আমাদের চারপাশের পদার্থ কি বিশুদ্ধ? Is matter around us pure? Class -IX (New Syllabus)-2021// NCERT //SCERT//CBSE

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ 
আমাদের চারপাশের পদার্থ কি বিশুদ্ধ? 
( Is matter around us pure? )
Important Question with Answer - 2020- 2021
By : Biplab Debnath (৯৮৬২৪৮২০৬৫) 

1) মিশ্রণ কি?
Ans: যে সব পদার্থ দুই বা তার বেশি বিশুদ্ধ মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ দিয়ে গঠিত, তাকে মিশ্র পদার্থ বা মিশ্রণ বলে।
2) মিশ্র পদার্থের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans: 
i) মিশ্র পদার্থের উপাদানগুলি পাশাপাশি অবস্থান করে নতুন কোন পদার্থ উৎপন্ন করে না।
ii) মিশ্র পদার্থ সমসত্ব বা অসমসত্ত্ব হতে পারে।
iii) মিশ্র পদার্থের উপাদান গুলির ধর্ম বজায় থাকে।
iv) মিশ্র পদার্থের উপাদানগুলিকে সহজে ভৌত উপায়ে পৃথক করা যায়।
v) মিশ্র পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নেই।
3) সমসত্ব মিশ্রণ এবং অসমসত্ত্ব মিশ্রণ কি ?উদাহরণ দাও।
Ans: যে মিশ্র পদার্থের উপাদান গুলির অনুপাত সর্বত্র সমান থাকে তাকে সমসত্ব মিশ্রণ বলে। যেমন : জলে চিনির দ্রবণ।
• যে মিশ্র পদার্থের উপাদান গুলির অনুপাত সর্বত্র সমান হয় না , তাকে অসমসত্ব মিশ্রণ বলে। যেমন : চক ও জলের মিশ্রণ।

4) সমসত্ত্ব এবং অসমসত্ত্ব মিশ্রণ এর মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans: i) সমসত্ব মিশ্রনে উপাদান গুলির অনুপাত সর্বত্র সমান থাকে।
• অসমসত্ব মিশ্রনে উপাদান গুলির অনুপাত সর্বত্র সমান হয় না।
ii) সমসত্ব মিশ্রনের ঘনত্ব নির্দিষ্ট হয়।
• অসমসত্ব মিশ্রনের ঘনত্ব নির্দিষ্ট হয় না।
iii) সমসত্ব মিশ্রনের উপাদানগুলি অদৃশ্য থাকে।
• অসমসত্ত্ব মিশ্রণ এর উপাদানগুলিকে সহজেই দেখা যায়।
5) সংকর ধাতু কি? উদহারন দাও।
Ans : দুই বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণ অথবা কোন ধাতু এবং অধাতু মিশ্রণকে সংকর ধাতু বলে। যেমন : পিতল।
6) পিতলের (ব্রাশ) উপাদান লেখ?
Ans: জিংক ( 30%) এবং কপার ( 70%)।
7) দ্রবণ ( Solution) কাকে বলে?
Ans: দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ব মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। যেমন : লেবুজল এবং সোডা জল।
8) দ্রবণের প্রধান দুটি অংশ কি কি?
Ans : দ্রাব এবং  দ্রাবক।
9) দ্রাব এবং  দ্রাবক কাকে বলে?
Ans : দ্রবণের যে উপাদানটি অন্য উপাদানকে দ্রবীভূত করে ( সাধারণত দ্রবণের যেটি বেশি পরিমাণে থাকে ) তাকে দ্রাবক বলে।
• দ্রবণের যে উপাদানটি দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় ( যেটি দ্রবণে কম পরিমাণে থাকে ) তাকে দ্রাব বলে।
10) জলের চিনির দ্রবণে দ্রাব এবং  দ্রাবক সনাক্ত কর?
Ans : দ্রাব : চিনি।
এবং  দ্রাবক : জল।
11) টিংচার অব্ আয়োডিন কি? এতে দ্রাব এবং  দ্রাবক কোনটি?
Ans : অ্যালকোহলে ও কঠিন আয়োডিনের দ্রবণকে টিংচার অব্ আয়োডিন বলে। 
• এতে দ্রাব : আয়োডিন এবং  দ্রাবক : অ্যালকোহল। 
12) বায়ুতে অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের শতকরা পরিমাণ কত?
Ans : অক্সিজেন 21 শতাংশ এবং নাইট্রোজেন 78 শতাংশ।
13) দ্রবণের কয়েকটি ধর্ম লিখ?
Ans : i) দ্রবণ সবসময় সমসও্ব ।
ii) দ্রবণে দ্রাবের কণাগুলি কখনো থিতিয়ে পড়ে না।
iii) দ্রবণে দ্রাবের কণাগুলি এত ক্ষুদ্র যে ওদের খালি চোখে তো দূরের কথা, এমনকি শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় না।
14) দ্রবণে দ্রাব কণাগুলির ব্যাস কত? 
Ans : 1 ন্যানোমিটার ( 10-9 মিটার ) থেকেও কম।
15) একটি তরল ( দ্রাবক ) -তরল (দ্রাব) দ্রবণের উদাহরণ দাও?
Ans : অ্যালকোহল এবং জলের মিশ্রণ।
16) একটি তরল-গ্যাসীয় দ্রবণের উদাহরণ দাও?
Ans : সোডা ওয়াটার।
17) একটি কঠিন-তরল দ্রবণের উদাহরণ দাও?
Ans : সোডিয়াম অ্যামালগাম ( সোডিয়াম ও পারদের দ্রবণ)।
18) একটি কঠিন-কঠিন দ্রবণের উদাহরণ দাও?
Ans : পিতল ( তামা + দস্তা)
19) একটি গ্যাস-গ্যাস দ্রবণের উদাহরণ দাও?
Ans : বায়ু।
20) লঘু দ্রবণ এবং গাঢ় দ্রবণ কাকে বলে?
Ans : কোন অসম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম থাকলে সেই দ্রবনকে লঘু দ্রবণ বলে।
• কোন অসম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবের পরিমাণ বেশি থাকলে সেই দ্রবনকে গাঢ়  দ্রবণ বলে।
21) দ্রবণে ঘনত্ব কাকে বলে?
Ans : দ্রবণ বা দ্রাবকের একক আয়তনে বা একক ভরে উপস্থিত দ্রাবের পরিমাণকে দ্রবণে ঘনত্ব বলে।
22) জলকে সার্বজনীন দ্রাবক  (universal solvent) বলে কেন ?
Ans : কারণ, জলের মধ্যে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় সবরকম পদার্থ দ্রবীভূত হয় দ্রবন উৎপন্ন করে। তাছাড়া জলে বিভিন্ন সমযোজী ও তড়িৎযোজী যৌগ দ্রবীভূত হতে পারে। জলের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অন্য যেকোনো দ্রাবক থেকে ভিন্ন, তাছাড়া জলের ব্যবহার সহজ ও যথেষ্ট নিরাপদ। তাই জলকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।
23) সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে?
Ans : কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে সর্বাধিক পরিমাণ দ্রাব দ্রবীভূত করলে যে দ্রবণ উৎপন্ন হয় , তাকে ওই উষ্ণতায় ঐ দ্রাবের সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে। 
• কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় যে দ্রবণ আরও দ্রাব দ্রবীভূত করতে পারে, তাকে ওই উষ্ণতায় ওই  দ্রাবের সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।
24) সম্পৃক্ত দ্রবনকে অসম্পৃক্ত করার পদ্ধতি গুলি কি কি?
Ans : 
i) উষ্ণতা স্থির রেখে দ্রাবকের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে সম্পৃক্ত দ্রবণটি  অসম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয়।
ii) সম্পৃক্ত দ্রবনের উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে উচ্চতর উষ্ণতায় দ্রবণটি অসম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয়।
25) অসম্পৃক্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত করার পদ্ধতি গুলি কি কি?
Ans :
i) উষ্ণতা স্থির রেখে দ্রবণে আরও দ্রাব দ্রবীভূত করলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত হবে।
ii) দ্রবণের উষ্ণতা হ্রাস করলে একসময় অসম্পৃক্ত দ্রবণ সম্পৃক্ত হবে।
26) কোন দ্রবণের গাঢ়ত্ব কি?
Ans : কোন দ্রবণের গাঢ়ত্ব হলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রবণে ( ভর বা আয়তন) উপস্থিত দ্রাবের পরিমাণ ( ভর বা আয়তন) ।
27) একটি দ্রবণের 40 গ্রাম সাধারণ লবণ 320 গ্রাম জলে দ্রবীভূত আছে। দ্রবণের গাঢ়ত্ব ভরের অনুপাতের শতকরা হারে প্রকাশ করো।
Ans : NCERT BOOK
28) দ্রাব্যতা কাকে বলে?
Ans : নির্দিষ্ট উষ্ণতায় 100 গ্রাম দ্রাবক সর্বাধিক যত গ্রাম  দ্রাব পদার্থ দ্রবীভূত করে, সেই গ্রাম সংখ্যাকে ওই উষ্ণতায় ঐ দ্রাবের দ্রাব্যতা বলে।
29) 30°C উষ্ণতায় পটাশিয়াম নাইট্রেট এর দ্রাব্যতা 45 বলতে কি বুঝ?
Ans : 30°C উষ্ণতায় পটাশিয়াম নাইট্রেট এর দ্রাব্যতা 45 বলতে বোঝায় যে, 30°C উষ্ণতায় 100 গ্রাম জলে 45 গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট দ্রবীভূত করলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত দ্রবণ উৎপন্ন হবে।
30) দ্রাব্যতার সংজ্ঞায় উষ্ণতার উল্লেখ করা হয় কেন?
Ans : কোন পদার্থের দ্রাব্যতা একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট। কিন্তু উষ্ণতার পরিবর্তনে পদার্থের দ্রাব্যতার পরিবর্তন হয়। বিভিন্ন উষ্ণতায় 100 গ্রাম দ্রাবককে সম্পৃক্ত করতে একই দ্রাবের ভিন্ন ভিন্ন ভরের প্রয়োজন হয়।
31) দ্রাব্যতার একক কি?
Ans : দ্রাব্যতার একক থাকে না , এটি একটি সংখ্যা মাত্র। কারণ পদার্থের দ্রাব্যতা দুটি ভর সংখ্যার অনুপাত তাই।
32) কোন পদার্থের দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বাড়ে?
Ans : পটাশিয়াম নাইট্রেট।
33) কোন পদার্থের দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে হ্রাস পায়?
Ans : কলিচুন।
34) কোন পদার্থের দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রায় একই থাকে?
Ans : খাদ্য লবন (সোডিয়াম ক্লোরাইড)।
35) দ্রবণের গাঢ়ত্বকে প্রকাশ করার বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি লেখ?
Ans : NCERT 16-17 Page।
36) প্রলম্বন কি? উদাহরণ দাও।
Ans :   যখন কোন দ্রাবকের মধ্যে অন্য কোন অদ্রাব্য পদার্থের 10-4 সেমি বা তার বেশি ব্যাসের কণা প্রলম্বিত অবস্থায় ইতস্তত ঘুরে বেড়ায় এবং একটি অস্বচ্ছ অসমসত্ত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে , তখন সেই অস্বচ্ছ অসমসত্ত্ব মিশ্রণকে প্রলম্বন বা সাসপেনশন বলে যেমন : পুকুরের কর্দমাক্ত ঘোলা জল
37) প্রলম্বনের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?
Ans :NCERT 17 Page।
38) কি পদ্ধতির সাহায্যে প্রলম্বন থেকে দ্রাবের  কণাগুলোকে পৃথক করা যায়?
Ans : পরিস্রাবণ পদ্ধতির সাহায্যে।
39) কলয়েড দ্রবণ কি? উদাহরণ দাও।
Ans : কোন দ্রাবকের মধ্যে অন্য কোন অদ্রাব্য পদার্থের সুক্ষ্মকণা (10-5 সেমি থেকে 10-7 সেমি ব্যাস ) প্রলম্বিত অবস্থায় ইতস্তত ঘুরে বেড়ায় অথচ দ্রবীভূত না হয়ে একটি অসচ্ছ ও অসমসত্ত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে এবং যে মিশ্রণ থেকে কণাগুলোকে ফিল্টার কাগজ এর সাহায্যে পৃথক করা যায় না, কিন্তু পার্চমেন্ট কাগজের সাহায্যে পৃথক করা যায় , তখন সেই অস্বচ্ছ ও অসমসত্ত্ব  মিশ্রণকে কোলয়েড বলে বলে। যেমন :  ভাতের ফ্যান, ডিমের সাদা অংশ।
40) টিন্ডাল প্রভাব (Tyndall effect) কি?
Ans : কলয়েডের মধ্যে তীব্র আলোকরশ্মি চালনা করলে কলয়েডের কণাগুলি দ্বারা ওই আলোক রশ্মি প্রতিফলিত হয় এবং ক্ষুদ্র কণা গুলি আমরা দেখতে পাই। এই ঘটনাকে টিন্ডাল প্রভাব বলে।
41) কলয়েডের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম গুলি লেখ?
Ans : NCERT 18 Page।
42) কি পদ্ধতিতে কলয়ডীয় কণাগুলোকে পৃথক করা যায়?
Ans : সেন্ট্রিফিউগেশন পদ্ধতির সাহায্যে।
43) কলয়ডীয় দ্রবনের দুটি উপাদান কী কী?
Ans : বিস্তৃতদশা এবং বিস্তার মাধ্যম।
44) সল , দ্রবণ এবং প্রলম্বন কিভাবে একে অপরের থেকে পৃথক?
Ans : i) বিস্তার মাধ্যম তরল এবং বিস্তৃত দশা কঠিন এর মিশ্রণকে সল বলে। যেমন : গোল্ড সল।
• দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ব মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। যেমন : যেমন : চিনির জলীয় দ্রবণ ।
• কোন অসমসত্ত্ব মিশ্রণে যখন দ্রাব কণা গুলির আকার কলয়েড কণার ব্যাসের থেকে বড় হয় , তখন সেই মিশ্রণটিকে প্রলম্বন বলে।যেমন : কাদা মিশ্রিত জল।
ii) সল অসমসত্ত্ব।
• দ্রবণ সমসত্ব।
• প্রলম্বন অসমসত্ত্ব।
iii)  সল কণাগুলির ব্যাস 10থেকে 10

দ্রবণের কণাগুলোর ব্যাস 10এর ছোট

প্রলম্বন কণাগুলোর ব্যাস 10এর বড়ো

45) বিস্তৃত দশা এবং বিস্তার মাধ্যম কি?
Ans: কলয়েড দ্রবণের কণাগুলোকে বলে বিস্তৃত দশা এবং যে মাধ্যমে কণাগুলি বিস্তৃত  থাকে তাকে বিস্তার মাধ্যম বলে।
46) সোডা ওয়াটারের বোতলের ছিপি খুললে ফেনা উৎপন্ন হয় কেন?
Ans: সোডা ওয়াটারের বোতলে অতিরিক্ত চাপে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস জলে দ্রবীভূত করা হয়। বোতলের ছিপি খুললে তরলের ওপর চাপ কমে যায়। ফলে জলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রাব্যতা কমে যায় এবং অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড বুদবুদ আকারে বেরিয়ে এসে বোতলের মুখে ফেনা সৃষ্টি করে।
47) কি পদ্ধতিতে দুধ থেকে ক্রিম থেকে আলাদা করা হয় এবং কিভাবে?
Ans : ঘূর্ণন যন্ত্র বা সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রের সাহায্যে।
পদ্ধতি : একটি ঘূর্ণন যন্ত্রে ফ্যাট যুক্ত দই নিয়ে দুই 2-3 মিনিট ঘূর্ণন যন্ত্র দ্রুত ঘুড়ানো হয়। ঘূর্ণনের ফলে দুধের মধ্যকার ফ্যাট মাখন রূপে উপরে ভেসে ওঠে এবং দুধের মধ্যস্থ ভারী কনা গুলি নিচে চলে যায়। এভাবে দুধ থেকে ক্রিম আলাদা করা হয়।
48) ঘূর্ণন যন্ত্র কোন কাজে ব্যবহার করা হয় ? কোন নীতিতে এই যন্ত্র কাজ করে?
Ans : NCERT 19-20 Page।
49) ঘূর্ণন যন্ত্রের তিনটি ব্যবহার বা প্রয়োগ লেখ!
Ans : NCERT 20 Page।
50) অমিশ্রনিয় দুটি তরলকে কিভাবে মিশ্রণ থেকে পৃথক করবে?
অথবা,  বিয়োজি ফানেল পদ্ধতিতে জল ও কেরোসিনের  মিশ্রণ থেকে কিভাবে উপাদানগুলি পৃথক করবে?
Ans : পৃথকীকরণ ফানেলর সাহায্যে।
• পদ্ধতি:  দুটি অমিশ্রনীয় তরল যেমন- জল এবং কেরোসিনের মিশ্রণকে পৃথকীকরণ ফানেলে ঢেলে মিশ্রণটিকে কিছুক্ষণ স্থির রাখি, যাতে জল এবং কেরোসিনের দুটি স্তর তৈরি হয়। এবার পৃথকীকরণ ফানেলের স্টপ কক্ টি খুলে দিলে নিচের জলের স্তরটি ( অপেক্ষাকৃত ভারী তরল)  বেরিয়ে ফ্লাক্সে জমা হবে। যখন তেলের স্তরটি স্টপককে্ পৌঁছায় তখন স্টপকক্ টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে হালকা তরল (তেল) পৃথকীকরণ ফানেলে থেকে যায়।
51) লবণ এবং কর্পূর এর মিশ্রণকে আমরা কীভাবে পৃথক করব? ব্যাখ্যা করো।
Ans : উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় পৃথক করা যায়।
পৃথকীকরণ পদ্ধতি : 
• একটি চিনা মাটির প্লেটে লবণ এবং কর্পূরের মিশ্রণকে নিয়ে ত্রিপদ স্ট্যান্ডে রাখা তারজালির উপর বসানো হলো। 
• এবার একটি ফানেলকে উপুর করে কর্পুর ও লবণের মিশ্রণটিকে ঢাকা দিয়ে ফানেলের মুখ তুলো দিয়ে বন্ধ করা হল এবং ফানেলের বাইরের গায়ে ভিজে ফিল্টার কাগজ জড়িয়ে দেওয়া হল।
• এবার বার্নার দিয়ে চিনামাটির প্লেটিকে উত্তপ্ত করা হল। কিছুক্ষণের মধ্যে কর্পুর ঊর্ধপাতিত হয়ে ফানেলের ভিতরের গায়ে কঠিনরূপে জমা হবে এবং চিনা মাটির প্লেট পড়ে থাকবে লবণ। এইবার ফানেলটিকে সরিয়ে ফানেলের ভিতরের গায়ে লেগে থাকা কর্পূর একটি পাত্রে সংগ্রহ করা হয়।
52) পৃথকীকরণ ফানেল এর ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখ?
Ans : NCERT 20 Page।
53) ক্রোমাটোগ্রাফি কি? এর ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখ?
Ans : ক্রোমাটোগ্রাফির অর্থ হলো 'রংয়ের চিত্রলেখা'। কোন মিশ্রণ থেকে রঞ্জক উপাদানগুলোকে পৃথক করার পদ্ধতিকে ক্রোমাটোগ্রাফি বলে।
• প্রয়োগ : NCERT Book 21 page।
54) কালো কালিতে উপস্থিত রঞ্জক কণা ( ডাই ) এর পৃথকীকরণ কিভাবে করা যায়?
Ans : ক্রোমাটোগ্রাফির সাহায্যে।
• পৃথকীকরণ পদ্ধতি : 
একটি আয়তাকার ফিল্টার কাগজ নিয়ে তার নিচের ধার থেকে 3cm উপরে পেন্সিল ব্যবহার করে একটি রেখা টানা হলো। রেখাটির মধ্যবিন্দুতে একটি কালির ছোট ফোঁটা নেওয়া হলো।টেস্ট টিউবের মধ্যে জল নিয়ে ফিল্টার কাগজটিকে এমনভাবে রাখা হলো যাতে কালির ফোঁটাটি জল তলের উপরে থাকে এবং স্থির অবস্থায় থাকে। দেখা যায় ফিল্টার কাগজ বেয়ে জল ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকবে । জলের সহিত রঞ্জক কণাগুলো ফিল্টার কাগজ বেয়ে উপরের দিকে উঠে। সাধারণত রঞ্জক দুই বা ততোধিক বর্ণের মিশ্রণ। জলে অধিক দ্রবণীয় রঙিন উপাদানটি দ্রুত উপরের দিকে উঠে এবং এভাবে বর্ণগুলো আলাদা হয়। এইভাবে মিশ্রণ থেকে রঞ্জক উপাদানগুলোকে পৃথক করা যায়।
55) মিশ্রণীয় দুটি তরলকে কিভাবে পৃথক করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, দুটি মিশ্রণীয় তরল যেমন পেট্রোল ও কেরোসিনের মিশ্রণ থেকে উপাদানগুলোকে কিভাবে পৃথক করবে?
Ans : পাতন পদ্ধতির সাহায্যে।
• মিশ্রণটিকে পাতন প্লাস্কে নিয়ে ধীরে ধীরে তাপ দিলে যে তরলের স্ফুটনাংক কম (এখানে পেট্রোল) তা বাষ্পীভূত হবে এবং শীতক যন্ত্রে প্রবেশ করবে। শীতক যন্ত্র এটি ঘনীভূত হয়ে তরলে পরিণত হবে। বেশি স্ফুটনাঙ্কের তরল (এখানে কেরোসিন ) পাতন ফ্লাস্কে পড়ে থাকবে।
56) বায়ুতে উপস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদানগুলোকে কী পদ্ধতিতে পৃথক করা যায়?
Ans : আংশিক পাতন প্রক্রিয়ার সাহায্যে পৃথক করা যায়।
57) আংশিক পাতনের ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখ?
Ans : 
• আলকাতরা থেকে বেনজিন পৃথক করা হয়।
• বায়ুর (তরল অবস্থায়) বিভিন্ন উপাদানগুলিকে (গ্যাসীয়) পৃথক করা।
58) কি পদ্ধতিতে অবিশুদ্ধ কপার সালফেটের নমুনা থেকে বিশুদ্ধ কপার সালফেট পাওয়া যায়?
Ans : কেলাসন পদ্ধতিতে।
• পদ্ধতিটি হল : 
একটি কাঁচপাত্রে CuSO4 এর অবিশুদ্ধ নমুনার দ্রবণ নিয়ে একে উত্তপ্ত করা হল। কিছুক্ষণ সময় উত্তাপ দিলে দেখা যাবে CuSO4  এর দ্রবণটি গাঢ় হচ্ছে এবং যে কেলাস পড়ছে , সেগুলি বিশুদ্ধ CuSO4  এর কেলাস। এইভাবে কেলাস দ্বারা বিশুদ্ধ CuSO4  সংগ্রহ করা যায়।শেষে মিশ্রনটিকে ছে৺কে নেওয়া হলো ( ফিল্টার কাগজ ব্যবহার করে)।
59) কেলাসন পদ্ধতির প্রয়োগ লেখ?
Ans : 
• সমুদ্রের জল থেকে প্রাপ্ত লবণের বিশুদ্ধিকরন।
• ফটকিরির অশুদ্ধ নমুনা থেকে বিশুদ্ধ কেলাসকে পৃথকীকরণ।
60) পৃথককরণের সাধারণ কৌশল গুলো উল্লেখ করো :
i) দই থেকে মাখন।
ii) সমুদ্র জল থেকে লবন।
iii) লবণ থেকে কর্পুর। 
iv) জলে প্রলম্বিত কাদামাটির কণাগুলি।
v) বালি থেকে লোহার পিন।
Ans : i) ঘূর্ণন যন্ত্রের সাহায্যে।
ii) বাষ্পায়ন এর সাহায্যে।
iii) ঊর্ধ্বপাতন এর সাহায্যে।
iv) ফিল্টার কাগজের সাহায্যে।
v) চুম্বকের সাহায্যে।
61) কেলাসন কৌশলের দ্বারা কি ধরনের মিশ্রণকে পৃথক করা যায়?
Ans : যে সকল কেলাসাকার কঠিন পদার্থে অশুদ্ধি মিশে থাকে।
62) একটি লবণের দ্রাব্যতার উপর উষ্ণতার পরিবর্তনের প্রভাব লেখ?
Ans : • পটাশিয়াম নাইট্রেট লবণের দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বাড়ে।
• খাদ্য লবণের দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রায় একই থাকে।
• ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর দ্রাব্যতা উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে।
63) কোন দ্রবণের দ্রাব গ্রহণ করার ক্ষমতা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
Ans : নিচের তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে-----
• দ্রাব এবং দ্রাবকের প্রকৃতি।
• দ্রাবকের পরিমাণ এবং
• দ্রবণের উষ্ণতা।
64) তোমাকে একটি বর্ণহীন তরল দেওয়া হল । তুমি কিভাবে বুঝবে যে তরলটি জল।
Ans : বর্ণহীন তরলটিকে নিয়ে বাষ্পীভবন করা হল। উত্তাপে তরলটি দেখা গেল 100°C উষ্ণতায় স্ফুটন শুরু করেছে। এই তাপমাত্রায় তরল সর্বাধিক বাষ্পায়ন করে এবং পর্যবেক্ষণে দেখা গেল বাষ্পায়ন পাত্রে কোন অবশেষ নেই। সুতরাং বর্ণহীন তরলটি হল জল। যেহেতু জলের 100°C উষ্ণতায় স্ফুটন হয় , তাই এটি অবশ্যই বিশুদ্ধ যৌগ।
65) নীচের পদার্থগুলোকে সমসত্ব এবং অসমসত্ত্ব এর ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাগ কর : সোডা জল, কাঠ, বায়ু , মাটি, ভিনিগার, পরিস্রুত চা।
Ans : সমসত্ব : সোডা জল, ভিনিগার ,পরিস্রুত চা।
এবং অসমসত্ত্ব : কাঠ, বায়ু , মাটি।
66) ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে?
Ans : যে পরিবর্তনে পদার্থের কেবল বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে, অনুর গঠনের কোন পরিবর্তন হয় না , তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। 
যেমন : বরফের গলন।
• যে পরিবর্তনে পদার্থের অণুর গঠনের পরিবর্তন হয় এবং নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।
যেমন : লোহায় মরিচা পড়া।
67) ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্যে পার্থক্য লেখ?
Ans : ১. ভৌত পরিবর্তনে কোনো নতুন ধরনের পদার্থ সৃষ্টি হয় না।
• রাসায়নিক পরিবর্তনে সম্পূর্ন নতুন ধরনের এক বা একাধিক পদার্থ সৃষ্টি হয়।
২. ভৌত পরিবর্তন উভয় মুখি পরিবর্তন।
• রাসায়নিক পরিবর্তন একমুখী পরিবর্তন।
৩। ভৌত পরিবর্তন অস্থায়ী।
• রাসায়নিক পরিবর্তন পরিবর্তন স্থায়ী।
 ৪। ভৌত পরিবর্তনে তাপশক্তির শোষণ বা উদ্ভব ঘটতে পারে, নাও ঘটতে পারে।
• রাসায়নিক পরিবর্তনে তাপশক্তির শোষণ বা উদ্ভব অবশ্যই ঘটবে।
68) ধাতু এবং অধাতু কি?
Ans : যেসব মৌল সাধারণ অবস্থায় কঠিন, উজ্জ্বল ও চকচকে, তাপ ও বিদ্যুতের সুপরিবাহী এবং যে মৌল তড়িৎ ধনাত্মক তাকে ধাতু বলে। যেমন  : সোনা ,রূপা, তামা, অ্যালূমনিয়াম।
• যেসব মৌল সাধারণ অবস্থায় কঠিন,তরল ও গ্যাসীয়, অনুজ্জ্বল, তাপ ও তড়িৎতের কুপরিবাহী এবং তড়িৎ ঋণাত্মক তাদের অধাতু বলে। যেমন : কার্বন ,হাইড্রোজেন, অক্সিজেন।
69) ধাতুর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখ?
Ans : 
i) ধাতু গুলি তড়িৎ ধনাত্মক ধর্মী।
ii) ধাতু গুলি তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী।
iii) ধাতু গুলিকে আঘাত করলে শব্দ উৎপন্ন হয়।
iv) ধাতু গুলির উজ্জ্বলতা আছে।
70) অধাতুর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans : i) অধাতু গুলি তড়িৎ ঋণাত্মক ধর্মী ( ব্যতিক্রম - হাইড্রোজেন)।
ii) অধাতু গুলি তাপ ও তড়িতের কুপরিবাহী।
iii) অধাতুকে আঘাত করলে শব্দ সৃষ্টি হয় না।
iv) অধাতু গুলির উজ্জ্বলতা নেই।
71) মৌল বা মৌলিক পদার্থ কি?
Ans: যে পদার্থকে রাসায়নিক বিশ্লেষণ করলে সেই পদার্থ ছাড়া পৃথক ধর্ম বিশিষ্ট অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক পদার্থ বলে । যেমন : অক্সিজেন ,তামা।
72) ধাতুকল্প কি ? উদাহরণ দাও।
Ans : যে সব মৌলের মধ্যে ধাতু এবং অধাতু উভয়ের গুণই বর্তমান থাকে, তাকে ধাতুকল্প বলে। যেমন : আর্সেনিক, এন্টিমনি।
73) প্রকৃতিতে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা কত?
Ans : 92 টি।
74) একটি করে তরল ধাতু ও অধাতুর নাম কর?
Ans : ধাতু : পারদ।
• অধাতু : ব্রোমিন।
75) কোন অধাতু তাপ ও তড়িৎ এর সুপরিবাহী?
Ans : গ্রাফাইট।
76) ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের একটি করে প্রাকৃতিক দৃষ্টান্ত দাও?
Ans : একটি প্রাকৃতিক ভৌত পরিবর্তন : হিমবাহের গলন।
• একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক পরিবর্তন : দাবানল।
77) এমন একটি উদাহরণ দাও যেখানে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন একসঙ্গে ঘটে?
Ans : মোমবাতির দহন।
•  মোমবাতি একটি হাইড্রোকার্বন যৌগ। দহনের সময় বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে, যা মোমবাতির ধর্ম থেকে আলাদা --- এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।
এই দহনে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়।  উৎপন্ন তাপে কিছু মোম গলে তরলে পরিণত হয় ---- এটি একটি ভৌত পরিবর্তন।
78) লোহায় মরিচা পড়া কি ধরনের পরিবর্তন এবং কেন?
Ans : আদ্র বায়ুতে লোহাকে রেখে দিলে লোহার ওপর একটি বাদামী রঙ এর আস্তরণ পড়ে একে মরিচা বলে। এক্ষেত্রে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয়। আবার মরিচা থেকে লোহা ফিরে পাওয়া যায় না। তাই এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

4Fe + 3Oমরিচা )

79) দুধ থেকে দই তৈরি এটি কি ধরনের পরিবর্তন এবং কেন?
Ans : দুধ থেকে দই তৈরি করলে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয়। ফলে দইকে পুনরায় দুধে রূপান্তরিত  করা সম্ভব হয় না। তাই এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।
80) জলের চেয়ে হালকা দুটি ধাতুর নাম কর?
Ans : সোডিয়াম , পটাশিয়াম।
81) সবচেয়ে হালকা ধাতুর নাম কি?
Ans : লিথিয়াম।
82) ধাতু এবং অধাতুর  মধ্যে পার্থক্য লিখ?
Ans : i) ধাতু গুলি তড়িৎ ধনাত্মক ধর্মী।
• অধাতু গুলি তড়িৎ ঋণাত্মক ধর্মী ( ব্যতিক্রম - হাইড্রোজেন)
ii) ধাতু গুলি তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী।
• অধাতু গুলি তাপ ও তড়িতের কুপরিবাহী।
iii) ধাতু গুলিকে আঘাত করলে শব্দ উৎপন্ন হয়।
• অধাতুকে আঘাত করলে শব্দ সৃষ্টি হয় না।
iv) ধাতু গুলির উজ্জ্বলতা আছে।
• অধাতু গুলির উজ্জ্বলতা নেই।
83) যৌগ বা যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?
Ans : দুই বা ততোধিক মৌল নির্দিষ্ট ওজন অনুপাতে পরস্পর রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট যে পদার্থ উৎপন্ন করে, তাকে যৌগ বলে। যেমন:  জল, কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
84) যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য লেখ?
Ans : i) দুই বা ততোধিক মৌল নির্দিষ্ট ওজন অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগিক পদার্থ সৃষ্টি করে।
ii) যৌগিক পদার্থে উপাদানগুলির ধর্ম বজায় থাকে না।
iii) যৌগিক পদার্থের উপাদান গুলিকে সহজে পৃথক করা যায় না।
iv) যৌগিক পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নির্দিষ্ট।
85) মিশ্রণ এবং যৌগিক পদার্থের পার্থক্য লেখ?
Ans : i) মিশ্রণে উপাদানগুলির ধর্ম বজায় থাকে।
• যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলির ধর্ম বজায় থাকে না।
ii) মিশ্র পদার্থের উপাদান গুলিকে সহজেই পৃথক করা যায়।
• যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলিকে ভৌত উপায়ে পৃথক করা যায় না।
iii) মিশ্র পদার্থ সমসত্ব কিংবা অসমসত্ত্ব হতে পারে।
• যৌগিক পদার্থ সর্বদাই সমসত্ব হয়।
iv) মিশ্র পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপের তারতম্য হতেও পারে ,নাও হতে পারে।
• যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপের তারতম্য হবেই।
86) সবচেয়ে ভারী অধাতু কোনটি?
Ans : আয়োডিন।
87) ব্রাউনীয় গতি কি?
Ans : তরল বা গ্যাসে উপস্থিত ক্ষুদ্র কণাগুলির আঁকাবাঁকা চলন বা গতিকে ব্রাউনীয় গতি বলে।
88) ইমালসন কি?
Ans : তরল বিস্তার মাধ্যম  এবং তরল বিস্তৃত দশার মিশ্রণকে ইমালসন বলে। যেমন : তেলে-জল।
89) তরল গ্যাসের দ্রাব্যতার উপর চাপ ও উষ্ণতার প্রভাব লিখ?
Ans : উষ্ণতা বাড়লে তরলের গ্যাসীয় পদার্থের দ্রাব্যতা কমে এবং উষ্ণতা কমালে দ্রাব্যতা বাড়ে।
• স্থির উষ্ণতায় চাপ বাড়ালে তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতা বাড়ে এবং চাপ কমালে গ্যাসের দ্রাব্যতা কমে যায়।
90) নিচের কোন গুলো টিন্ডাল প্রভাব দেখায় : লবণের দ্রবণ, দুধ ,কপার সালফেট দ্রবণ, স্টাচ দ্রবন।
Ans : দুধ ও স্টাচ দ্রবন।
91) নিচের পদার্থগুলোর মধ্যে কোনটি মৌলিক, যৌগিক ও মিশ্রন : সোডিয়াম, মাটি, চিনির দ্রবণ, রুপা, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, টিন, সিলিকন ,কয়লা ,বায়ু, সাবান ,মিথেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ,রক্ত।
Ans : 
• মৌলিক : সোডিয়াম, রুপা, টিন,সিলিকন।
• যৌগিক : ক্যালসিয়াম কার্বনেট, সাবান, মিথেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
• মিশ্রন : মাটি ,চিনির দ্রবণ, কয়লা ,বায়ু ,রক্ত।
92) নিচের কোন গুলি রাসায়নিক পরিবর্তন এবং কোনগুলি ভৌত পরিবর্তন: 
i) রান্না করা খাদ্য 
ii) খাদ্যের পাচন 
iii) মোমবাতির দহন
iv) জলের কঠিনীভবন
v) গাছ কাটা
vi) জলের তড়িৎ পরিবহনে উৎপন্ন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন।
Ans : i) রাসায়নিক পরিবর্তন।
ii) রাসায়নিক পরিবর্তন।
iii) রাসায়নিক পরিবর্তন।
iv) ভৌত পরিবর্তন।
v) ভৌত পরিবর্তন
vi) রাসায়নিক পরিবর্তন।
93) কোন ধাতুকল্প জল দূষণ ঘটায়?
Ans : আর্সেনিক।
94) পরীক্ষাগারে কোন পদ্ধতিতে রক্তের উপাদান গুলোকে পৃথক করা হয়?
Ans : অপকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতিতে।
95) ড্রাই ক্লিনিং করতে কোন দ্রব্য ব্যবহৃত হয়?
Ans : গ্যাসোলিন বা পেট্রোল।
96) বায়ু শীতল করলে কোন গ্যাসটি প্রথমে তরলে পরিণত হয়?
Ans : অক্সিজেন।
97)  মানবদেহে উপস্থিত একটি কোলয়েডের নাম কর?
Ans : রক্ত।
98) SPM কি?
Ans : SPM সাধারণত বায়ুতে ভেসে বেড়ানো সূক্ষ্ম কণাগুলিকে বোঝায়। এগুলি সাধারণত কঠিন এরোসল।
SPM এর পুরো নাম - Suspended particulate matter.
99) তরল সোনা কাকে বলে?
Ans : পেট্রোলিয়ামকে।
100) বায়ুতে উপস্থিত গ্যাস গুলিকে তাদের স্ফুটনাঙ্কের ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে সাজাও ?
Ans :  নাইট্রোজেন < আর্গণ <  অক্সিজেন।

Visit Our Youtube Channel : 

No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.