Life Process, class10 , Biology জৈবনিক পদ্ধতি New syllabus 2020/2021 TBSE !! NCERT

জৈবনিক পদ্ধতি
দশম শ্রেণী
Important Question with Answer - 2020- 2021
By : Biplab debnath ( 9862482065 )

1) পুষ্টি (Nutrition) কাকে বলে ?
Ans : যে প্রক্রিয়ায় জীব পরিবেশ থেকে নানা খাদ্য উপাদান (পরিপাক) গ্রহন করে তাকে কোশীয় প্রোটোপ্লাজমে অঙ্গিভূত করে, জীবনের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সমুহ সাম্পাদান করে ও স্বাভাবিকতা বজায় রাখে তাকে পুষ্টি [Nutrition] বলে । 

2) পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা [ Significance of Nutrition] লেখ?
Ans : জীব দেহে পুষ্টির গুরুত্ব একাধিক —
•  ১৷ বৃদ্ধি, গঠন ও ক্ষয়পূরণ:- পুষ্টির ফলে জীব দেহে বৃদ্ধি, গঠন ও ক্ষয়পূরণ সম্ভব ।
•  ২৷ শক্তি অর্জন:- পুষ্টির মূল উৎস হল খাদ্য । খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সঞ্চিত থাকে । সুতরাং শক্তি অর্জনের জন্য পুষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম।
•  ৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:- পুষ্টির মাধ্যমে জীবদেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
•  ৪। ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয়:- পুষ্টির মাধ্যমেই জীবদেহের কোশে ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চিত হয় ।  
3) খাদ্যের সংজ্ঞা ( Definition of food ) দাও?
Ans : যে সমস্ত আহার্য সামগ্রী গ্রহণের মাধ্যমে জীবদেহের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ ঘটে এবং প্রয়োজনীয় তাপশক্তি যোগান পাওয়া যায়, তাদের খাদ্য বলে। যেমনঃ শর্করা, প্রোটিনা ও ফ্যাট  ।
4) দেহ পরিপোষক খাদ্য ( Proximate principles of food ) ও দেহ সংরক্ষক খাদ্য (Protective principles of food ) কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Ans :  যে সব খাদ্য গ্রহণে জীবদেহে শক্তি উৎপন্ন হয় এবং সেই শক্তির সাহায্যে জীবদেহে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাদের দেহ পরিপোষক খাদ্য বলে। 
যেমন - কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন।
• দেহ সংরক্ষক খাদ্য : 
যে সব খাদ্য দেহকে রোগ সংক্রমানের হাত থেকে রক্ষা করে তাদের দেহ সংরক্ষক খাদ্য বলে। যেমন - ভিটামিন, খনিজলবন ও জল।
5) ম্যাক্রো এলিমেন্টস এবং মাইক্রো এলিমেন্টস কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
Ans : জীবদেহের পুষ্টিতে যেসব মৌলিক উপাদান প্রত্যেহ  অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয় তাদের অতিমাত্রিক মৌলিক উপাদান ( ম্যাক্রো এলিমেন্টস ) বলে।
যেমন : কার্বন , হাইড্রোজেন , অক্সিজেন ইত্যাদি।
• জীবদেহের পুষ্টিতে যেসব মৌলিক উপাদান অত্যন্ত কম পরিমানে প্রয়োজন হয় তাদের
স্বল্পমাত্রিক মৌলিক উপাদান ( মাইক্রো এলিমেন্টস ) বলে।
যেমন : লোহা , তামা, দস্তা ইত্যাদি।
6) ভিটামিন (Vitamins) কাকে বলে?
Ans : যে বিশেষ খাদ্য উপাদান স্বাভাবিক খাদ্যে অতি অল্প পরিমানে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যার অভাবে দেহে বিভিন্ন রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে ভিটামিন বলে।
7) সূর্যালোকের উপস্থিতিতে আমাদের দেহে কোন ভিটামিন সংশ্লেষিত হয় ?
উত্তর : ভিটামিন D
8) কোন ব্যাকটেরিয়া আমাদের অন্ত্রে ভিটামিন B-12 সংশ্লেষ করে?
Ans : ই - কোলাই ।
9) স্বভোজী পুষ্টি কি ?
Ans : - যে পদ্ধতিতে জীব নিজ দেহে উৎপন্ন খাদ্য দ্বারা পুষ্টি নির্বাহ করে তাকে স্বভোজী পুষ্টি  বা অটোট্রফিক পুষ্টি বলে। উদাহরন - শৈবাল, মস, ফার্ন, আম, জাম প্রভৃতি উদ্ভিদের মধ্যে এইরূপ পুষ্টি পদ্ধতি দেখা যায়।
10) পরভোজী পুষ্টি কি ?
Ans :  - যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় জীবেরা নিজেদের দেহে খাদ্য সংশ্লেষ না করে অপর কোনো আশ্রয়দাতার দেহ থেকে অথবা মৃত জৈব পদার্থ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, পুষ্টি সম্পন্ন করে তাকে পরভোজী পুষ্টি বলে। উদাহরন- বিভিন্ন রকম ছত্রাক স্বর্ণলতা, র‍্যাফ্লেসিয়া, বেনে-বৌ এবং পতঙ্গভুক উদ্ভিদদের পরভোজী পুষ্টি দেখা যায়। 
11) উপচিতি ও অপচিতি বিপাক এর পার্থক্য লিখ?
Ans : ১) উপচিতি  গঠনমূলক প্রক্রিয়া।
• অপচিতি ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া।
২) উপচিতি বিপাক প্রক্রিয়ায় সরল যৌগ থেকে জটিল যৌগের সংশ্লেষ ঘটে।
• অপচিতি বিপাক প্রক্রিয়ায় জটিল যৌগ ভেঙে অপেক্ষাকৃত সরল যৌগে পরিণত হয়।
৩৷ উপচিতি বিপাকে জীবদেহের শুষ্ক ওজন বাড়ে।
• অপচিতি বিপাকে জীবদেহের শুষ্ক ওজন কমে।
12)স্বভোজী ও পরভোজী ( Autotrophic and Heterotrophic ) পুষ্টির পার্থক্য লিখ?
Ans :  ১) স্বভোজী পুষ্টিসম্পন্ন জীবেরা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি হতে পারে।
• পরভোজী পুষ্টিসম্পন্ন জীবেরা নিজের খাদ্য নিজে নিজে তৈরি করতে পারো না।
২) স্বভোজী  পুষ্টিসম্পন্ন জীবদেহে ক্লোরোফিল থাকে।
• পরভোজী পুষ্টিসম্পন্ন জীবদেহে ক্লোরোফিল থাকে না।
13) প্রোটিন , কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এর প্রধান কাজ, গঠনগত একক এবং তাপন মূল্য লিখ?
Ans :   
• প্রোটিন : 
প্রধান কাজ : দেহকোশ গঠন ও ক্ষয়পূরণ।
গঠনগত একক: অ্যামাইনো অ্যাসিড ।
তাপন মূল্য : 4.1 kcal/gm
• কার্বোহাইড্রেট :
প্রধান কাজ : তাপ শক্তি উৎপাদন।
গঠনগত একক: মনোস্যাকারাইড।
তাপন মূল্য : 4.1 kcal/gm
• ফ্যাট :
প্রধান কাজ : তাপ শক্তি উৎপাদন।
গঠনগত একক : ফ্যাটি অ্যসিড ও গ্লিসারল।
তাপন মূল্য : 9.3 kcal/gm
14) দ্রাব্যতা অনুসারে ভিটামিন কত প্রকার ও কি কি প্রতিটি ক্ষেত্রে উদাহরণ দাও?
Ans : দ্রাব্যতা অনুসারে ভিটামিনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়---
ক) জলে দ্রবণীয় ভিটামিন : ভিটামিন B কমপ্লেক্স, C
খ) তেলে দ্রবণীয় ভিটামিন : ভিটামিন A,D,E,K.
15) নিম্নলিখিত ভিটামিন গুলোর রাসায়নিক নাম, উৎস এবং অভাবজনিত লক্ষণ লেখ: A,D,E,K,C
Ans : 
• ভিটামিন A : 
রাসায়নিক নাম : রেটিনল। 
উৎস : 
উদ্ভিজ্জ উৎস : গাজর, টমেটো ,বাঁধাকপি ইত্যাদি।
প্রাণিজ উৎস : দুধ ,ডিম, কড ও হাঙ্গর মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেল।
অভাবজনিত লক্ষণ : রাতকানা রোগ হয়।
• ভিটামিন D : 
রাসায়নিক নাম : ক্যালসিফেরল।
উৎস : 
উদ্ভিজ্জ উৎস : উদ্ভিজ্জ তেল, বাঁধাকপি।
প্রাণিজ উৎস : দুধ ,ডিম, কড ও হাঙ্গর মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেল।
অভাবজনিত লক্ষণ : ছোটদের রিকেট এবং বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়।
• ভিটামিন E : 
রাসায়নিক নাম : টোকোফেরল।
উৎস : 
উদ্ভিজ্জ উৎস : শাকসবজি, গমের অঙ্কুর নিঃসৃত তেল, মটর ইত্যাদি।
প্রাণিজ উৎস : দুধ, ডিম, মাংস।
অভাবজনিত লক্ষণ : 
i) প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
ii) পেশি ও জনন অঙ্গের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
• ভিটামিন K : 
রাসায়নিক নাম : ফাইলোকুইনন ।
উৎস : 
উদ্ভিজ্জ উৎস : বাঁধাকপি, টমেটো, পালং।
প্রাণিজ উৎস : দুধ , ডিম , গরু এবং শুকরের যকৃৎ।
অভাবজনিত লক্ষণ : রক্ত তঞ্চন ব্যাহত হয়।
• ভিটামিন C : 
রাসায়নিক নাম : অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
উৎস : 
উদ্ভিজ্জ উৎস : লেবু , আমলকী, টমেটো ,শাকসবজি ।
প্রাণিজ উৎস : গরুর দুধ , মাছ, মাংস।
অভাবজনিত লক্ষণ : 
i) মানুষের স্কার্ভি রোগ হয়।
ii) রক্তজালক ভঙ্গুর হয়।
16) সালোকসংশ্লেষ কাকে বলে? এর রাসায়নিক সমীকরণটি লিখ?
Ans : যে জৈবনিক পদ্ধতিতে সবুজ উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে জল এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এবং ক্লোরোফিল এর সাহায্যে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে , তাকে সালোকসংশ্লেষ বলে।
• 
17) স্বভোজী পুষ্টির কয়টি পর্যায় ও কি কি?
Ans : স্বভোজী পুষ্টি দুটি পর্যায় ঘটে । যেমন--
১৷ সংশ্লেষ , ২৷ আত্তীকরণ
18) আত্তীকরণ ( Assimilation ) কাকে বলে?
Ans : যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের নিজ দেহে সংশ্লেষিত খাদ্যবস্তু কোষীয় প্রোটপ্লাজমে অঙ্গীভূত হয় তাকে আত্তীকরণ বলে।
19) মৃতজীবী পুষ্টি ( Saprophytic nutrition ) কি?
Ans : যে পুষ্টি পদ্ধতিতে উদ্ভিদ গলিত ও পচা উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, তাদের মৃতজীবী পুষ্টি  বলে । উদাহরণ - ব্যাঙের ছাতা বা অ্যাগারিকাস, ঈস্ট।
20) মিথোজীবীয় পুষ্টি ( Symbiotic nutrition ) কি ?
Ans : যে পুষ্টির প্রক্রিয়ায় এক জীব অন্য কোনো জীবের সাহচর্যে জীবন ধারণ করে পরস্পর উপকৃত হয়, তাকে মিথোজীবী পুষ্টি বলে।
যেমন - লাইকেন , রাস্না।
21) পতঙ্গভুক পুষ্টি কি?
Ans : যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ নাইট্রোজেন ঘটিত খাদ্যের জন্য পতঙ্গ ধরে পতঙ্গের দেহ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে পুষ্টি সম্পন্ন করে, তাদের পতঙ্গভুক পুষ্টি বলে। যেমন – কলসপত্রী, সূর্যশিশির, পাতাঝাঁঝি
22) একটি করে বহিঃপরজীবী ও অন্তঃপরজীবী প্রাণীর নাম কর?
Ans : 
• বহিঃপরজীবী : উকুন , এঁটুলি ।
• অন্তঃপরজীবী : গোলকৃমি, ফিতাকৃমি।
23) হলোজয়িক পুষ্টি বা প্রাণীর পুষ্টির কয়টি ও কি কি?
Ans : পাঁচটি পর্যায়, যেমন-- খাদ্যগ্রহণ ,পরিপাক, শোষণ, আত্তীকরণ ও বহিষ্করণ।
24) কোন প্রাণী ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খাদ্য গ্রহণ করে?
Ans : ফিতাকৃমি।
25) কোন প্রাণী চোষকের সাহায্যে খাদ্য গ্রহণ করে?
Ans : মশা , জোক।
26) কোন প্রাণীর দেহে অন্তঃকোষীয় ও বহিঃকোষীয় উভয় প্রকার পরিপাক দেখা যায়?
Ans : হাইড্রা।
27) একটি করে শর্করাভঙ্গক, প্রোটিন ভঙ্গক এবং স্নেহপদার্থ ভঙ্গক উৎসেচকের এর নাম কর?
Ans :
• শর্করাভঙ্গক : মলটেজ , সুক্রেজ।
• প্রোটিন ভঙ্গক : পেপসিন, রেনিন।
স্নেহপদার্থ ভঙ্গক : লাইপেজ।
28) আমাদের মুখবিবরে কি জাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয়?  
Ans : শর্করা জাতীয় খাদ্য।
29) মুখবিবরে শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিপাককারী উৎসেচক এর নাম কর?
Ans : মলটেজ , টায়ালিন।
30) আমাদের পাকস্থলীতে কি জাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয়?
Ans : প্রোটিন এবং ফ্যাট।
31) পাকস্থলীতে প্রোটিন ও ফ্যাট পরিপাককারী একটি উৎসেচক এর নাম কর?
Ans : 
• প্রোটিন : পেপসিন।
• ফ্যাট : লাইপেজ।
32) ভিলাই কি?
Ans : ক্ষুদ্রান্ত্রের অন্ত:প্রাকারে অসংখ্য অঙ্গুলের মতো উপবৃদ্ধি রয়েছে, এদের ভিলাই বলে
কাজ : ভিলাই পাচিত খাদ্যের শোষণের জন্য ক্ষুদ্রান্ত্রের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি করে এবং খাদ্য রস শোষণ করে
33) উপচিতি ও অপচিতি বিপাক কাকে বলে?
Ans : 
• উপচিতি : যে সকল গঠনমূলক বিপাক ক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় তাকে উপচিতি বিপাক বলে। যেমন - পুষ্টি , সালোকসংশ্লেষ।
• অপচিতি : যে সকল ধ্বংসাত্মক বিপাক ক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায়, তাকে অপচিতি বিপাক বলে । যেমন - শ্বসন ,রেচন।
34) BMR এর পুরো নাম কি?
Ans : বেসাল মেটাবলিক রেট।
35) শ্বসন কাকে বলে?
Ans : যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোশস্থ খাদ্য জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তির মুক্তি ঘটে , তাকে শ্বসন বলে।
36) সজীব কোষের প্রধান শ্বসন বস্তু কোনটি ?
Ans : গ্লুকোজ।
37) শ্বসন ( অন্তঃশ্বসন ) ও শ্বাসকার্যের ( বহিঃশ্বসন ) পার্থক্য লেখ?
Ans: 
i) শ্বসন সজীব কোষে সংঘটিত হয়, 
শ্বাসকার্য শ্বাস অঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
ii) শ্বসনে শক্তির রূপান্তর ঘটে,
শ্বাসকার্যে শক্তির রূপান্তর ঘটে না।
iii)  শ্বসনে ATP উৎপন্ন হয়।
শ্বাসকার্যে ATP উৎপন্ন হয় না।
38) শ্বাস অঙ্গের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans : 
i) শ্বাসঅঙ্গ গুলি অর্ধভেদ্য , আদ্র এবং বিস্তৃত।
ii) শ্বাসঅঙ্গ গুলি প্রচুর রক্তজালক সমৃদ্ধ।
39) পত্ররন্ধ্র ( Stomata )  কি ?এর কাজ লেখ?
Ans : উদ্ভিদের পাতার বহিঃত্বকে অসংখ্য  ছোট ছোট ছিদ্র থাকে তাদের পত্ররন্ধ্র বলে।
• কাজ : পত্ররন্ধের মাধ্যমে গ্যাসীয় পদার্থের আদান প্রদান ঘটে।
40) লেন্টিসেল কি? লেন্টিসেল এর কাজ কি?
Ans: গুল্ম ও বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ডের ত্বকের বিদীর্ণ কিউটিকল বিহীন যে ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে তাকে লেন্টিসেল বলে ।
• কাজ : লেন্টিসেল শ্বাসঅঙ্গ রূপে উদ্ভিদের গ্যাসীয় পদার্থের আদান প্রদান ঘটে।
41) শ্বাসমূল বা নাসিকামূল বা নিউম্যাটোফোর  (Pneumatophore) কী ?   
কোন উদ্ভিদে শ্বাসমূল ( Pneumatophore ) দেখা যায়? এদের কাজ লিখ?
Ans : সুন্দরী, গেঁও, গরাণ প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদের কিছু শাখাপ্রশাখা মূল অভিকর্ষের বিপরীতে খাড়াভাবে মাটির ওপরে উঠে আসে এবং মূলে উপস্থিত ছিদ্রের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহন করে । এই মুলগুলিকে স্বাসমূল বলে ।  
সুন্দরী , গরান , গেঁও ।
• কাজ : গ্যাসীয় পদার্থের আদান-প্রদানে সাহায্য করে।
42) কোন প্রাণী ভিজে ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
Ans : কেঁচো , জোক ।
43) আরশোলার শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans : শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়া।
44) আরশোলার কয় জোড়া শ্বাস ছিদ্র থাকে?
Ans : 10 জোড়া।
45) অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র কোন মাছে দেখা যায়? অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্রের কাজ কি?
Ans : কই , শিঙ্গি , মাগুর।
• কাজ : বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে পারে।
46) মানুষের শ্বাস পেশী গুলির নাম কর?
Ans : পঞ্জারাস্থিমধ্যস্থ পেশী এবং মধ্যচ্ছদা।
47) চিংড়ি ও মাছের শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans : ফুলকা।
48) ব্যাঙাচির শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans: বহি:ফুলকা।
49) মাকড়সার শ্বাস অঙ্গের নাম কি?
Ans : বুকলা়ং ।
50) ব্যাঙ, সরীসৃপ ও মানুষের শ্বাসঅঙ্গের নাম কি?
Ans : ফুসফুস।
51) পক্ষীর শ্বাসঅঙ্গের নাম কি?
Ans : ফুসফুস ও বায়ুথলি।
52) সবাত শ্বসন কাকে বলে ?
Ans :  যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বায়ুজীবি জীবের কোষস্থ শ্বসনবস্তু (গ্লুকোজ) সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে জল ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তুস্থিত শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয় তাকে সবাত শ্বসন বলে ।      

সমীকরণ :   C6H12O6 + 6O2 6CO2 + 6H2O + 686K.Cal

53) সন্ধান (Fermentation) কাকে বলে ?

Ans :  যে অবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় শ্বসন বস্তু অক্সিজেন ছাড়াই অণুজীব নিঃসৃত উৎসেচকের সাহায্যে জারিত হয়ে বিভিন্ন জৈব যৌগ (ইথাইল অ্যালকোহল, ল্যাকটিক অ্যাসিড) উৎপন্ন করে ও শ্বসন বস্তু থেকে শক্তির আংশিক নির্গমন ঘটে তাকে সন্ধান ঘটে ।      

54) কোহল সন্ধানের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ করো ।
অথবা , শিল্পে কেন সন্ধান প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম ?
Ans :  
• (i) বাণিজ্যিকভাবে অ্যালকোহল তথা মদ তৈরিতে কোহল সন্ধানের ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে ।
• (ii)  বেকারি শিল্পে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট তৈরিতে ।
• iii) দই , ভিনিগার ইত্যাদি প্রস্তুতিতে।
55) সবাত ও অবাত শ্বসনের পার্থক্য লিখ?
Ans : i) সবাত শ্বসন মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতি ঘটে।
অবাত শ্বসন মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ঘটে।
ii) সবাত শ্বসনে গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়।
অবাত শ্বসনে গ্লুকোজ আংশিক জারিত হয়।
iii) সবাত শ্বসনে নির্গত শক্তির পরিমাণ 686 kcal.
অবাত শ্বসনে নির্গত শক্তির পরিমাণ 50 kcal.
56) গ্লাইকোলাইসিস কাকে বলে ?
Ans :  শ্বসনের যে সাধারণ পর্যায়ে কোষের সাইটোপ্লাজমে এক অণু গ্লুকোজ কয়েক রকম উৎসেচকের প্রভাবে আংশিকভাবে জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক অ্যাসিড (CH3COCOOH), 2 অণু ATP, 2 অণু NADH2 ও 2 অণু H2O উৎপন্ন করে তাকে গ্লাইকোলাইসিস বলে ।  গ্লাইকোলাইসিসের অপর নাম EMP পথ ।
57) গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়াটি কোশের কোথায় ঘটে?
Ans: কোশের সাইটোপ্লাজমে।
58) সবাত ও অবাত শ্বসনের অন্ত:মধ্যবর্তী পদার্থের নাম কি?
Ans : পাইরুভিক অ্যাসিড।
59) গ্লাইকোলাইসিসের অন্তঃজাত পদার্থগুলি কী কী ?
অথবা,  গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত অন্তিম বস্তুগুলি কী কী ?
Ans : গ্লাইকোলাইসিসের অন্তঃজাত পদার্থগুলি হল 2 অণু পাইরুভিক অ্যাসিড (CH3COCOOH), 2 অণু ATP, 2 অণু NADH2 ও 2 অণু H2O ।
60) গ্লাইকোলাইসিসকে EMP  পথ বলে কেন ?
Ans : গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক বিক্রিয়াগুলি বিজ্ঞানী এম্বডেন, মেয়ারহফ ও পারনাস আবিষ্কার করেন বলে তাদের নামানুসারে গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়াকে EMP পথ বলে ।
61) ক্রেবস চক্র কাকে বলে ?
Ans : সবাত শ্বসনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পাইরুভিক অ্যাসিড থেকে উৎপন্ন অ্যাসিটাইল Co -A মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করে যে চক্রাকার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার জৈব অ্যাসিড, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জল উৎপন্ন করে তাকে ক্রেবস-চক্র বলে ।  
62) ক্রেবস-চক্রকে সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বলে কেন ?
Ans : ক্রেবস-চক্রে উৎপন্ন প্রথম অ্যাসিডটি হল 6 কার্বনযুক্ত সাইট্রিক অ্যাসিড ।  সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে ক্রেবস-চক্র শুরু হয় বলে ক্রেবস-চক্রকে সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বলে ।
63) ক্রেবস-চক্রকে TCA চক্র বলে কেন ?
Ans :  ক্রেবস-চক্রের প্রথম উৎপন্ন অ্যাসিডটি হল সাইট্রিক অ্যাসিড । সাইট্রিক অ্যাসিডে তিনটি কার্বক্সিলিক (-COOH) মূলক থাকায় ক্রেবস-চক্রকে TCA চক্র বা  ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বলে ।
64) ক্রেবস চক্রটি কোষের কোথায় ঘটে?
Ans : মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে ঘটে।
65) একটি সজীব কোষ থেকে সমস্ত মাইটোকনড্রিয়াগুলিকে অপসারণ করলে কোষটির কী হবে ? 
Ans :   মাইটোকনড্রিয়া না থাকলে কোষে শ্বসন ক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না, ফলে শক্তি উৎপন্ন হবে না । শক্তি সরবরাহের অভাবে কোষের বিপাকীয় ক্রিয়াগুলি ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে কোষটির মৃত্যু ঘটবে ।    
66) কোহল সন্ধান ও ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানকারী জীবাণুর নাম করো ।
Ans :  কোহল সন্ধান সন্ধানকারী জীবাণুর নাম হল ঈস্ট এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানকারী জীবাণুর নাম হল ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া ।
67) ক্রেবস চক্রে কত অনু ATP উৎপন্ন হয়?
Ans :  30 অনু।
68) শ্বসনে মোট কত অণু ATP উৎপন্ন হয়?
Ans : 38 অনু।
69) ক্রেবস চক্রে প্রথম উৎপাদিত দ্রব্যটির নাম কি?
Ans: সাইট্রিক অ্যাসিড।
70) লবণাম্বু উদ্ভিদে শ্বাসমূল থাকে কেন ?
Ans : লবণাম্বু উদ্ভিদরা কর্দমাক্ত লবণাক্ত মাটিতে জন্মায় । এই মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় উদ্ভিদের শ্বাসকার্যের অসুবিধা হয় । এই অসুবিধা দূর করার জন্য উদ্ভিদের মূলের শাখাপ্রশাখাগুলি মাটির উপরে উঠে আসে এবং মূলে উপস্থিত ছিদ্র দ্বারা বায়ুমন্ডল থেকে অক্সিজেন গ্রহন করে । তাই লবণাম্বু উদ্ভিদে শ্বাসমূল থাকে । 
71) অ্যালভিওলাই কী ?
Ans : ফুসফুসের যে অসংখ্য সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম রক্তজালক পরিবেষ্টিত বায়ু প্রকোষ্ঠে গ্যাসীয় আদানপ্রদান ঘটে তাদের অ্যালভিওলাই বলে । অ্যালভিওলাইকে ফুসফুসের একক বলে ।
72) কই, সিঙি, মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র কিরূপ ?
Ans :   কই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র দেখতে গোলাপফুলের মতো । মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র কদমফুলের মতো বা শাখাপ্রশাখাযুক্ত বৃক্ষের মতো । সিঙি মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র নলাকার ।
73) জিওল  মাছ কী কারণে ডাঙ্গায় অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে ?
Ans :  জিওল মাছের (কই, সিঙি, মাগুর) অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকায় তারা বায়ুর অক্সিজেন গ্রহন করে শ্বাসকার্য চালাতে পারে । বায়ুর অক্সিজেন গ্রহন করার উপযোগী শ্বাসঅঙ্গ থাকায় তারা ডাঙায় অনেকক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে ।
74) প্রশ্বাস ও নিশ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম কী ? 
Ans : প্রশ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম হল মধ্যচ্ছদা বা ইন্টারকস্টাল পেশি (বহিস্থ ও অন্তঃস্থ উভেয়ই) ।
• নিশ্বাসকার্যে সাহায্যকারী পেশিগুলির নাম স্কেপুলার ইলিভেটর, স্কেলেনি ।
75) প্লুরা কী এবং এর কাজ কী ?
Ans :   মানুষের ফুসফুসের দ্বি-স্তর আবরণকে প্লুরা বলে ।
• প্লুরা (i) ফুসফুসকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে   (ii) শ্বাসকার্যের সময় বক্ষপিঞ্জরের ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে ।
76) শ্বসন সমস্ত জীবের পক্ষে অপরিহার্য কেন ?
Ans : প্রত্যেক জীবদেহে নানাপ্রকার জীবজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । এই জীবজ ক্রিয়াগুলি সম্পন্ন হওয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন । জীবদেহে শ্বসন ক্রিয়ার সময় খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি তাপশক্তিরূপে মুক্ত হয়ে জীবজ ক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণ করে । সুতরাং শক্তি উৎপাদনের জন্য সমস্ত জীবের পক্ষে শ্বসন অপরিহার্য।
77) পরিশ্রম করলে শ্বাসকার্যের হার বৃদ্ধি পায় কেন ? 
অথবা , দৌড়লে হাঁফাই কেন ?
Ans :   অধিক পরিশ্রম করলে বিপাক হার বেড়ে যাওয়ার জন্য শক্তির চাহিদা বেড়ে যায় । এই শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য কোষের মধ্যে বেশি পরিমাণ খাদ্যের জারণ ঘটে এবং এর জন্য দ্রুত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় । এই কারণে শ্বাসকার্যের হার বৃদ্ধি পায় । শ্বাসকার্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত অতিরিক্ত অক্সিজেন নিতে হয় বলে আমরা হাঁফাই ।
78) উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে সংবহন এর মাধ্যম কি?
Ans : উদ্ভিদ দেহে সংবহন এর মাধ্যম জল ।
• প্রাণীদেহে সংবহন এর মাধ্যম রক্ত ও লসিকা।
79) সংবহন এর কয়েকটি গুরুত্ব লেখ?
Ans : সংবহনের মাধ্যমে জীবদেহে নিম্নলিখিত গুরুত্ব কাজ গুলি সাধিত হয় ---
•  ১৷ পুষ্টি - উদ্ভিদ দেহে সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে প্রস্তুত তরল খাদ্য ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে এবং উন্নত প্রাণীদের ক্ষেত্রে পৌষ্টিক নালী থেকে শোষিত সরল খাদ্য উপাদান রক্তের মাধ্যমে সজীব কোষে পৌঁছায়।
•  ২৷ শ্বসন - সংবহনের প্রধান উদ্দেশ্য শ্বাস অঙ্গের মাধ্যমে অক্সিজেন সংগ্রহ করে, তাকে প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া এবং কোষের শ্বসনের ফলে উৎপন্ন CO2 কে শ্বাস অঙ্গে বহন করে এনে পরিবেশে ত্যাগ করে।
•  ৩৷ রেচন - কোষে উৎপন্ন বিপাকজাত বর্জ্য পদার্থ সমুহ সংবহনের ফলে রেচন অঙ্গে পৌঁছায়।
•  ৪৷ সঞ্চয় - দেহে প্রয়োজন অতিরিক্ত খাদ্য বস্তু সংবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন সঞ্চয়ী অঙ্গে  পৌঁছায় এবং ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চিত থাকে।
80) ব্যাপন ( Diffusion ) কি? সংবহনে ব্যাপনের গুরুত্ব লেখ?
Ans :  যে ভৌত প্রক্রিয়ায় নিজস্ব গতি শক্তির প্রভাবে দুটি পৃথক পদার্থের অনু বা আয়ন গুলি বেশি ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্ব যুক্ত স্থানে গমন করে সমঘনত্বে উপনীত হয়,তাকে ব্যাপন বলে।
উদ্ভিদের সংবহনে ব্যাপনের ভূমিকা -----
•  ১৷ মূলরোমের সাহায্যে জল ও খনিজ লবণ শোষণ এবং কোষ থেকে কোষান্তরে খনিজ লবণ সংবহনে ব্যপনের ভূমিকা আছে।
•  ২৷ সালোকসংশ্লেষের সময় পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ও মেসোফিল কলার পরিবহণে ব্যপনের ভূমিকা আছে।
•  ৩৷ পাতায় উৎপন্ন খাদ্য রস ব্যপন প্রক্রিয়ায় ফ্লোয়েম কলায় প্রবেশ করে এবং ফ্লোয়েম কলা থেকে ব্যপন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে পড়ে।
•  ৪৷ শ্বসনের জন্য পরিবেশ থেকে শোষিত অক্সিজেন ব্যপন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের বিভিন্ন সজীব কোষে এসে পৌঁছায়।
81) অভিস্রবণ ( Osmosis ) কি ?সংবহনে অভিস্রবণের গুরুত্ব লেখ?
Ans : যে ভৌত প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক দুটি সমপ্রকৃতির  অসম ঘনত্বের দ্রবণের দ্রাবক অনুর অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণে প্রবেশ করে তাকে অভিস্রবণ বলে।
উদ্ভিদের সংবহনে অভিস্রাবনের ভূমিকা ----
•  ১৷ অন্ত অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় জল মূলরোমে প্রবেশ করে।
•  ২৷ কোষান্তর অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় শোষিত জল কর্টেক্স কোষ গুলির মাধ্যমে জল জাইলেম বাহিকায় পৌঁছায়।
•  ৩৷ জাইলেম বাহিকা থেকে জল অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় পাতার মেসোফিল কলায় ছড়িয়ে পড়ে।
82) ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর পার্থক্য লেখ?
Ans : 
১৷ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন নেই।
• অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন।
২৷ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পদার্থের অনু গুল বেশি ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়।
• অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় দ্রাবকের অনু গুল কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে যায়।
৩৷ ব্যাপন বিষম প্রকৃতির মিশ্রণেও ঘটতে পারে।
• অভিস্রবন সমপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যে ঘটে।
83) রসের উৎস্রোত (Ascent of Sap ) কি?
Ans : যে প্রক্রিয়ায় মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও খনিজ লবণ জাইলেম বাহিকার মাধ্যমে অভিকর্ষের বিরুদ্ধে উদ্ভিদের ঊর্ধ্বমুখে বাহিত হয়ে পাতায় পৌঁছায় তাকে কোষ রসের উৎস্রোত   বলে।
84) কিভাবে মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও খনিজ লবণ পাতায় পৌঁছায় আলোচনা কর। 
অথবা,    উদ্ভিদের ঊর্ধ্বমুখী সংবহন প্রক্রিয়াটি আলোচনা কর?
Ans : বাষ্পমোচন জনিত টান ও জলের তীব্র সমসংযোগ মতবাদ 1894 খ্রিস্টাব্দ বিজ্ঞানী ডিক্সন ও জলি এই মতবাদ প্রণয়ন করেন। এই মতবাদটি মূলত তিনটি বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরশীল ---
(ক)  জলের তীব্র সমসংযোগ ও অসমসংযোগ বল :- তাদের মতে মূল থেকে পাতা পর্যন্ত জলের অনু গুলি নিজেদের মধ্যে সমসংযোগ ও জাইলেম বাহিকা গাত্রের অনুর সাথে জলের অনুর অসমসংযোগ বলে আবদ্ধ থাকে।
(খ)  জলস্তম্ভের নিরবিছিন্নতা:- জলের তীব্র সমসংযোগ ও অসমসংযোগ বলের ফলে জাইলেম বাহিকার মধ্যে নিরবিছিন্ন জল স্তম্ভ তৈরি হয়।
(গ)  বাষ্পমোচন জনিত টান:- পাতার মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত বাষ্পমোচন প্রক্রিয়া চলতে থাকায় পাতার জাইলেম বাহিকায় অবস্থিত জলস্তম্ভের উপরিতল থেকে জল বাস্পাকারে নির্গত হতে থাকে বাষ্পমোচনের ফলে জাইলেম বাহিকায় একটি টানের সৃষ্টি হয় একে বাষ্পমোচন টান বলে। এই বাষ্পমোচন টানের ফলে জাইলেম বাহিকার মধ্যে দিয়ে কোষ রসের উৎস্রোত ঘটে।
• বর্তমানে এই মতবাদটি সর্বজন স্বীকৃত।
85) কোন প্রাণীর সংবহনের মাধ্যম জল ?
Ans : তারা মাছ।
86) মুক্ত সংবহন ও বদ্ধ সংবহন কাকে বলে?
Ans: 
• মুক্ত সংবহন তন্ত্র - যে সংবহন তন্ত্রে রক্ত কেবল মাত্র রক্ত বাহের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে দেহ গহ্বর বা সেলম নামে ফাঁকা স্থানে মুক্ত হয়ে থাকে তাকে মুক্ত সংবহন তন্ত্র বলে। যেমন - চিংড়ি , মাছের সংবহন তন্ত্র .
• বদ্ধ সংবহন তন্ত্র - যে সংবহন তন্ত্রে রক্ত সবসময় রক্তবাহে এবং হৃৎপিণ্ডের মধ্যে আবদ্ধ ভাবে সংবাহিত হয় কিন্তু কখনই দেহ গহ্বরে মুক্ত হয় না সেই সংবহন তন্ত্রকে বদ্ধ সংবহন তন্ত্র বলে। যেমন - কেঁচো, মানুষের সংবহন তন্ত্র।
87) রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্রটির নাম কি ? 
Ans : রক্ত চাপ মাপক যন্ত্রটি হল স্ফিগমোম্যানোমিটার ( Sphgmomanometer )।
88) হিমোসিল কাকে বলে?
Ans : রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরকে হিমোসিল বলে।  যে প্রাণীগুলোতে হিমোসিল বিদ্যমান: প্রজাপতি, চিংড়ি, আরশোলা, কাঁকড়া ইত্যাদি।
89) রক্তকে তরল যোগকলা বলে কেন?
Ans : 
• ১৷ রক্ত ভ্রূণজ মেসোডার্ম থেকে উৎপত্তি লাভ করে।
• ২৷ রক্তে ভিত্তি পর্দা থাকে না।
• ৩৷ রক্তে কোষীয় উপাদানের তুলনায় ধাত্রের পরিমাণ বেশি থাকে।
• ৪৷ রক্ত তার তরল ধাত্রের সাহায্যে দেহের বিভিন্ন কলা, অঙ্গে ও তন্তের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
90) হিমোলিম্ফ কি?
Ans : আরশোলার শ্বাসরঞ্জক বিহীন বর্ণহীন রক্তকে হিমোলিম্ফ বলে।
91) রক্ত ( Blood ) কি?
Ans : রক্ত এক প্রকার অসচ্ছ, লমনাক্ত, ক্ষার ধর্মী তরল যোগ কলা।
92) রক্ত লাল কেন?
Ans : মানুষের রক্তে হিমোগ্লোবিন নামক লৌহ ঘটিত শ্বাস রঞ্জক পদার্থ থাকায় রক্তের বর্ণ লাল হয়।
93) রক্তের কাজ ( Function of Blood ) লিখ?
Ans : 
• ১৷ পরিবহণ মাধ্যম ( Transporation ) : - রক্তের মাধ্যমে পুষ্টিদ্রব্য, ভিটামিন, খনিজ লবণ, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, হরমোন এবং বপাকজাত দূষিত পদার্থ সমূহ দেহের বিভিন্ন কলা কোষে পরিবাহিত হয়।
• ২৷ রক্ত তঞ্চন ( Coagulation ) :- রক্ত তার তঞ্চন ধর্মের সাহায্যে আঘাত প্রাপ্ত স্থান থেকে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে। 
• ৩। রক্ত দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
• ৪। রক্ত আমাদের দেহে এন্টিবডি সৃষ্টি করে এবং দেহে রোগাক্রমণ প্রতিরোধ করে।
94)  WBC এবং  RBC এর পুরো নাম কি?
Ans : RBC : রেড ব্লাড করপাসল ।
• WBC : হোয়াইট ব্লাড করপাসল ।
95) বিভিন্ন প্রকার রক্ত কণিকার নাম ও কাজ লিখ?
Ans : রক্তে তিন রকমের রক্তকণিকা আছে, যথা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা।
কাজ : 
• লোহিত রক্তকণিকা : শ্বাসবায়ু পরিবহন করা।
• শ্বেত রক্তকণিকা : রক্তে এন্টিবডি সৃষ্টি করে এবং ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
• অনুচক্রিকা : রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে।
96) লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু কত?
Ans : প্রায় 120 দিন।
97) বিভিন্ন প্রকার শ্বেত রক্ত কণিকার নাম ও কাজ চিত্র সহ লেখ?
Ans : শ্বেত রক্তকণিকা দুই প্রকারের যেমন : দানা বিহীন এবং দানাযুক্ত।
• দানা বিহীন :   মনোসাইট এবং লিম্ফোসাইট।
• দানাযুক্ত :   নিউট্রোফিল , ইওসিনোফিল , বেসোফিল।
কাজ : 
মনোসাইট : ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
লিম্ফোসাইট : এন্টিবডি সৃষ্টি করে দেহে রোগ প্রতিরোধ করে।
নিউট্রোফিল :  ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
ইওসিনোফিল : হিস্টামিন নিঃসরণ করে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
বেসোফিল : রক্তে হেপারিন নিঃসরণ করে রক্তবাহে রক্ততঞ্চন রোধ করে।
98) মুক্ত সংবহন ও বদ্ধ সংবহন এর মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans :  
i) মুক্ত সংবহনে রক্ত দেহগহ্বরে উন্মুক্ত হয়।
• বদ্ধ সংবহনে রক্ত রক্তবাহের মধ্যে আবদ্ধ থাকে।
ii) মুক্ত সংবহনে হৃদপিণ্ড অনুন্নত এবং সরল প্রকৃতির।
• বদ্ধ সংবহনে হৃদপিণ্ড উন্নত এবং জটিল প্রকৃতির।
iii) মুক্ত সংবহন তন্ত্রে জালক থাকে না।
• বদ্ধ সংবহন তন্ত্রে জালক থাকে।
99) লোহিত রক্তকণিকা ( RBC ) এবং শ্বেত রক্তকণিকার ( WBC) মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans :  
i) লোহিত রক্ত কণিকার নির্দিষ্ট আকার আছে।
• শ্বেত রক্তকণিকা অনিয়তাকার।
ii) পরিণত লোহিতকণিকা নিউক্লিয়াস বিহীন।
• শ্বেত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসযুক্ত।
iii) লোহিত রক্তকণিকার আয়ু বেশি।
• শ্বেত রক্তকণিকার আয়ু কম।
100) BMR এর পুরো নাম কি?
Ans : বেসাল মেটাবলিক রেট ।
101) রক্তের কয়টি গ্রুপ ও কি কি?
Ans : রক্তের এই চারটি বিভাগ হল - A , B , AB , O
102) রক্তের শ্রেণীবিভাগ এর গুরুত্ব লেখ?
Ans : 
i ) কোন দাতার রক্ত গ্রহীতার দেহে সঞ্চালন এর পূর্বে উভয়ের রক্তের বিভাগ জানা জরুরী । কারণ ভিন্ন গ্রুপের রক্ত গ্রহীতার প্রাণহানির কারণ ঘটতে পারে।
ii) রক্ত দান কালে অসংগতি ঘটলে রক্ত ম্যাচিং ঠিকমত না হলে লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোলাইসিস ঘটবে এবং হিমোগ্লোবিন লোহিতকণিকা থেকে বেরিয়ে যাবে।
103) সার্বিক দাতা ( universal donor ) এবং সার্বিক গ্রহীতা (universal recipient) কি?
Ans : 
সার্বিক দাতা বলতে বোঝায় , যে সব ব্যক্তির রক্তের বিভাগ বা গ্রুপ O Rh D- নেগেটিভ, তারা সব বিভাগকেই রক্তদান করতে পারে।
• অন্যদিকে সার্বিক গ্রহীতা বলতে বোঝায়, যে সব ব্যক্তির রক্তের বিভাগ AB Rh D+ পজেটিভ, তারা সব বিভাগের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
104) রক্ততঞ্চন কি? রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর?
Ans : যে প্রক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে অর্ধ কঠিন জেলির মত পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রক্ত তঞ্চন বলে।
Ans :
105) লসিকা কি? এর গুরুত্ব লেখ?
Ans : লসিকাবাহের এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হালকা হলুদ বর্ণের স্বচ্ছ ক্ষারীয় তরল যৌগ কলাকে লসিকা বলে।
কাজ : 
• i) লসিকা কলা কোষে পুষ্টি দ্রব্য পরিবহন করে।
• ii) লসিকা রক্তজালক থেকে অক্সিজেনকে কলা কোষে সরবরাহ করেন।
106)  মানুষের হৃদপিন্ডের মধ্য দিয়ে রক্ত সংবহন পদ্ধতি চিত্রের সাহায্যে আলোচনা কর?
Ans : মানব দেহের হৃৎপিণ্ড একটি ছন্দে সংকোচিত ও প্রসারিত হয়ে সংবহন তন্ত্রের রক্ত কে সচল রাখে। হৃৎপিণ্ডের সংকোচনকে সিস্টোল ও প্রসারন কে ডায়াস্টোল বলে।
হৃৎপিণ্ডের একটি সিস্টোল ও ডায়াস্টোল কে এক সঙ্গে একটি হৃৎস্পন্দন বলে। হৃৎপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত কতগুলি কার্যে বিভক্ত 
১৷ অলিন্দ দ্বয় প্রসারিত হলে সারা শরীরের দুষিত রক্ত ঊর্ধ্ব ও মহা শিরা দিয়ে ডান অলিন্দে আসে। একি সময় ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত ফুসফুসীয় শিরা দিয়ে বাম অলিন্দ আসে।
২৷ অলিন্দ দ্বয় রক্তে পূর্ণ হলে সংকুচিত হয় এবং নিলয় দ্বয় প্রসারিত হয়। তখন ডান অলিন্দের রক্ত ত্রিপত্র কপাটিকার ভিতর দয়ে ডান নিলয়ে আসে এবং বাম অলিন্দের রক্ত দ্বিপত্র কপাটিকার ভিতর দিয়ে বাম নিলয়ে প্রবেশ করে।
৩৷ নিলয় দ্বয় সম্পূর্ণ রক্তে পূর্ণ হলে সংকোচিত হয় এবং ডান নিলয় থেকে ফুসফুসীয় ধমনীর মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। বাম নিলয় থেকে মহা ধমনীর মাধ্যমে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় অর্ধচন্দ্রাকৃতি কপাটিকা খুলে যায় এবং দ্বিপত্র ও ত্রিপত্র কপাটিকা বন্ধ থাকে।
৪৷ এর পর আবার অলিন্দ দ্বয় প্রসারিত হলে রক্ত অলিন্দে প্রবেশ করে। এইভাবে সংকোচন ও প্রসারনের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনের পদ্ধতিটি অব্যহত থাকে।
107) রেচন কাকে বলে?
Ans: জীবদেহে বিপাক ক্রিয়ার ফলে উত্পন্ন অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক উপজাত দ্রব্যসমূহ যে জৈবিক ক্রিয়ার মাধ্যমে দেহ থেকে অপসারিত হয় অথবা অদ্রাব্য কোলয়েড কণা হিসেবে দেহের কোনও অংশে সাময়িক ভাবে সঞ্চিত থাকে, সেই জৈবনিক ক্রিয়াকে রেচন [Excretion] বলে ।
108) রেচন এর প্রধান উদ্দেশ্য বা গুরুত্ব লিখ?
Ans : রেচনের  উদ্দেশ্য : কলা কোষে উত্পন্ন বিপাকজাত দুষিত পদার্থগুলিকে কোষ থেকে অপসারণ করা এবং প্রোটোপ্লাজমের জীবজ ক্রিয়া গুলোকে স্বাভাবিক রাখাই হল রেচনের প্রধান উদ্দেশ্য ।  
109) উদ্ভিদের একটি করে নাইট্রোজেন বিহীন, নাইট্রোজেন যুক্ত এবং কার্বন যুক্ত রেচন পদার্থের নাম কর?
Ans : 
• নাইট্রোজেন বিহীন : রজন , তরুক্ষীর
• নাইট্রোজেন যুক্ত : কুইনাইন, নিকোটিন।
• কার্বন যুক্ত : ট্যানিন।
110) প্রাণীদের একটি করে নাইট্রোজেন যুক্ত, নাইট্রোজেন বিহীন এবং কার্বনযুক্ত রেচন পদার্থের নাম কর?
Ans : 
• নাইট্রোজেন বিহীন: কার্বন ডাই অক্সাইড।
• নাইট্রোজেন যুক্ত : ইউরিয়া।
• কার্বন যুক্ত : কার্বন ডাই অক্সাইড।
111) মল রেচন পদার্থ নয় কেন?
Ans : মল বিপাকজাত পদার্থ নয় বলে মলকে রেচন পদার্থ বলা হয় না।
112) অ্যামিবা , চ্যাপ্টা কৃমি , কেঁচো, পতঙ্গ, চিংড়ি এবং মানুষের রেচন অঙ্গের নাম কি?
Ans : 
অ্যামিবা : সংকোচনশীল গহ্বর।
• চ্যাপ্টা কৃমি : ফ্লেম কোষ।
• কেঁচো : নেফ্রিডিয়া।
• পতঙ্গ : ম্যালপিজিয়ান নালিকা।
• চিংড়ি : সবুজ গ্রন্থি।
• মানুষ : বৃক্ক ।
113)  মানুষের রেচনতন্ত্র গুলির নাম কর?
Ans : একজোড়া বৃক্ক, গবিনী , একটি মূত্রাশয় এবং মূত্রনালি।
114) মানুষের রেচন তন্ত্রের চিত্র অঙ্কন করে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর?
Ans : 
115) বৃক্কের কাজ লিখ?
Ans : 
• জল সাম্যতা : বৃক্কের সাহায্যে দেহে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায় ফলে দেহে জলের সমতা বজায় থাকে।
• নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ দূরীকরণ : বৃক্ক রক্ত থেকে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য  বস্তুগুলোকে (ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড ) দেহ থেকে দূরীভূত করে।
• লবণের সাম্যতা : বৃক্ক রক্তের সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি খনিজ লবণের সমতা বজায় রাখে।
116) নেফ্রন কি ?
Ans : নেফ্রন হলো বৃক্কের গঠনগত ও কার্যগত একক । মানুষের প্রতিটি বৃক্কে প্রায় 10 লক্ষ নেফ্রন থাকে।
117) চিত্রসহ নেফ্রনের গঠন আলোচনা কর?
Ans : প্রতিটি নেফ্রন প্রধানত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত; যথা: 
[১] ম্যালপিজিয়ান করপাসল, 
[২] বৃক্কীয় নালিকা এবং  [৩] সংগ্রাহী নালিকা ।
♦[১] ম্যালপিজিয়ান করপাসল [Malpighian Corpuscle]:- এটি বৃক্কের কটেক্স অঞ্চলে অবস্থিত ফানেল-আকৃতি বিশিষ্ট অংশ । এটি ব্যাওমানের ক্যাপসুল [Bowman's capsule] এবং গ্লোমেরিউলাস নামে দুটি অংশ নিয়ে গঠিত । গ্লোমেরিউলাস হল ক্যাপসুল মধ্যস্থ কুণ্ডলীকৃত রেনাল ধমনীর জালক বিশেষ । রেনাল ধমনীর একটি শাখা ক্যাপসুলের মধ্যে প্রবেশ করে কুণ্ডলীকৃত জালক সৃষ্টি করে ক্যাপসুল থেকে আবার নির্গত হয়েছে । ব্যাওমানের ক্যাপসুল হল, গ্লোমেরিউলাসকে আবৃত করে অবস্থিত একটি আবরণ বিশেষ । গ্লোমেরিউলাস অভিমুখী রেনাল ধমনীর শাখাটিকে অন্তর্মুখী ধমনিকা বলে । গ্লোমেরিউলাস থেকে দূরগামী শাখাটিকে বহির্মুখী ধমনিকা বলে ।
• কাজ:- ম্যালপিজিয়ান করপাসল পরা-পরিস্রাবকরূপে কাজ করে । গ্লোমেরিউলাস রক্তের দূষিত পদার্থগুলিকে পরিস্রুতকরে । ব্যাওমানের ক্যাপসুল গ্লোমেরিউলাসকে আবৃত করে রাখে এবং পরিস্রুত তরলকে বৃক্কীয় নালিকায় প্রেরণ করে ।
♦[২] বৃক্কীয় নালিকা [Renal tubule]:- এই নালিকাটি ব্যাওমানের ক্যাপসুলের তলদেশ থেকে উত্পন্ন হয়ে সংগ্রাহী নালিকা পর্যন্ত বিস্তৃত । এটি সুক্ষ্ম পেঁচানো বা কুণ্ডলীকৃত নালিকা বিশেষ । এর প্রথম অংশকে নিকটবর্তী সংবর্ত নালিকা বা পরসংবর্ত নালিকা বলে । মাঝখানের U-আকৃতি বিশিষ্ট অংশকে হেনলীর লুপ [Henle's loop] বলে । শেষ অংশকে দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা বা দূরসংবর্ত নালিকা বলে । বহির্মুখী ধমনিকা গ্লোমেরিউলাস ত্যাগ করার পর সংবর্ত নালিগুলির মধ্যে জালক সৃষ্টি করার পর আবার যুক্ত হয়ে একটি শিরা গঠন করে, এই শিরাটি বৃক্কীয় শিরার [renal vein] সঙ্গে যুক্ত হয় ।
• কাজ:- বৃক্কীয় নালিকার প্রধান কাজ হল পরিস্রুত তরলের প্রয়োজনীয় অংশের পুনঃশোষণ করা । নিকটবর্তী সংবর্ত নালিকার কাজ হল গ্লুকোজ, সোডিয়াম আয়ন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ক্রিয়েটিন, সালফেট, ফসফেট  ইত্যাদিকে বিশোষণ করে । হেনলীর লুপ জল ও সোডিয়াম আয়ন বিশোষণ করে । দূরসংবর্ত নালিকা জলের বিশোষণে সাহায্য করে । 
♦[৩] সংগ্রাহী নালিকা [Collecting tubule]:- প্রতিটি নেফ্রনের বৃক্কীয় নালিকার শেষ অংশগুলি অপেক্ষাকৃত যে মোটা নালির যুক্ত থাকে, তাকে সংগ্রাহী নালিকা বলে । পরিস্রুত তরল, পুনঃশোষনের পর, এই অংশে মুত্ররূপে সঞ্চিত হতে থাকে এবং গাবিনীর মধ্যে প্রবেশ করে । 
• কাজ:- সংগ্রাহী নালিকা পরিস্রুত ও পুনঃবিশোষিত তরলকে মুত্ররূপে সংগ্রহ করে গবিনীতে প্রেরণ করে ।
118) বৃক্ক ছাড়া মানব দেহের অন্যান্য রেচন অঙ্গ গুলি কি কি?
Ans : যকৃত, ফুসফুস,চর্ম।
119) উদ্ভিদের রেচন পদার্থ কম উৎপন্ন হয় কেন?
Ans :  উদ্ভিদ দেহে বিপাকীয় ক্রিয়ার হার কম হওয়ায় এদের দেহে রেচন পদার্থও কম উত্পন্ন হয় ।
120) উদ্ভিদের রেচন পদার্থ ত্যাগের বিভিন্ন পদ্ধতি [Means of Removal of Excretory Products in Plants] আলোচনা কর?
Ans : কয়েকটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোনও কোনও উদ্ভিদ রেচন পদার্থ ত্যাগ করে, যেমন :
[i] পত্রমোচন:- পর্ণমোচী উদ্ভিদ, যেমন: শিমুল, শিরিষ, আমড়া, অশ্বত্থ ইত্যাদি বছরের নির্দিষ্ট ঋতুতে পত্রমোচন করে পাতায় সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে ।
[ii] বাকল মোচন:-  কোনও কোনও উদ্ভিদ যেমন: অর্জুন, পেয়ারা, ইত্যাদি গাছ বাকল বা ছাল মোচনের মাধ্যমে ত্বকে সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে ।
[iii] ফল মোচন:- লেবু, তেঁতুল, আপেল ইত্যাদি ফলের ত্বকে বিভিন্ন জৈব অ্যাসিড (যেমন; সাইট্রিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড) রেচন পদার্থ হিসাবে সঞ্চিত থাকে । ওই সব উদ্ভিদ পরিণত ফল মোচন করে দেহ থেকে রেচন পদার্থ অপসারণ করে ।
121) উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার উপক্ষারের নাম, উৎস ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখ?
Ans : 
১. কুইনাইন : 
• সিঙ্কোনা গাছের বাকল
• ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরি হয়।
২. রেসারপিন : 
• সর্পগন্ধা গাছের মূল ।
• উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ তৈরি হয় ।
৩. ডাটুরিন : 
• ধুতুরা গাছের পাতা ও ফল ।
• হাঁপানির ওষুধ তৈরি হয় ।
 ৪. নিকোটিন : 
• তামাক গাছের পাতা
• এটি মাদক দ্রব্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় ।
৫. মরফিন : 
• আফিং গাছের কাঁচাফলের ত্বক
• ব্যথা-বেদনা উপশম ও গাঢ় নিদ্রার ওষুধ তৈরি হয় ।
122)  প্রাণীদের রেচনে চর্ম বা ত্বকের ভূমিকা [Role of skin in animal excretion] লিখ?
Ans :  চর্ম প্রাণীদের পেশিকে আচ্ছাদন করে রাখে, ফলে এর প্রধান কাজ রক্ষণাত্মক (protective) । তা ছাড়া চর্ম স্পর্শেন্দ্রিয়রূপেও কাজ করে । চর্মের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল রেচনে সহায়তা করা । চর্মে অবস্থিত ঘর্মগ্রন্থি বা স্বেদগ্রন্থি থেকে যে ঘাম নিঃসৃত হয়, তার সাহায্যে দেহের অতিরিক্ত জল, খনিজ লবণ, এবং কিছু পরিমাণ অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া নির্গত হয় । চর্মের মাধ্যমে সামান্য পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস ব্যাপন প্রক্রিয়ায় দেহের বাইরে নির্গত হয় । চর্মে অবস্থিত সিবেসিয়াস গ্রন্থির মাধ্যমে অল্প পরিমাণে কোলেস্টেরল, ফ্যাটি অ্যাসিড ও হাইড্রোকার্বন রেচন পদার্থ হিসাবে বেরিয়ে আসে । 
123) রেচনে ফুসফুসের ভূমিকা [Role of Lungs in animal excretion] লিখ ?
Ans : ফুসফুস মুখ্যত স্বাসযন্ত্র । কিন্তু ফুসফুস, গ্লুকোজ ও ফ্যাট দহনের ফলে উত্পন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প নিশ্বাসের সময় নাসারন্ধ্র দিয়ে দেহের বাইরে নিষ্কাশিত করে রেচনে সহায়তা করে । ফুসফুস ঘন্টায় প্রায় 18 লিটার CO2 এবং দিনে প্রায় —400 ml জল (বাষ্পাকারে) নিশ্বাসের মাধ্যমে নির্গত করে ।
 124) রেচনে যকৃতের ভূমিকা [Role of Liver in animal excretion]  লিখ ?
Ans :  যকৃত মানব দেহের সবচেয়ে বড় পৌষ্টিক গ্রন্থি । যকৃতের মধ্যে হিমোগ্লোবিন বিশ্লিষ্ট হয়ে বিলিরুবিন, বিলিভারডিন, লেসিথিন প্রভৃতি রেচন পদার্থ সৃষ্টি করে । এই সব রেচন পদার্থ পিত্তরসের মাধ্যমে অন্ত্রে আসে এবং মলের সাহায্যে দেহ থেকে নির্গত হয় ।
125 ) চিত্রসহ বৃক্কের গঠন আলোচনা করো?
Ans : মানবদেহের বৃক্কের গঠন : গঠন অনুযায়ী মানব দেহের বৃক্ককে দু'ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: বহির্গঠন ও অন্তর্গঠন ।
[i] বহির্গঠন:-
[a]  মানুষের বৃক্ক দেখতে অনেকটা শিম বীজের মতো । পরিণত মানুষের ক্ষেত্রে এটি লম্বায় 11 cm. প্রস্থে 5 cm. এবং 3 cm. পুরু হয়ে থাকে ।
[b]  প্রতিটি বৃক্ক তন্তুময় যোগকলা নিয়ে গঠিত 'ক্যাপসুল' দিয়ে ঢাকা থাকে ।
[c]  বৃক্কের পিঠের দিকটি উত্তল এবং ভিতরের দিকটি অবতল ।  বৃক্কের অবতল খাঁজটিকে বৃক্কীয় নাভী বা হাইলাম বলে ।
[d]  হাইলাম অংশটি বৃক্কীয় ধমনী, বৃক্কীয় শিরা ও গাবিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকে ।
[ii]  অন্তর্গঠন:-
[a]  লম্বচ্ছেদ করলে প্রতিটি বৃক্কের দুটি অংশ লক্ষ করা যায় —বাইরের গাঢ় লাল রং -এর অংশটিকে বহিঃস্তর বা কর্টেক্স এবং ভিতরের অপেক্ষাকৃত হালকা লাল অংশটিকে অন্তঃস্তর বা মেডালা বলে ।
[b]  বৃক্কের কর্টেক্স অংশটি স্থানে স্থানে মেডালার গভীরে প্রবেশ করে পিরামিডের মতো গঠন রচনা করে, এগুলিকে বৃক্কীয় পিরামিড বলে ।
[c]  বৃক্কের কর্টেক্স ও মেডালা প্রায় সম্পূর্ণভাবে একটি গহ্বরকে ঘিরে অবস্থান করে । এই গহ্বরটিকে বৃক্কীয় পেলভিস বলে । 
[d]  ফানেলের মতো দেখতে এই অংশ থেকে গবিনী উত্পন্ন হয়েছে । গবিনী পেলভিসে ঢোকার পর কয়েকটি মেজর ক্যালিক্স বা প্রধান বৃতি গঠন করে । প্রতিটি মেজর ক্যালিক্স আবার কিছু মাইনর ক্যালিক্স বা শাখা বৃতিতে বিভক্ত হয় ।
[e]  মাইনর ক্যালিক্স যে অংশে বৃক্কীয় পিরামিডের সঙ্গে যুক্ত হয় তাকে বিক্কীয় পীড়কা বলে ।
[f]  প্রতিটি বৃক্ক অসংখ্য সুক্ষ্ম চুলের মতো কুণ্ডলীকৃত নালিকা নিয়ে গঠিত, এদের নেফ্রন বলে । এই নেফ্রনই  হল বৃক্কের গঠনগত ও কার্যগত একক । এক একটি বৃক্কে প্রায় দশ লক্ষ নেফ্রন থাকে ।
126) ADH এর পুরো নাম কি?
Ans : অ্যান্টি-ডাই-ইউরেটিক হরমোন।

127) বাষ্পমোচন কি? এর গুরুত্ব লেখ?

Ans : উদ্ভিদের বায়বীয় অংশগুলো থেকে জলীয়বাষ্প রূপে জলের বেরিয়ে যাওয়া কে বাষ্পমোচন ( Transpiration) বলে

বাষ্পমোচনের গুরুত্ব :

১৷ পাতার বাষ্পমোচনের ফলে জাইলেম বাহিকায় জলের যে টান পড়ে তা মূলরোম দিয়ে জল শোষণে সাহায্য করে

২৷ প্রস্বেদনের ফলে পাতায় যে শোষণ চাপের সৃষ্টি হয় তা সরাসরি জলকে বা খাদ্য রসকে জাইলেম বাহিকার মাধ্যমে পাতায় পৌঁছাতে সাহায্য করে

৩৷ খাদ্য উৎপাদনের জন্য পাতায় অবিরাম জল সরবরাহ করা হল বাষ্পমোচনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ কাজ

৪৷ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ দেহের মূল দ্বারা শোষিত অতিরিক্ত জল নিষ্কাশিত হয়

128) কোন গ্রন্থিটির নিঃসৃত রসে পরিপাক ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক থাকে না ?

Ans : যকৃত

129) পৌষ্টিকতন্ত্রের কোন অংশে সকল জাতীয় খাদ্য অর্থাৎ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট জাতীয় সকল খাদ্যের পরিপাক ঘটে?

Ans : ক্ষুদ্রান্তে

130) পাচিত খাদ্য কোথায় শোষিত হয়?

Ans : ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাকার দ্বারা শোষিত হয়

131) উদ্ভিদ দেহে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য কি হিসেবে সঞ্চিত থাকে ?

Ans : শ্বেতসার হিসেবে

132) আমাদের দেহে গৃহীত খাদ্যের কিছু শক্তি কি রূপে সঞ্চিত থাকে?

Ans : গ্লাইকোজেন রূপে

133) মানুষের মতো বহুকোষী জীবে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাপন প্রক্রিয়া যথেষ্ট নয় কেন?

134) কোন বস্তু জীবিত কিনা তা স্থির করতে মানদণ্ড হিসেবে আমরা কি ব্যবহার করি?

135) একটি জীবে বহি:পরিবেশ থেকে আগত কি কি কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়?

136) জীবিত অবস্থা বজায় রাখার জন্য কোন কোন প্রক্রিয়া অত্যাবশ্যক বলে তুমি মনে কর?

137) সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলো প্রত্যেকটি উদ্ভিদ কোথায় থেকে পায়?

138) আমাদের পাকস্থলীতে অ্যাসিডের এর ভূমিকা কি?

Ans : হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড খাদ্যকে আম্লিক মাধ্যমে পরিণত করে ,যা পেপসিন উৎসেচকের সক্রিয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং খাদ্যের সঙ্গে গৃহীত জীবানুদের নাশ করে

139) পরিপাককারী উৎসেচক সমূহের কাজ কি?

140) পাচিত খাদ্য শোষণ করার জন্য ক্ষুদ্রান্তের গাঠনিক নক্সা কিরূপ হয়েছে?

141) স্থলজ জীবেরা , জলজ জীবের তুলনায় শ্বাসকার্যের জন্য অক্সিজেন সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কি সুবিধা পায়?

142) ভিন্ন ভিন্ন জীবে যে বিভিন্ন পথে গ্লুকোজ জারিত হয়ে শক্তির যোগান দেয় সেই পথ গুলো কি কি?

143) মানুষের দেহে অক্সিজেন কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিবহন কিভাবে ঘটে?

144) মানুষের ক্ষেত্রে গ্যাসীয় বিনিময় এর জন্য সর্বাধিক ক্ষেত্রফল লাভ করতে ফুসফুসদ্বয়ের গাঠনিক নক্সা কিভাবে তৈরি হয়েছে?

145) মানুষের সংবহন তন্ত্রের উপাদান গুলো কি কি? এই উপাদানগুলোর কাজ গুলো কি কি?

Ans : হৃদপিন্ডে, রক্ত এবং রক্তবাহ।

146) স্তন্যপায়ী এবং পক্ষীদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত, অক্সিজেন বিহীন রক্ত থেকে পৃথক থাকা প্রয়োজন কেন?

147) অতিমাত্রায় সংঘটিত উদ্ভিদ দেহে সংবহনতন্ত্রের উপাদান গুলো কি কি?

 Ans : জাইলেম ও ফ্লোয়েম 

148) উদ্ভিদে কিভাবে জল এবং খনিজের পরিবহন ঘটে?

Ans: জাইলেম কলার মাধ্যমে

149) উদ্ভিদে কিভাবে খাদ্য পরিবহন ঘটে?

Ans: ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে

150) রেচন পদার্থের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উদ্ভিদরা কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করে?

Ans : 

i) উদ্ভিদের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ গুলি কোশ গহব্বরে সঞ্চিত থাকে

ii) উদ্ভিদের বর্জ্য পদার্থ গুলি পাতাতেও সঞ্চিত থাকতে পারে , যা নির্দিষ্ট সময়ে ঝরে পড়ে যায়

iii) বাষ্পমোচন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ অতিরিক্ত জল ত্যাগ করে

iv) অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ সমূহ রেজিন এবং গাম রূপে বিশেষত পুরনো অর্থাৎ বহু আগে গঠিত জালেমে সঞ্জিত থাকে

v) উদ্ভিদরা কিছু বর্জ্য পদার্থ তাদের চারপাশের মাটিতেও রেচন প্রক্রিয়ায় ত্যাগ করে

151) দেহে উৎপন্ন মুত্রের পরিমাণ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়?

152) আমাদের দেহে ফ্যাটের পরিপাক কিভাবে ঘটে? এই প্রক্রিয়াটি কোথায় ঘটে?

153) খাদ্য পরিপাকে লালারসের ভূমিকা কি?

154) স্বভোজী পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত গুলো কি কি এবং এই পুষ্টি প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন উপজাত বস্তুগুলো কি কি?

Ans: কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জল, ক্লোরোফিল, সূর্যালোক।

• উপজাত বস্তুগুলো : গ্লুকোজ এবং অক্সিজেন

155) কিছু জীবের নাম করো যাদের দেহে অবাত শ্বসন ঘটে?

Ans: ইস্ট এবং ব্যাকটেরিয়া

156) সর্বাধিক গ্যাসীয় আদান-প্রদানের জন্য বায়ুথলির গঠন নক্সা  কিরূপ হয়?

157) আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হলে এর পরিণতি কী হবে?

158) জাইলেম ফ্লোয়েম দিয়ে বস্তুসমূহের পরিবহন এর মধ্যে কি কি পার্থক্য আছে?

159) মানুষের পৌষ্টিকনালীর চিত্র অঙ্কন করে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর?

160) সিলিয়া কি ?এটি কোথায় অবস্থিত? এর কাজ লেখ?

Ans : ফুসফুসের শ্বাসনালির উর্ধ্বাংশে কতগুলো ক্ষুদ্ররোমের মতো গঠন দেখা যায়, এদের সিলিয়া বলে

এটি ফুসফুসে অবস্থিত

কাজ : সিলিয়া প্রশ্বাসের বায়ু থেকে জীবাণু, ধুলোবালি এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক কণাসমূহের অপসারণে সাহায্য করে

161) স্বাভাবিক সিস্টোলিক চাপ এবং ডায়াস্টোলিক চাপ কত?

Ans : সিস্টোলিক চাপ প্রায় 120 mm পারদ স্তম্বের সমান এবং ডায়াস্টোলিক চাপ 80 mm পারদ স্তম্বের সমান

162) মাছের হৃদপিন্ডে কয়টি প্রকোষ্ঠ আছে?

Ans : 2 টি

163) সরীসৃপের হৃদপিন্ডে কয়টি প্রকোষ্ঠ আছে?

Ans : তিনটি

164) সংবহন কলা উদ্ভিদের সংবহন ছাড়া আর কি কাজ করে?

Ans : উদ্ভিদ অঙ্গের যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে

165) রক্ত লবনাক্ত কেন?

Ans : রক্তে NaCl থাকে বলে রক্ত লবণাক্ত হয়

166) হেপারিন নিঃসরণ করে কোন শ্বেতকণিকা?

Ans : বেসোফিল

167) রক্তে পাওয়া যায় এমন দুটি শ্বাস রঞ্জক এর নাম লেখ?

Ans : হিমোগ্লোবিন এবং হিমোসায়ানিন

168) আমাদের পৌষ্টিক নালীর কোন অংশ থেকে Hcl ক্ষরিত হয়?

Ans : পাকস্থলীর অক্সিনটিক কোশ থেকে

Visit Our Channel : 


1 comment:

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.