতন কোণকে সংকট কোণ বলে ।
• সংকট কোণের মান ---- (i) মাধ্যম দ্বয়ের প্রকৃতি এবং ( ii) আপতিত আলোর বর্ণের ওপর নির্ভর করে।
61) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন (Total internal reflection) কি?
Ans : আলোক রশ্মী ঘনতর মাধ্যম থেকে লঘুতর মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় যদি ঘনতর মাধ্যমে আপতন কোণ মাধ্যম দ্বয়ের সংকট কোণ অপেক্ষা বড় হয়, তাহলে রশ্মিটি লঘুতর মাধ্যমে প্রতিসৃত না হয়ে মাধ্যম দ্বয়ের বিভেদ তলে সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয়ে আবার ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। এই ঘটনাকে আলোর অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে।
62) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন এর শর্ত লেখ?
Ans: 
i) আলোক রশ্মির প্রতিসরণ সর্বদা ঘণ মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে হবে।
ii) ঘনতর মাধ্যমের আপতন কোণের মান সংকট কোণ অপেক্ষা বেশি হতে হবে।
63) লঘুতর মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে আলোক প্রবেশ করলে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন হয় না কেন?
Ans : আলোক রস্মি লঘুতর মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসৃত হলে প্রতিসরণ কোণ সর্বদা আপতন কোণ অপেক্ষা ছোট হয়। কাজেই আপতন কোণ বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ 90° পৌঁছলেও প্রতিসরণ কোণ 90° এর কম হয়। আপতন কোণ আর বাড়ানো সম্ভব নয় বলে আলোক রস্মির অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন হয় না।
64) শূন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক এর মান কত?
Ans : 1 .
65) প্রকৃতিতে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন এর একটি দৃষ্টান্ত দাও?
Ans : মরীচিকা ।
66) মরীচিকায় কি প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
Ans : অসদ বিম্ব।
67) লেন্স কাকে বলে?
Ans : দুটি গোলীয় তল অথবা একটি গোলীয় তল ও একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ কোন স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে  লেন্স বলে।
68) উত্তল লেন্স (convex lens) ও অবতল লেন্স(concave lens) কাকে বলে?
Ans : যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও প্রান্তের দিক ক্রমশ সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে।
• যে লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্তের দিক ক্রমশ মোটা তাকে অবতল লেন্স বলে।
69) উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয় কেন?
Ans : একগুচ্ছ আলোক রশ্মি উত্তল লেন্সের উপর প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আপতিত হলে , লেন্সে প্রতিসরণের পর অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। তাই উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলে।

70) অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
Ans : একগুচ্ছ আলোক রশ্মি অবতল লেন্সের উপর প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আপতিত হলে , লেন্সে প্রতিসরণের পর অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। তাই অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে।


71) লেন্সের আলোক কেন্দ্র ( optical centre ) কি?
Ans :  আলোক কেন্দ্র হলো লেন্সের মধ্যে প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট বিন্দু যার মধ্যে দিয়ে কোনো রশ্মি অতিক্রম করলে প্রতিসরণের পর লেন্সের অপর পৃষ্ঠ থেকে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মির সমান্তরালভাবে নির্গত হয়। 
72) লেন্সের বক্রতার কেন্দ্র, বক্রতা ব্যাসার্ধ , মুখ্য ফোকাস, ফোকাস তল কি?
Ans : 
• লেন্সের কোনো তল যে গোলকের অংশ হবে ওই গোলকের কেন্দ্রকে বক্রতা কেন্দ্র বলে ।
• লেন্সের কোনো তল যে গোলকের অংশ হবে ওই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে ।
• যদি কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে এসে লেন্সের ওপর পড়ে, তাহলে প্রতিসরণের পর রশ্মিগুচ্ছ উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত একটি বিন্দুতে মিলিত হয়; কিংবা অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় । সেই বিন্দুটিকে লেন্সের মুখ্য ফোকাস বলে ।
• মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থিত তলকে লেন্সের ফোকাস তল বলে ।
73) একটি উত্তল লেন্সকে জলে ডোবালে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের কি পরিবর্তন হবে?
Ans : কোনো লেন্সের চারপাশের মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বাড়লে লেন্সের প্রতিসরাঙ্ক কমে যায়। লেন্সের প্রতিসরাঙ্ক কমে গেলে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। বায়ুর তুলনায় জলের প্রতিসরাঙ্ক বেশি বলে লেন্সের প্রতিসরাঙ্ক কমে যাবে। ফলে এক্ষেত্রে উত্তল লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে।
74) একটি উত্তল লেন্সের অর্ধেকটা কাপড়ে মুড়ে দিলে বস্তুর প্রতিবিম্ব কিরূপ পরিবর্তন হবে?
Ans : উত্তল লেন্সের অর্ধেকটা খোলা থাকার জন্য ওই অংশ দিয়ে আলোর প্রতিসরণ হবে এবং বস্তুর পূর্ণই প্রতিবিম্ব গঠিত হবে।কিন্তু অর্ধেক অংশ দিয়ে আলোর প্রতিসরণ না হওয়ায় প্রতিবিম্বের উজ্জ্বলতা কমে যাবে।
75) একটি উত্তল লেন্সের f ও 2f এর মধ্যে একটি বস্তু রাখলে কিরূপ প্রতিবিম্ব গঠিত হবে চিত্রসহ এর বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans : উত্তল লেন্সের f ও 2f এর মধ্যে বস্তু রাখলে প্রতিবিম্বটি সদ্ , অবশীর্ষ এবং বস্তুর চেয়ে আকারে বড় হয়।
এক্ষেত্রে প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আলোক রশ্মী প্রতিসৃত হয়ে ফোকাস F দিয়ে নির্গত হয়। অপর একটি রশ্মী  আলোক কেন্দ্র এর মধ্য দিয়ে সোজা নির্গত হয়। যার ফলে প্রতিবিম্ব বস্তুর চেয়ে বড় হয় যা চিত্রে দেখানো হয়েছে।  

76) একটি উত্তল লেন্সের ফোকাস এর কম দূরত্বে একটি বস্তু রাখলে কিরূপ প্রতিবিম্ব গঠিত হবে চিত্রসহ এর বৈশিষ্ট্য লেখ?
অথবা, উত্তল লেন্স কখন বিবর্ধক কাচ হিসেবে কাজ করে ব্যাখ্যা কর?
অথবা , বিবর্ধক কাচ হিসেবে উত্তল লেন্সের ব্যবহার লিখ?
Ans : উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে একটি বস্তু রাখলে বস্তুটির অসদ্ , সমশীর্ষ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। 
উত্তল লেন্সকে যখন এভাবে কাজে লাগানো হয় তখন তাকে বিবর্ধক কাচ বলে।
বইয়ের ছোট ছোট অক্ষর , ঘড়ির সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি স্পষ্ট এবং বড় দেখার জন্য বিবর্ধক কাচ ব্যবহার করা হয়।

77) উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্সের মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans : i) উত্তল লেন্সের দুপ্রান্ত অপেক্ষা মধ্যভাগ মোটা।
• অবতল লেন্সের দু-প্রান্ত অপেক্ষা মধ্যভাগ সরু।
ii) বায়ু মাধ্যমে উত্তল লেন্স অভিসারী লেন্স হিসেবে কাজ করে।
• বায়ু মাধ্যমে অবতল লেন্স অপসারী লেন্স হিসেবে কাজ করে।
iii) উত্তল লেন্সে সদ এবং অসদ্  উভয় ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
• অবতল লেন্সে কেবল অসদ্ বিম্ব গঠিত হয়।
78) লেন্স কর্তৃক বিবর্ধন কাকে বলে?
Ans : কোন লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য এবং বস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে বিবর্ধন বলে.
অর্থাৎ m = v/u
79) লেন্সের ক্ষমতা কি? এর একক লেখ?
Ans :  Ans : কোনো লেন্সের উপর আপতিত সমান্তরাল রশ্মী গুচ্ছকে অভিসারী অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করার সামর্থ্যকে লেন্সের ক্ষমতা বলে।

সুতরাং লেন্সের ক্ষমতা বলতে তার ফোকাস দূরত্বের অনোন্যককে বোঝায়। অর্থাৎ ক্ষমতা P = 1/f

লেন্সের ক্ষমতার একক ডায়োপ্টার ( dioptre বা  D )

80) সমান ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি উত্তল লেন্স ও একটি অবতল লেন্স সংস্পর্শে থাকলে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব এবং ক্ষমতা কত?
Ans : ফোকাস দূরত্ব = অসীম এবং ক্ষমতা = 0।
81) স্পর্শ না করে একটি লেন্স উত্তল না অবতল তা কিভাবে চেনা যায়?
Ans:  কোন লেন্সের মুখ্য ফোকাস এর মধ্যে কোন বস্তু রাখলে যদি বস্তুর বিবর্ধিত অসদ্ বিম্ব গঠিত হয়, তাহলে বুঝতে হবে লেন্সটি উত্তল।
• আর যদি বস্তু অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর অসদ্ বিম্ব গঠিত হয়, তাহলে বুঝতে হবে লেন্সটি অবতল।
82) গোলীয় দর্পণের সাধারণ সূত্রটি লেখ?
Ans : 1/v + 1/u = 1/f ; যেখানে, বস্তুর দূরত্ব = u,  প্রতিবিম্ব দূরত্ব = v এবং ফোকাস দৈর্ঘ্য = f.
83) লেন্সের সাধারণ সমীকরণ বা লেন্সের সূত্রটি লেখ?
Ans : 1/v - 1/u = 1/f ; যেখানে, বস্তুর দূরত্ব = u,  প্রতিবিম্ব দূরত্ব = v এবং ফোকাস দৈর্ঘ্য = f.
84) বিবর্ধক কাচে কি ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
Ans : উত্তল লেন্স।
85) একটি আয়তকার কাচ ফলকের ক্ষমতা কত?
Ans : 0।
86) প্রতিসরাঙ্ক মাপার জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?
Ans :  রিফ্র্যাক্টোমিটার ( refractometer )
87) একটি উত্তল লেন্স বস্তুর 10 গুন বিবর্ধিত সদবিম্ব সৃষ্টি করে। ফোকাস দৈর্ঘ্য 20 সেন্টিমিটার হলে বস্তু দূরত্ব নির্ণয় কর? TBSE - 2018
Ans : u = - 22 cm
সুতরাং বস্তুর দূরত্ব 22 সেন্টিমিটার।
88) একটি লেন্সের ক্ষমতা   - 2.5 D। লেন্সটির প্রকৃতি ও ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?  ত্রিপুরা পর্ষদ নমুনা - 2017
Ans : লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য - 40 সেন্টিমিটার এবং লেন্সের প্রকৃতি অবতল।
89) একটি লেন্সের ক্ষমতা 1 ডায়াপ্টার এর সংজ্ঞা দাও?
Ans : একটি লেন্সের ক্ষমতা এক ডায়াপ্টার বলতে বোঝায়, লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য হবে 1 মিটার।
90) 2 মিটার ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি অবতল লেন্সের ক্ষমতা নির্ণয় কর?
Ans :    - 0.5D
91) 5 সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি বস্তুকে 10 সেন্টিমিটার ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি অভিসারী লেন্স থেকে 25 সেন্টিমিটার দূরে রাখা হল। রশ্মি চিত্র অঙ্কন কর এবং গঠিত প্রতিবিম্বের অবস্থান দৈর্ঘ্য(আকার) ও প্রকৃতি নির্ণয় কর?
Ans : প্রতিবিম্বটি লেন্সের পিছনে 16.67 সেন্টিমিটার দূরে অবস্থিত এবং প্রতিবিম্ব সদ্ ও অবশীর্ষ ।
• প্রতিবিম্বটির আকার 3.33 সেন্টিমিটার।
92)15 সেন্টিমিটার ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি অবতল লেন্স থেকে 10 সেন্টিমিটার দূরে একটি প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।লেন্স থেকে বস্তুটি কত দূরে আছে রস্মি চিত্র অঙ্কন করো।
Ans : U = - 30cm
এতএব, বস্তুটি অবতল লেন্সের সামনে 30 সেন্টিমিটার দূরে অবস্থিত।
93) একজন ডাক্তার  +1.5D ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সংশোধন লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন। লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর? উক্ত লেন্সটি অপসারী না অভিসারী?
Ans : লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য = 66.7 cm।
যেহেতু ফোকাস দৈর্ঘ্য ঋণাত্মক , তাই লেন্সটি অভিসারী ( উত্তল লেন্স )।
94) একটি উত্তল লেন্স এর থেকে 50 সেন্টিমিটার দূরত্বে থাকা একটি ছু৺চের  সৎ ও  অবশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠন করে।প্রতিবিম্বের আকার এবং বস্তুর আকার সমান হলে ছু৺চটিকে উত্তল লেন্সের সামনে কোথায় রাখা হয়েছে। লেন্সের ক্ষমতা ও নির্ণয় কর?
Ans : উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের দ্বিগুণ দূরত্বে রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ 2f = 50 
f = +25 cm
এবং লেন্সের ক্ষমতা = + 4D.
95) 15 cm ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি উত্তল দর্পণ থেকে 10 cm দূরে একটি বস্তু রাখা হল। প্রতিবিম্বের অবস্থান ও প্রকৃতি নির্ণয় কর?
Ans : v = 6cm
অর্থাৎ বস্তুটির প্রতিবিম্ব দর্পণের যেদিকে বস্তু আছে তার বিপরীত দিকে 6 সেন্টিমিটার দূরে গঠিত হবে।
• প্রতিবিম্বটি হবে অসৎ, খর্বাকার ও সমশীর্ষ।
96) 30 cm বক্রতাব্যাসার্ধ বিশিষ্ট একটি অবতল দর্পণের সামনে 20 cm দূরে 50 cm দৈর্ঘ্যের একটি বস্তু রাখা হলো। প্রতিবিম্বের অবস্থান , প্রকৃতি এবং আকার নির্ণয় কর?
Ans : v = - 60 cm 
অর্থাৎ প্রতিবিম্বটি দর্পণের সামনে দর্পণ থেকে 60 সেন্টিমিটার দূরে গঠিত হবে।
• প্রতিবিম্বটি সদ্ , বিবর্ধিত ও অবশীর্ষ হবে।
97) 18 cm ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি অবতল দর্পণের সামনে 27 cm দূরে 7.0 cm আকারের একটি বস্তুকে রাখা হল। একটি স্পষ্ট প্রতিবিম্ব পেতে হলে পর্দাটিকে দর্পণ থেকে কত দূরে স্থাপন করতে হবে? প্রতিবিম্বের আকার ও প্রকৃতি নির্ণয় করো? TBSE - 2019
Ans : v = - 54 cm অর্থাৎ পর্দাটিকে দর্পণের সামনে দর্পণ থেকে 54 সেন্টিমিটার দূরে স্থাপন করতে হবে।
• প্রতিবিম্বের আকার হবে 14 cm। এবং প্রতিবিম্ব সদ্ , অবশীর্ষ ও বিবর্ধিত হবে।
98) বিবর্ধন ( Magnification ) কাকে বলে?
Ans : গোলীয় দর্পণের ক্ষেত্রে কোন বস্তুর প্রতিবিম্বের উচ্চতা এবং বস্তুর উচ্চতার অনুপাতকে বলা হয় বিবর্ধন বা রৈখিক বিবর্ধন ।
99)  কোন যন্ত্র দিয়ে লেন্সের ক্ষমতা সরাসরি মাপা যায়?
Ans : ডায়প্ ট্রিমিটার।
100) একটি উত্তল লেন্স ( অভিসারী লেন্স ) কি কখনো অবতল লেন্সের ( অপসারী লেন্স ) মতো কাজ করে?
Ans : উত্তল লেন্সের মাধ্যমের ঘনত্বের চেয়ে পারিপার্শ্বিক মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি হলে উত্তল লেন্স অবতল লেন্সের মতো কাজ করে।
101) 5 cm উচ্চতার কোন বস্তুকে 20 cm ফোকাস দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট কোন অবতল লেন্সের সামনে কোথায় বসালে লেন্সটি থেকে 15 cm দূরে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়? প্রতিবিম্বের সাইজ কত হবে? TBSE -2020
Ans : u = - 60 cm অর্থাৎ লেন্সের সামনে বস্তুটির 60 সেন্টিমিটার দূরে অবস্থিত।
প্রতিবিম্বের সাইজ 5/4 সেন্টিমিটার উচ্চতাবিশিষ্ট।
102) 5 সেমি দৈর্ঘ্যের একটি বস্তুকে 30 সেন্টিমিটার বক্রতা ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট অবতল দর্পণের মেরু থেকে 25 সেন্টিমিটার দূরে রাখা হলো। দর্পণের জন্য সৃষ্ট প্রতিবিম্বের দূরত্ব, উচ্চতা ও প্রকৃতির নির্ণয় করো? TBSE - 2019
Ans : v = - 37.5 Cm অর্থাৎ প্রতিবিম্বটি দর্পণের সামনে 37.5 Cm দূরত্বে অবস্থিত।
• প্রতিবিম্বের উচ্চতা = 7.5 cm এবং প্রতিবিম্বের প্রকৃতি হবে সৎ ও অবশীর্ষ।
103) কাঁচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 হলে কাঁচের মধ্যে আলোর বেগ কত? 
Ans : 2 x 108 m/s।
105) কোন বর্ণের প্রতিসরাঙ্ক সর্বাধিক?
Ans : বেগুনি বর্ণের।
Visit Our YouTube Channel : 

No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.