অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান : ষষ্ঠ অধ্যায় : দহন ও শিখা Class-VIII (NCERT) 2021-22

ষষ্ঠ অধ্যায় : দহন ও শিখা

 অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান 

By : Biplab sir

1) বাড়িঘরের ব্যবহৃত কয়েকটি জ্বালানির নাম কর?

Ans: কাঠ ,কয়লা , ঘুটে , পেট্রোল, কেরোসিন, ডিজেল , LPG ।

2) একটি শিখা হীন জ্বালানির নাম করো?

Ans:  কয়লার দহন।

3) ম্যাগনেসিয়াম এর দহনে কি উৎপন্ন হয়?

Ans:  ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ( MgO)।

4) একখণ্ড চারকোল নিয়ে আগুনের শিখায় ধরলে কি হয়?

Ans:  এটি জ্বলে ওঠে এবং আলোক ও তাপ উৎপন্ন করে।

5) কয়লাকে বায়ুতে পোড়ালে কি উৎপন্ন হয়?

Ans:  কার্বন-ডাই-অক্সাইড , তাপ ও আলোক উৎপন্ন হয়।

6) দহন কি?

Ans:  যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোনো পদার্থ বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে তাকে দহন বলে।

7) জ্বালানি কি?

Ans: যে পদার্থটি জ্বলতে থাকে তাকে জ্বালানি বলে।

8) দুইটি করে কঠিন , তরল ও গ্যাসীয় জ্বালানির উদাহরণ দাও

Ans: কঠিন : কয়লা, চারকোল , কাঠ।

         তরল :  কেরোসিন, পেট্রোল                         গ্যাস : সিএনজি , এলপিজি।

9) জ্বালানি কত প্রকার ও কি কি?

Ans: জ্বালানি তিন প্রকার। যেমন : কঠিন , তরল ও গ্যাসীয় জ্বালানি।

10) আমাদের দেহের জ্বালানি কি?

Ans: খাদ্য।

11) দাহ্য পদার্থ ও অদাহ্য পদার্থ কি ?উদাহরণ দাও।

Ans: যেসব পদার্থ বায়ুতে জ্বলে তাদের দাহ্য পদার্থ বলে। যেমন : কাঠ, কেরোসিন ইত্যাদি।

যেসব পদার্থ বায়ুতে জ্বলে না তাদের অদাহ্য পদার্থ বলে। যেমন : লোহা, পাথরের টুকরো ইত্যাদি।

12) দহনের জন্য কোন গ্যাসের প্রয়োজন?

Ans: অক্সিজেন গ্যাস।

13) দহনে কি কি উৎপন্ন হয়?

Ans: তাপ ও আলোক।

14) কোন ব্যক্তির কাপড়ে আগুন লাগলে মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় কেন?

Ans: কারণ, আমরা জানি দহনের জন্য অক্সিজেন গ্যাসের প্রয়োজন। মোটা কাপড় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ঢাকলে অক্সিজেনের অভাবে আগুনটা নিভে যাবে। 

15) জ্বলন তাপমাত্রা কাকে বলে?

Ans: যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কোনো পদার্থ জ্বলে ওঠে, তাকে বলে সেই পদার্থের জ্বলন-তাপমাত্রা।

16) কেরোসিনকে আগুনের সামান্য তাপে জ্বলে ওঠে কিন্তু কাঠ জ্বলে না কেন?

অথবা , কেরোসিন সংরক্ষনে খুবই সতর্ক থাকা প্রয়োজন কেন?

Ans: কোন দাহ্য পদার্থ কখনো এর  জ্বলন তাপমাত্রার নীচের তাপমাত্রায় জ্বলে না। কেরোসিনের জ্বলন-তাপমাত্রা কাঠের জ্বলন-তাপমাত্রা অপেক্ষা কম। তাই আগুনের স্বল্প তাপে কেরোসিন জ্বলে উঠে। এজন্য কেরোসিন সংরক্ষণ খুবই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

17) একটি অত্যাধিক দাহ্য পদার্থের নাম করো?

Ans: সাদা ফসফরাস।

18) দেশলাইয়ের কাঠি কিভাবে জ্বলে উঠে?

Ans : দেশলাই কাঠির মাথায় থাকে অ্যান্টিমনি ট্রাই সালফাইড ও পটাশিয়াম ক্লোরেটের মিশ্রণ। আর দেশলাই বাক্সের গায়ে কাচের গুঁড়ো ও লাল ফসফরাসের প্রলেপ লাগানো থাকে। দেশলাই কাঠি দেশলাই বাক্সের গায়ে ঘষলে কিছু লাল ফসফরাস সাদা ফসফরাসে পরিণত হয় ও এটি সঙ্গে সঙ্গে দেশলাই কাঠির মাথায় থাকা পটাশিয়াম ক্লোরেটের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। সেই তাপ এন্টিমনি ট্রাইসালফাইডকে জ্বালিয়ে দেয় এবং এর ফলে দেশলাই কাঠিটি জ্বলে ওঠে।

19) দেশলাইয়ের কাঠির উপাদান লেখ?

Ans : অ্যান্টিমনি ট্রাই সালফাইড ও পটাশিয়াম ক্লোরেটের মিশ্রণ। 

20) ফায়ার ব্রিগেডে জল দিয়ে কিভাবে আগুন নেভায়?

Ans : ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা আগুনের উপর জল ঢেলে আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। জল দাহ্য পদার্থগুলোর তাপমাত্রা কমিয়ে জ্বলন-তাপমাত্রার নীচে নিয়ে আসে। এর ফলে আগুনের বিস্তৃতি কমে যায় এবং জলীয় বাষ্প জ্বলন্ত বস্তুর চারদিকে একটি আবরণ তৈরি করে এবং এর ফলে বায়ুর যোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগুন নিভে যায়।

21) দহন বা আগুন জ্বলার জন্য কি কি উপাদান অত্যাবশ্যক?

Ans: তিনটি উপাদান প্রয়োজন । যেমন : জ্বালানি, বায়ুর অক্সিজেন ও তাপ।

22) অতি প্রচলিত একটি অগ্নিনির্বাপক পদার্থের নাম কর?

Ans: জল।

23) একই পদার্থের আগুন নেভাতে জল ব্যবহৃত হয় ?

Ans: কাঠ , বাঁশ , কাগজ প্রভৃতি কঠিন পদার্থের আগুন নেভাতে জল ব্যবহৃত হয়।

24) বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে আগুন লাগলে তা জল দিয়ে নেভানো উচিত নয় কেন?

Ans: 

25) পেট্রোল , কেরোসিন প্রভৃতিতে আগুন লাগলে জল দিয়ে নেভানো উচিত নয় কেন?

Ans:

26) বৈদ্যুতিক আগুন, পেট্রোল ও কেরোসিনের আগুন কি দিয়ে নেভানো উচিত?

Ans: কার্বন ডাই অক্সাইড।

27) অগ্নি নির্বাপনে কার্বন ডাই অক্সাইড এর উৎস হিসেবে কি রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করা হয়?

Ans: সোডিয়াম বাই কার্বনেট অথবা পটাসিয়াম বাইকার্বনেট।

28) কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে কিভাবে আগুন নেভানো হয়?

Ans: কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেন অপেক্ষা ভারী হওয়ায় আগুনকে ঢেকে দেয় এবং তখন দাহ্য পদার্থ ও অক্সিজেনের মধ্যে সংযোগ ছিন্ন হয় ও আগুন নিভে যায়। তাছাড়া কার্বন ডাই অক্সাইড সিলিন্ডার থেকে বের হয়ে গিয়ে আয়তনে বেড়ে গিয়ে আগুনের চারিদিকে একটি আস্তরণ তৈরি করে, যার ফলে দাহ্য পদার্থ ও অক্সিজেনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আগুন নেভাতে সাহায্য করে।

29) কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে কিভাবে সিলিন্ডার রাখা হয়?

Ans : উচ্চচাপে কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে তরলে পরিণত করে সিলিন্ডারে রাখা হয়।

30) দ্রুত দহন , স্বতঃস্ফূর্ত দহন এবং বিস্ফোরণ কি?

Ans: 

31) শিখার উষ্ণতম অঞ্চলকে কি বলে?

Ans: অপ্রদীপ্ত অঞ্চল বা অনালোকিত অঞ্চল।

32) শিখার কয়টি অঞ্চল ও কি কি? চিত্রের সাহায্যে চিহ্নিত কর?

Ans: 

33) জ্বালানি কি? একটি আদর্শ জ্বালানির বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

Ans: 

34) তাপন মূল্য কি ? এর একক লেখ?

Ans: 

35) ঘুটে ,কাঠ, কয়লা ,পেট্রোল, কেরোসিন, ডিজেল , মিথেন, সিএনজি, এলপিজি , বায়োগ্যাস এবং হাইড্রোজেন এর তাপন মূল্য কত?

Ans: 

36) দহন বা জ্বালানির ক্ষতিকারক দিক গুলি আলোচনা কর?

Ans

37) বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্যাসটির নাম কি?

Ans: কার্বন ডাই অক্সাইড।

38) বিশ্ব উষ্ণায়ন এর ক্ষতিকারক প্রভাব লেখ?

Ans: 

39) কয়লা ও ডিজেলের দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?

Ans: সালফার ডাই অক্সাইড।

40) কোন গ্যাস অম্ল বৃষ্টির জন্য দায়ী?

Ans: নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড।

41) এসিড বৃষ্টি কি? এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব লেখ?

Ans: 

42)  জ্বালানির দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?

Ans: কার্বন ডাই অক্সাইড।

43) জ্বালানির অসম্পূর্ণ দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?

An)s : কার্বন মনোক্সাইড।

44)  কয়েকটি কার্বন জ্বালানির নাম করো? এই সব জ্বালানির দহনে কি রোগ সৃষ্টি হয়?

Ans: 

45) CNG কে নির্মল জ্বালানি বলে কেন?

Ans: 

46) জ্বালানি দক্ষতা কিসের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়?

Ans: তাপন মূল্যের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। একে কিলোজুল/কেজি এককে প্রকাশ করা হয়।

47) আদর্শ বা নির্মল জ্বালানির বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

Ans:      i) একটি ভালো জ্বালানি দামে সস্তা ও সহজলভ্য হবে।  

             ii) এগুলো সহজে জ্বলে ।  

            iii) এদের পরিবহণ সুবিধাজনক এবং এদের তাপন-মূল্যও বেশি। 

            iv) এদের দহনে কোনো দূষক পদার্থ তৈরি হয় না বলে পরিবেশও দূষিত হয় না।


অনুশীলনী


1. কী কী শর্তে দহন সংগঠিত হয়?

Ans: 

2. শূন্যস্থান পূরণ করো :-

(ক) কাঠ ও কয়লা দহনের জন্য বায়ুর প্রয়োজন।

(খ) বাড়িতে ব্যবহৃত তরল জ্বালানি হল ।

(গ) জ্বালানির দহন শুরু হয় তার।

(ঘ) তেলে লাগা আগুন দ্বারা নেভানো যায় না।

3. যানবাহনে CNG এর ব্যবহার কীভাবে শহরের দূষণ কমায়?

Ans: 

4. জ্বালানি হিসাবে এলপিজি ও কাঠের মধ্যে তুলনা করো।

Ans: 

5. কারণ দর্শাও :-

(ক) বৈদ্যুতিক সরঘামে আগুন লাগলে জল দিয়ে নেভানো হয় না।

(খ) কাঠের তুলনায় এলপিজি ভালো জ্বালানি।

(গ) একটুকরো কাগজে সহজে আগুন ধরে কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম পাইপে জড়ানো কাগজে সহজে আগুন ধরে না।

6. মোমবাতির শিখার একটি পরিষ্কার চিত্র আঁকো ও তার বিভিন্ন অঞ্চল চিহ্নিত করো। 

Ans: 

7. জ্বালানির তাপন-মূল্য কোন এককে প্রকাশ করা হয়?

Ans: কিলোজুল/কেজি এককে প্রকাশ করা হয়।

৪. কীভাবে কার্বন ডাইঅক্সাইড আগুন নেভাতে সাহায্য করে?

Ans: 

9. কাঁচা পাতার স্তূপ অপেক্ষা শুকনো পাতায় আগুন ধরানো সহজ কেন?

Ans: 

10. সোনা বা রূপা গলাতে স্বর্ণকার শিখার কোন অঞ্চল ব্যবহার করেন এবং কেন?

Ans: 

11. 4.5 কেজি জ্বালানি সম্পূর্ণ দহনে 1,80,000 কিলোজুল তাপ উৎপন্ন হয়। ঐ জ্বালানির তাপন-মূল্য নির্ণয় করো।

Ans: 

12. মরিচা ধরাকে কি দহন বলা যায়? ব্যাখ্যা করো।

Ans: 



No comments

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.