Ans :
• প্রোটিন :
প্রধান কাজ : দেহকোশ গঠন ও ক্ষয়পূরণ।
গঠনগত একক: অ্যামাইনো অ্যাসিড ।
তাপন মূল্য : 4.1 kcal/gm
• কার্বোহাইড্রেট :
প্রধান কাজ : তাপ শক্তি উৎপাদন।
গঠনগত একক: মনোস্যাকারাইড।
তাপন মূল্য : 4.1 kcal/gm
• ফ্যাট :
প্রধান কাজ : তাপ শক্তি উৎপাদন।
গঠনগত একক : ফ্যাটি অ্যসিড ও গ্লিসারল।
তাপন মূল্য : 9.3 kcal/gm
14) দ্রাব্যতা অনুসারে ভিটামিন কত প্রকার ও কি কি প্রতিটি ক্ষেত্রে উদাহরণ দাও?
Ans : দ্রাব্যতা অনুসারে ভিটামিনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়---
ক) জলে দ্রবণীয় ভিটামিন : ভিটামিন B কমপ্লেক্স, C
খ) তেলে দ্রবণীয় ভিটামিন : ভিটামিন A,D,E,K.
15) নিম্নলিখিত ভিটামিন গুলোর রাসায়নিক নাম, উৎস এবং অভাবজনিত লক্ষণ লেখ: A,D,E,K,C
Ans :
• ভিটামিন A :
রাসায়নিক নাম : রেটিনল।
উৎস :
উদ্ভিজ্জ উৎস : গাজর, টমেটো ,বাঁধাকপি ইত্যাদি।
প্রাণিজ উৎস : দুধ ,ডিম, কড ও হাঙ্গর মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেল।
অভাবজনিত লক্ষণ : রাতকানা রোগ হয়।
• ভিটামিন D :
রাসায়নিক নাম : ক্যালসিফেরল।
উৎস :
উদ্ভিজ্জ উৎস : উদ্ভিজ্জ তেল, বাঁধাকপি।
প্রাণিজ উৎস : দুধ ,ডিম, কড ও হাঙ্গর মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেল।
অভাবজনিত লক্ষণ : ছোটদের রিকেট এবং বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়।
• ভিটামিন E :
রাসায়নিক নাম : টোকোফেরল।
উৎস :
উদ্ভিজ্জ উৎস : শাকসবজি, গমের অঙ্কুর নিঃসৃত তেল, মটর ইত্যাদি।
প্রাণিজ উৎস : দুধ, ডিম, মাংস।
অভাবজনিত লক্ষণ :
i) প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
ii) পেশি ও জনন অঙ্গের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
• ভিটামিন K :
রাসায়নিক নাম : ফাইলোকুইনন ।
উৎস :
উদ্ভিজ্জ উৎস : বাঁধাকপি, টমেটো, পালং।
প্রাণিজ উৎস : দুধ , ডিম , গরু এবং শুকরের যকৃৎ।
অভাবজনিত লক্ষণ : রক্ত তঞ্চন ব্যাহত হয়।
• ভিটামিন C :
রাসায়নিক নাম : অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
উৎস :
উদ্ভিজ্জ উৎস : লেবু , আমলকী, টমেটো ,শাকসবজি ।
প্রাণিজ উৎস : গরুর দুধ , মাছ, মাংস।
অভাবজনিত লক্ষণ :
i) মানুষের স্কার্ভি রোগ হয়।
ii) রক্তজালক ভঙ্গুর হয়।
16) সালোকসংশ্লেষ কাকে বলে? এর রাসায়নিক সমীকরণটি লিখ?
Ans : যে জৈবনিক পদ্ধতিতে সবুজ উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে জল এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এবং ক্লোরোফিল এর সাহায্যে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে , তাকে সালোকসংশ্লেষ বলে।
17) স্বভোজী পুষ্টির কয়টি পর্যায় ও কি কি?
Ans : স্বভোজী পুষ্টি দুটি পর্যায় ঘটে । যেমন--
১৷ সংশ্লেষ , ২৷ আত্তীকরণ
18) আত্তীকরণ ( Assimilation ) কাকে বলে?
Ans : যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের নিজ দেহে সংশ্লেষিত খাদ্যবস্তু কোষীয় প্রোটপ্লাজমে অঙ্গীভূত হয় তাকে আত্তীকরণ বলে।
19) মৃতজীবী পুষ্টি ( Saprophytic nutrition ) কি?
Ans : যে পুষ্টি পদ্ধতিতে উদ্ভিদ গলিত ও পচা উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, তাদের মৃতজীবী পুষ্টি বলে । উদাহরণ - ব্যাঙের ছাতা বা অ্যাগারিকাস, ঈস্ট।
20) মিথোজীবীয় পুষ্টি ( Symbiotic nutrition ) কি ?
Ans : যে পুষ্টির প্রক্রিয়ায় এক জীব অন্য কোনো জীবের সাহচর্যে জীবন ধারণ করে পরস্পর উপকৃত হয়, তাকে মিথোজীবী পুষ্টি বলে।
যেমন - লাইকেন , রাস্না।
21) পতঙ্গভুক পুষ্টি কি?
Ans : যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ নাইট্রোজেন ঘটিত খাদ্যের জন্য পতঙ্গ ধরে পতঙ্গের দেহ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে পুষ্টি সম্পন্ন করে, তাদের পতঙ্গভুক পুষ্টি বলে। যেমন – কলসপত্রী, সূর্যশিশির, পাতাঝাঁঝি
22) একটি করে বহিঃপরজীবী ও অন্তঃপরজীবী প্রাণীর নাম কর?
Ans :
• বহিঃপরজীবী : উকুন , এঁটুলি ।
• অন্তঃপরজীবী : গোলকৃমি, ফিতাকৃমি।
23) হলোজয়িক পুষ্টি বা প্রাণীর পুষ্টির কয়টি ও কি কি?
Ans : পাঁচটি পর্যায়, যেমন-- খাদ্যগ্রহণ ,পরিপাক, শোষণ, আত্তীকরণ ও বহিষ্করণ।
24) কোন প্রাণী ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খাদ্য গ্রহণ করে?
Ans : ফিতাকৃমি।
25) কোন প্রাণী চোষকের সাহায্যে খাদ্য গ্রহণ করে?
Ans : মশা , জোক।
26) কোন প্রাণীর দেহে অন্তঃকোষীয় ও বহিঃকোষীয় উভয় প্রকার পরিপাক দেখা যায়?
Ans : হাইড্রা।
27) একটি করে শর্করাভঙ্গক, প্রোটিন ভঙ্গক এবং স্নেহপদার্থ ভঙ্গক উৎসেচকের এর নাম কর?
Ans :
• শর্করাভঙ্গক : মলটেজ , সুক্রেজ।
• প্রোটিন ভঙ্গক : পেপসিন, রেনিন।
• স্নেহপদার্থ ভঙ্গক : লাইপেজ।
28) আমাদের মুখবিবরে কি জাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয়?
Ans : শর্করা জাতীয় খাদ্য।
29) মুখবিবরে শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিপাককারী উৎসেচক এর নাম কর?
Ans : মলটেজ , টায়ালিন।
30) আমাদের পাকস্থলীতে কি জাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয়?
Ans : প্রোটিন এবং ফ্যাট।
31) পাকস্থলীতে প্রোটিন ও ফ্যাট পরিপাককারী একটি উৎসেচক এর নাম কর?
Ans :
• প্রোটিন : পেপসিন।
• ফ্যাট : লাইপেজ।
32) ভিলাই কি?
Ans : ক্ষুদ্রান্ত্রের অন্ত:প্রাকারে অসংখ্য অঙ্গুলের মতো উপবৃদ্ধি রয়েছে, এদের ভিলাই বলে।
কাজ : ভিলাই পাচিত খাদ্যের শোষণের জন্য ক্ষুদ্রান্ত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি করে এবং খাদ্য রস শোষণ করে।
33) উপচিতি ও অপচিতি বিপাক কাকে বলে?
Ans :
• উপচিতি : যে সকল গঠনমূলক বিপাক ক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় তাকে উপচিতি বিপাক বলে। যেমন - পুষ্টি , সালোকসংশ্লেষ।
• অপচিতি : যে সকল ধ্বংসাত্মক বিপাক ক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায়, তাকে অপচিতি বিপাক বলে । যেমন - শ্বসন ,রেচন।
34) BMR এর পুরো নাম কি?
Ans : বেসাল মেটাবলিক রেট।
35) শ্বসন কাকে বলে?
Ans : যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোশস্থ খাদ্য জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তির মুক্তি ঘটে , তাকে শ্বসন বলে।
36) সজীব কোষের প্রধান শ্বসন বস্তু কোনটি ?
Ans : গ্লুকোজ।
37) শ্বসন ( অন্তঃশ্বসন ) ও শ্বাসকার্যের ( বহিঃশ্বসন ) পার্থক্য লেখ?
Ans:
i) শ্বসন সজীব কোষে সংঘটিত হয়,
শ্বাসকার্য শ্বাস অঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
ii) শ্বসনে শক্তির রূপান্তর ঘটে,
শ্বাসকার্যে শক্তির রূপান্তর ঘটে না।
iii) শ্বসনে ATP উৎপন্ন হয়।
শ্বাসকার্যে ATP উৎপন্ন হয় না।
38) শ্বাস অঙ্গের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans :
i) শ্বাসঅঙ্গ গুলি অর্ধভেদ্য , আদ্র এবং বিস্তৃত।
ii) শ্বাসঅঙ্গ গুলি প্রচুর রক্তজালক সমৃদ্ধ।
39) পত্ররন্ধ্র ( Stomata ) কি ?এর কাজ লেখ?
Ans : উদ্ভিদের পাতার বহিঃত্বকে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে তাদের পত্ররন্ধ্র বলে।
• কাজ : পত্ররন্ধের মাধ্যমে গ্যাসীয় পদার্থের আদান প্রদান ঘটে।
40) লেন্টিসেল কি? লেন্টিসেল এর কাজ কি?
Ans: গুল্ম ও বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ডের ত্বকের বিদীর্ণ কিউটিকল বিহীন যে ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে তাকে লেন্টিসেল বলে ।
• কাজ : লেন্টিসেল শ্বাসঅঙ্গ রূপে উদ্ভিদের গ্যাসীয় পদার্থের আদান প্রদান ঘটে।
41) শ্বাসমূল বা নাসিকামূল বা নিউম্যাটোফোর (Pneumatophore) কী ?
কোন উদ্ভিদে শ্বাসমূল ( Pneumatophore ) দেখা যায়? এদের কাজ লিখ?
Ans : সুন্দরী, গেঁও, গরাণ প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদের কিছু শাখাপ্রশাখা মূল অভিকর্ষের বিপরীতে খাড়াভাবে মাটির ওপরে উঠে আসে এবং মূলে উপস্থিত ছিদ্রের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহন করে । এই মুলগুলিকে স্বাসমূল বলে ।
• সুন্দরী , গরান , গেঁও ।
• কাজ : গ্যাসীয় পদার্থের আদান-প্রদানে সাহায্য করে।
42) কোন প্রাণী ভিজে ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
Ans : কেঁচো , জোক ।
43) আরশোলার শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans : শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়া।
44) আরশোলার কয় জোড়া শ্বাস ছিদ্র থাকে?
Ans : 10 জোড়া।
45) অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র কোন মাছে দেখা যায়? অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্রের কাজ কি?
Ans : কই , শিঙ্গি , মাগুর।
• কাজ : বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারে।
46) মানুষের শ্বাস পেশী গুলির নাম কর?
Ans : পঞ্জারাস্থিমধ্যস্থ পেশী এবং মধ্যচ্ছদা।
47) চিংড়ি ও মাছের শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans : ফুলকা।
48) ব্যাঙাচির শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans: বহি:ফুলকা।
49) মাকড়সার শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans : বুকলা়ং ।
50) ব্যাঙ, সরীসৃপ ও মানুষের শ্বাসঅঙ্গের নাম কি?
Ans : ফুসফুস।
51) পক্ষীর শ্বাসঅঙ্গের নাম কি?
Ans : ফুসফুস ও বায়ুথলি।
52) সবাত শ্বসন কাকে বলে ?
Ans : যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বায়ুজীবি জীবের কোষস্থ শ্বসনবস্তু (গ্লুকোজ) সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে জল ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তুস্থিত শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয় তাকে সবাত শ্বসন বলে ।
সমীকরণ : C6H12O6
+ 6O2 ⟶ 6CO2 + 6H2O + 686K.Cal
53) সন্ধান (Fermentation) কাকে বলে ?
Ans : যে অবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় শ্বসন বস্তু অক্সিজেন ছাড়াই অণুজীব নিঃসৃত উৎসেচকের সাহায্যে জারিত হয়ে বিভিন্ন জৈব যৌগ (ইথাইল অ্যালকোহল, ল্যাকটিক অ্যাসিড) উৎপন্ন করে ও শ্বসন বস্তু থেকে শক্তির আংশিক নির্গমন ঘটে তাকে সন্ধান ঘটে ।
54) কোহল সন্ধানের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ করো ।
অথবা , শিল্পে কেন সন্ধান প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম ?
Ans :
• (i) বাণিজ্যিকভাবে অ্যালকোহল তথা মদ তৈরিতে কোহল সন্ধানের ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে ।
• (ii) বেকারি শিল্পে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট তৈরিতে ।
• iii) দই , ভিনিগার ইত্যাদি প্রস্তুতিতে।
55) সবাত ও অবাত শ্বসনের পার্থক্য লিখ?
Ans : i) সবাত শ্বসন মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতি ঘটে।
অবাত শ্বসন মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ঘটে।
ii) সবাত শ্বসনে গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়।
অবাত শ্বসনে গ্লুকোজ আংশিক জারিত হয়।
iii) সবাত শ্বসনে নির্গত শক্তির পরিমাণ 686 kcal.
অবাত শ্বসনে নির্গত শক্তির পরিমাণ 50 kcal.
56) গ্লাইকোলাইসিস কাকে বলে ?
Ans : শ্বসনের যে সাধারণ পর্যায়ে কোষের সাইটোপ্লাজমে এক অণু গ্লুকোজ কয়েক রকম উৎসেচকের প্রভাবে আংশিকভাবে জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক অ্যাসিড (CH3COCOOH), 2 অণু ATP, 2 অণু NADH2 ও 2 অণু H2O উৎপন্ন করে তাকে গ্লাইকোলাইসিস বলে । গ্লাইকোলাইসিসের অপর নাম EMP পথ ।
57) গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়াটি কোশের কোথায় ঘটে?
Ans: কোশের সাইটোপ্লাজমে।
58) সবাত ও অবাত শ্বসনের অন্ত:মধ্যবর্তী পদার্থের নাম কি?
Ans : পাইরুভিক অ্যাসিড।
59) গ্লাইকোলাইসিসের অন্তঃজাত পদার্থগুলি কী কী ?
অথবা, গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত অন্তিম বস্তুগুলি কী কী ?
Ans : গ্লাইকোলাইসিসের অন্তঃজাত পদার্থগুলি হল 2 অণু পাইরুভিক অ্যাসিড (CH3COCOOH), 2 অণু ATP, 2 অণু NADH2 ও 2 অণু H2O ।
60) গ্লাইকোলাইসিসকে EMP পথ বলে কেন ?
Ans : গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক বিক্রিয়াগুলি বিজ্ঞানী এম্বডেন, মেয়ারহফ ও পারনাস আবিষ্কার করেন বলে তাদের নামানুসারে গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়াকে EMP পথ বলে ।
61) ক্রেবস চক্র কাকে বলে ?
Ans : সবাত শ্বসনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পাইরুভিক অ্যাসিড থেকে উৎপন্ন অ্যাসিটাইল Co -A মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করে যে চক্রাকার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার জৈব অ্যাসিড, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জল উৎপন্ন করে তাকে ক্রেবস-চক্র বলে ।
62) ক্রেবস-চক্রকে সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বলে কেন ?
Ans : ক্রেবস-চক্রে উৎপন্ন প্রথম অ্যাসিডটি হল 6 কার্বনযুক্ত সাইট্রিক অ্যাসিড । সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে ক্রেবস-চক্র শুরু হয় বলে ক্রেবস-চক্রকে সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বলে ।
63) ক্রেবস-চক্রকে TCA চক্র বলে কেন ?
Ans : ক্রেবস-চক্রের প্রথম উৎপন্ন অ্যাসিডটি হল সাইট্রিক অ্যাসিড । সাইট্রিক অ্যাসিডে তিনটি কার্বক্সিলিক (-COOH) মূলক থাকায় ক্রেবস-চক্রকে TCA চক্র বা ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বলে ।
64) ক্রেবস চক্রটি কোষের কোথায় ঘটে?
Ans : মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে ঘটে।
65) একটি সজীব কোষ থেকে সমস্ত মাইটোকনড্রিয়াগুলিকে অপসারণ করলে কোষটির কী হবে ?
Ans : মাইটোকনড্রিয়া না থাকলে কোষে শ্বসন ক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না, ফলে শক্তি উৎপন্ন হবে না । শক্তি সরবরাহের অভাবে কোষের বিপাকীয় ক্রিয়াগুলি ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে কোষটির মৃত্যু ঘটবে ।
66) কোহল সন্ধান ও ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানকারী জীবাণুর নাম করো ।
Ans : কোহল সন্ধান সন্ধানকারী জীবাণুর নাম হল ঈস্ট এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানকারী জীবাণুর নাম হল ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া ।
67) ক্রেবস চক্রে কত অনু ATP উৎপন্ন হয়?
Ans : 30 অনু।
68) শ্বসনে মোট কত অণু ATP উৎপন্ন হয়?
Ans : 38 অনু।
69) ক্রেবস চক্রে প্রথম উৎপাদিত দ্রব্যটির নাম কি?
Ans: সাইট্রিক অ্যাসিড।
70) লবণাম্বু উদ্ভিদে শ্বাসমূল থাকে কেন ?
Ans : লবণাম্বু উদ্ভিদরা কর্দমাক্ত লবণাক্ত মাটিতে জন্মায় । এই মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় উদ্ভিদের শ্বাসকার্যের অসুবিধা হয় । এই অসুবিধা দূর করার জন্য উদ্ভিদের মূলের শাখাপ্রশাখাগুলি মাটির উপরে উঠে আসে এবং মূলে উপস্থিত ছিদ্র দ্বারা বায়ুমন্ডল থেকে অক্সিজেন গ্রহন করে । তাই লবণাম্বু উদ্ভিদে শ্বাসমূল থাকে ।
71) অ্যালভিওলাই কী ?
Ans : ফুসফুসের যে অসংখ্য সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম রক্তজালক পরিবেষ্টিত বায়ু প্রকোষ্ঠে গ্যাসীয় আদানপ্রদান ঘটে তাদের অ্যালভিওলাই বলে । অ্যালভিওলাইকে ফুসফুসের একক বলে ।
72) কই, সিঙি, মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র কিরূপ ?
Ans : কই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র দেখতে গোলাপফুলের মতো । মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র কদমফুলের মতো বা শাখাপ্রশাখাযুক্ত বৃক্ষের মতো । সিঙি মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র নলাকার ।
73) জিওল মাছ কী কারণে ডাঙ্গায় অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে ?
Ans : জিওল মাছের (কই, সিঙি, মাগুর) অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকায় তারা বায়ুর অক্সিজেন গ্রহন করে শ্বাসকার্য চালাতে পারে । বায়ুর অক্সিজেন গ্রহন করার উপযোগী শ্বাসঅঙ্গ থাকায় তারা ডাঙায় অনেকক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে ।
74) প্রশ্বাস ও নিশ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম কী ?
Ans : প্রশ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম হল মধ্যচ্ছদা বা ইন্টারকস্টাল পেশি (বহিস্থ ও অন্তঃস্থ উভেয়ই) ।
• নিশ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম স্কেপুলার ইলিভেটর, স্কেলেনি ।
75) প্লুরা কী এবং এর কাজ কী ?
Ans : মানুষের ফুসফুসের দ্বি-স্তর আবরণকে প্লুরা বলে ।
• প্লুরা (i) ফুসফুসকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে (ii) শ্বাসকার্যের সময় বক্ষপিঞ্জরের ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে ।
76) শ্বসন সমস্ত জীবের পক্ষে অপরিহার্য কেন ?
Ans : প্রত্যেক জীবদেহে নানাপ্রকার জীবজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । এই জীবজ ক্রিয়াগুলি সম্পন্ন হওয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন । জীবদেহে শ্বসন ক্রিয়ার সময় খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি তাপশক্তিরূপে মুক্ত হয়ে জীবজ ক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণ করে । সুতরাং শক্তি উৎপাদনের জন্য সমস্ত জীবের পক্ষে শ্বসন অপরিহার্য।
77) পরিশ্রম করলে শ্বাসকার্যের হার বৃদ্ধি পায় কেন ?
অথবা , দৌড়লে হাঁফাই কেন ?
Ans : অধিক পরিশ্রম করলে বিপাক হার বেড়ে যাওয়ার জন্য শক্তির চাহিদা বেড়ে যায় । এই শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য কোষের মধ্যে বেশি পরিমাণ খাদ্যের জারণ ঘটে এবং এর জন্য দ্রুত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় । এই কারণে শ্বাসকার্যের হার বৃদ্ধি পায় । শ্বাসকার্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত অতিরিক্ত অক্সিজেন নিতে হয় বলে আমরা হাঁফাই ।
78) উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে সংবহন এর মাধ্যম কি?
Ans : উদ্ভিদ দেহে সংবহন এর মাধ্যম জল ।
• প্রাণীদেহে সংবহন এর মাধ্যম রক্ত ও লসিকা।
79) সংবহন এর কয়েকটি গুরুত্ব লেখ?
Ans : সংবহনের মাধ্যমে জীবদেহে নিম্নলিখিত গুরুত্ব কাজ গুলি সাধিত হয় ---
• ১৷ পুষ্টি - উদ্ভিদ দেহে সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে প্রস্তুত তরল খাদ্য ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে এবং উন্নত প্রাণীদের ক্ষেত্রে পৌষ্টিক নালী থেকে শোষিত সরল খাদ্য উপাদান রক্তের মাধ্যমে সজীব কোষে পৌঁছায়।
• ২৷ শ্বসন - সংবহনের প্রধান উদ্দেশ্য শ্বাস অঙ্গের মাধ্যমে অক্সিজেন সংগ্রহ করে, তাকে প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া এবং কোষের শ্বসনের ফলে উৎপন্ন CO2 কে শ্বাস অঙ্গে বহন করে এনে পরিবেশে ত্যাগ করে।
• ৩৷ রেচন - কোষে উৎপন্ন বিপাকজাত বর্জ্য পদার্থ সমুহ সংবহনের ফলে রেচন অঙ্গে পৌঁছায়।
• ৪৷ সঞ্চয় - দেহে প্রয়োজন অতিরিক্ত খাদ্য বস্তু সংবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন সঞ্চয়ী অঙ্গে পৌঁছায় এবং ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চিত থাকে।
80) ব্যাপন ( Diffusion ) কি? সংবহনে ব্যাপনের গুরুত্ব লেখ?
Ans : যে ভৌত প্রক্রিয়ায় নিজস্ব গতি শক্তির প্রভাবে দুটি পৃথক পদার্থের অনু বা আয়ন গুলি বেশি ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্ব যুক্ত স্থানে গমন করে সমঘনত্বে উপনীত হয়,তাকে ব্যাপন বলে।
উদ্ভিদের সংবহনে ব্যাপনের ভূমিকা -----
• ১৷ মূলরোমের সাহায্যে জল ও খনিজ লবণ শোষণ এবং কোষ থেকে কোষান্তরে খনিজ লবণ সংবহনে ব্যপনের ভূমিকা আছে।
• ২৷ সালোকসংশ্লেষের সময় পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ও মেসোফিল কলার পরিবহণে ব্যপনের ভূমিকা আছে।
• ৩৷ পাতায় উৎপন্ন খাদ্য রস ব্যপন প্রক্রিয়ায় ফ্লোয়েম কলায় প্রবেশ করে এবং ফ্লোয়েম কলা থেকে ব্যপন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে পড়ে।
• ৪৷ শ্বসনের জন্য পরিবেশ থেকে শোষিত অক্সিজেন ব্যপন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের বিভিন্ন সজীব কোষে এসে পৌঁছায়।
81) অভিস্রবণ ( Osmosis ) কি ?সংবহনে অভিস্রবণের গুরুত্ব লেখ?
Ans : যে ভৌত প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক দুটি সমপ্রকৃতির অসম ঘনত্বের দ্রবণের দ্রাবক অনুর অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণে প্রবেশ করে তাকে অভিস্রবণ বলে।
উদ্ভিদের সংবহনে অভিস্রাবনের ভূমিকা ----
• ১৷ অন্ত অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় জল মূলরোমে প্রবেশ করে।
• ২৷ কোষান্তর অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় শোষিত জল কর্টেক্স কোষ গুলির মাধ্যমে জল জাইলেম বাহিকায় পৌঁছায়।
• ৩৷ জাইলেম বাহিকা থেকে জল অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় পাতার মেসোফিল কলায় ছড়িয়ে পড়ে।
82) ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর পার্থক্য লেখ?
Ans :
১৷ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন নেই।
• অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন।
২৷ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পদার্থের অনু গুল বেশি ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়।
• অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় দ্রাবকের অনু গুল কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে যায়।
৩৷ ব্যাপন বিষম প্রকৃতির মিশ্রণেও ঘটতে পারে।
• অভিস্রবন সমপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যে ঘটে।
83) রসের উৎস্রোত (Ascent of Sap ) কি?
Ans : যে প্রক্রিয়ায় মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও খনিজ লবণ জাইলেম বাহিকার মাধ্যমে অভিকর্ষের বিরুদ্ধে উদ্ভিদের ঊর্ধ্বমুখে বাহিত হয়ে পাতায় পৌঁছায় তাকে কোষ রসের উৎস্রোত বলে।
84) কিভাবে মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও খনিজ লবণ পাতায় পৌঁছায় আলোচনা কর।
অথবা, উদ্ভিদের ঊর্ধ্বমুখী সংবহন প্রক্রিয়াটি আলোচনা কর?
Ans : বাষ্পমোচন জনিত টান ও জলের তীব্র সমসংযোগ মতবাদ 1894 খ্রিস্টাব্দ বিজ্ঞানী ডিক্সন ও জলি এই মতবাদ প্রণয়ন করেন। এই মতবাদটি মূলত তিনটি বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরশীল ---
(ক) জলের তীব্র সমসংযোগ ও অসমসংযোগ বল :- তাদের মতে মূল থেকে পাতা পর্যন্ত জলের অনু গুলি নিজেদের মধ্যে সমসংযোগ ও জাইলেম বাহিকা গাত্রের অনুর সাথে জলের অনুর অসমসংযোগ বলে আবদ্ধ থাকে।
(খ) জলস্তম্ভের নিরবিছিন্নতা:- জলের তীব্র সমসংযোগ ও অসমসংযোগ বলের ফলে জাইলেম বাহিকার মধ্যে নিরবিছিন্ন জল স্তম্ভ তৈরি হয়।
(গ) বাষ্পমোচন জনিত টান:- পাতার মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত বাষ্পমোচন প্রক্রিয়া চলতে থাকায় পাতার জাইলেম বাহিকায় অবস্থিত জলস্তম্ভের উপরিতল থেকে জল বাস্পাকারে নির্গত হতে থাকে বাষ্পমোচনের ফলে জাইলেম বাহিকায় একটি টানের সৃষ্টি হয় একে বাষ্পমোচন টান বলে। এই বাষ্পমোচন টানের ফলে জাইলেম বাহিকার মধ্যে দিয়ে কোষ রসের উৎস্রোত ঘটে।
• বর্তমানে এই মতবাদটি সর্বজন স্বীকৃত।
85) কোন প্রাণীর সংবহনের মাধ্যম জল ?
Ans : তারা মাছ।
86) মুক্ত সংবহন ও বদ্ধ সংবহন কাকে বলে?
Ans:
• মুক্ত সংবহন তন্ত্র - যে সংবহন তন্ত্রে রক্ত কেবল মাত্র রক্ত বাহের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে দেহ গহ্বর বা সেলম নামে ফাঁকা স্থানে মুক্ত হয়ে থাকে তাকে মুক্ত সংবহন তন্ত্র বলে। যেমন - চিংড়ি , মাছের সংবহন তন্ত্র .
• বদ্ধ সংবহন তন্ত্র - যে সংবহন তন্ত্রে রক্ত সবসময় রক্তবাহে এবং হৃৎপিণ্ডের মধ্যে আবদ্ধ ভাবে সংবাহিত হয় কিন্তু কখনই দেহ গহ্বরে মুক্ত হয় না সেই সংবহন তন্ত্রকে বদ্ধ সংবহন তন্ত্র বলে। যেমন - কেঁচো, মানুষের সংবহন তন্ত্র।
87) রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্রটির নাম কি ?
Ans : রক্ত চাপ মাপক যন্ত্রটি হল স্ফিগমোম্যানোমিটার ( Sphgmomanometer )।
88) হিমোসিল কাকে বলে?
Ans : রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরকে হিমোসিল বলে। যে প্রাণীগুলোতে হিমোসিল বিদ্যমান: প্রজাপতি, চিংড়ি, আরশোলা, কাঁকড়া ইত্যাদি।
89) রক্তকে তরল যোগকলা বলে কেন?
Ans :
• ১৷ রক্ত ভ্রূণজ মেসোডার্ম থেকে উৎপত্তি লাভ করে।
• ২৷ রক্তে ভিত্তি পর্দা থাকে না।
• ৩৷ রক্তে কোষীয় উপাদানের তুলনায় ধাত্রের পরিমাণ বেশি থাকে।
• ৪৷ রক্ত তার তরল ধাত্রের সাহায্যে দেহের বিভিন্ন কলা, অঙ্গে ও তন্তের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।90) হিমোলিম্ফ কি?
Ans : আরশোলার শ্বাসরঞ্জক বিহীন বর্ণহীন রক্তকে হিমোলিম্ফ বলে।
91) রক্ত ( Blood ) কি?
Ans : রক্ত এক প্রকার অসচ্ছ, লমনাক্ত, ক্ষার ধর্মী তরল যোগ কলা।
92) রক্ত লাল কেন?
Ans : মানুষের রক্তে হিমোগ্লোবিন নামক লৌহ ঘটিত শ্বাস রঞ্জক পদার্থ থাকায় রক্তের বর্ণ লাল হয়।
93) রক্তের কাজ ( Function of Blood ) লিখ?
Ans :
• ১৷ পরিবহণ মাধ্যম ( Transporation ) : - রক্তের মাধ্যমে পুষ্টিদ্রব্য, ভিটামিন, খনিজ লবণ, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, হরমোন এবং বপাকজাত দূষিত পদার্থ সমূহ দেহের বিভিন্ন কলা কোষে পরিবাহিত হয়।
• ২৷ রক্ত তঞ্চন ( Coagulation ) :- রক্ত তার তঞ্চন ধর্মের সাহায্যে আঘাত প্রাপ্ত স্থান থেকে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে।
• ৩। রক্ত দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
• ৪। রক্ত আমাদের দেহে এন্টিবডি সৃষ্টি করে এবং দেহে রোগাক্রমণ প্রতিরোধ করে।
94) WBC এবং RBC এর পুরো নাম কি?
Ans : RBC : রেড ব্লাড করপাসল ।
• WBC : হোয়াইট ব্লাড করপাসল ।
95) বিভিন্ন প্রকার রক্ত কণিকার নাম ও কাজ লিখ?
Ans : রক্তে তিন রকমের রক্তকণিকা আছে, যথা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা।
কাজ :
• লোহিত রক্তকণিকা : শ্বাসবায়ু পরিবহন করা।
• শ্বেত রক্তকণিকা : রক্তে এন্টিবডি সৃষ্টি করে এবং ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
• অনুচক্রিকা : রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে।
96) লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু কত?
Ans : প্রায় 120 দিন।
97) বিভিন্ন প্রকার শ্বেত রক্ত কণিকার নাম ও কাজ চিত্র সহ লেখ?
Ans : শ্বেত রক্তকণিকা দুই প্রকারের যেমন : দানা বিহীন এবং দানাযুক্ত।
• দানা বিহীন : মনোসাইট এবং লিম্ফোসাইট।
• দানাযুক্ত : নিউট্রোফিল , ইওসিনোফিল , বেসোফিল।
কাজ :
মনোসাইট : ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
লিম্ফোসাইট : এন্টিবডি সৃষ্টি করে দেহে রোগ প্রতিরোধ করে।
নিউট্রোফিল : ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
ইওসিনোফিল : হিস্টামিন নিঃসরণ করে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
বেসোফিল : রক্তে হেপারিন নিঃসরণ করে রক্তবাহে রক্ততঞ্চন রোধ করে।
98) মুক্ত সংবহন ও বদ্ধ সংবহন এর মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans :
i) মুক্ত সংবহনে রক্ত দেহগহ্বরে উন্মুক্ত হয়।
• বদ্ধ সংবহনে রক্ত রক্তবাহের মধ্যে আবদ্ধ থাকে।
ii) মুক্ত সংবহনে হৃদপিণ্ড অনুন্নত এবং সরল প্রকৃতির।
• বদ্ধ সংবহনে হৃদপিণ্ড উন্নত এবং জটিল প্রকৃতির।
iii) মুক্ত সংবহন তন্ত্রে জালক থাকে না।
• বদ্ধ সংবহন তন্ত্রে জালক থাকে।
99) লোহিত রক্তকণিকা ( RBC ) এবং শ্বেত রক্তকণিকার ( WBC) মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans :
i) লোহিত রক্ত কণিকার নির্দিষ্ট আকার আছে।
• শ্বেত রক্তকণিকা অনিয়তাকার।
ii) পরিণত লোহিতকণিকা নিউক্লিয়াস বিহীন।
• শ্বেত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসযুক্ত।
iii) লোহিত রক্তকণিকার আয়ু বেশি।
• শ্বেত রক্তকণিকার আয়ু কম।
100) BMR এর পুরো নাম কি?
Ans : বেসাল মেটাবলিক রেট ।
101) রক্তের কয়টি গ্রুপ ও কি কি?
Nice sir
ReplyDelete